গত সেশনে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জেনেছি। এই সেশনে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব রোধে আমাদের করণীয় কী হতে পারে তা নির্ণয়ের চেষ্টা করব। সেইসাথে কয়েকটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনটি নৈতিক আচরণ এবং কোনটি নয় তাও জানব। মনে আছে নিশ্চয়ই, আমাদের কিন্তু একটি সেমিনারে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করতে হবে, আর তারই প্রস্তুতি হিসেবে আমরা বিগত সেশনগুলোতে কাজ করে আসছি। এই সেশনের কাজগুলোও আমাদের প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
তাহলে এসো গত সেশনে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির যেসব নেতিবাচক প্রভাব আলোচনা করে নির্ণয় করেছিলাম সেগুলো থেকে ২টি চিহ্নিত করি। এবার দলগতভাবে আলোচনা করে সেই প্রভাবগুলো রোধের উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করে নিচের ছকে লিপিবদ্ধ করি-
ছক ৬.৩
ডিজিটাল প্রযুক্তির যে দুটি নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আমরা আলোচনা করব | নেতিবাচক প্রভাব দুটি থেকে প্রতিকারের উপায়/ প্রভাব রোধে আমাদের করণীয় |
১।
|
|
২।
|
লক্ষ করি, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নৈতিকতা বজায় রেখে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার গুরুত্ব কিন্তু অনেক। আমরা এবার কয়েকটি গল্প পড়ব এবং গল্পগুলো থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নৈতিকতার বিষয়টি বিশ্লেষণ করব। এসো গল্পগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ি।
ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা দিপুদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফটোগ্রাফি ক্লাব থেকে একটি ফটোগ্রাফি (আলোকচিত্র) প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনেক শিক্ষার্থী সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং প্রায় শতাধিক আলোকচিত্রের মধ্য থেকে একটি আলোকচিত্রকে বিজয়ী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। কিন্তু বিজয়ী ঘোষণার পর সেই আলোকচিত্রটির চিত্রকর পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করে। সে জানায় যে তাঁর পাঠানো ছবিটি আসলে কোনো আলোকচিত্র নয় বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় কিছু কমান্ড লিখে তৈরি করা একটি ছবি। |
ওয়েবসাইট হ্যাকিং Eidal872 নামের একজন হ্যাকার একদিন মজার ছলে একটি দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ওয়েবসাইট হ্যাক করে। সেখানে সেই দেশটির নাগরিকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল যেগুলো ব্যবহার করে তাদের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সাধন করা সম্ভব। Eidal872 সেই তথ্যগুলোর কোনো অপব্যবহার না করে বরং মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ত্রুটির বিষয়টি জানায়। পরবর্তীকালে Eidal872 এর সহায়তায় দেশটি তাদের সকল গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। একাডেমিক কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে "আমাদের জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব" বিষয়ক একটি প্রতিবেদন লিখতে বলা হল। শিক্ষার্থীরা সবাই তাদের নিজেদের জীবনের নানা ঘটনা বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি লিখল। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী প্রতিবেদনটি লেখার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (চ্যাট জিপিটি, গুগল বার্ড, বিং চ্যাট ইত্যাদি) ব্যবহার করলো। |
গল্পগুলো পড়ে আমরা কী বুঝলাম? এসো বিশ্লেষণ করি যে এই দুটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা বজায় রেখে কাজ করা হয়েছে কি না। জোড়ায় আলোচনা করে নিচের ঘরে আমাদের বিশ্লেষণগুলো লেখি-
পরবর্তী সেশনের প্রস্তুতি:
আজকের সেশনের প্রেক্ষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকা উচিত সেগুলো পরিবারের সদস্যদের সাথে অথবা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে নির্ণয়ের চেষ্টা করব।
আরও দেখুন...