বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মিশর। প্রাচীন কাল থেকে মিশরের নীল নদকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল ঐ সভ্যতা। মিশরের আবহাওয়া শুষ্ক বলে ঐ সভ্যতার অনেক নিদর্শন কালের কবলে হারিয়ে যায়নি। উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির বিশেষ করে কায়রো শহরের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে পঠিত রচনায়। রচনাটি সৈয়দ মুজতবা আলীর 'জলে ডাঙ্গায়' গ্রন্থ থেকে সংক্ষিপ্ত ও পরিমার্জন করে সংকলন করা হয়েছে।
এই রচনায় এসেছে চারদিকে মরুভূমি-ঘেরা ঐতিহাসিক কায়রো শহর, কায়রোর অদূরে গিজে অঞ্চলে অবস্থিত পিরামিড ও মিশরের ভুবন বিখ্যাত মসজিদের প্রসঙ্গ। এসবের আকর্ষণে সারা বিশ্বের পর্যটকরা ছুটে যায় কায়রো অভিমুখে। কায়রো শহর আলোয় ভরে যায় রাতের বেলায়। রেস্তোঁরাগুলো থেকে ভেসে আসা নানা রকম খাবার-দাবারের সুগন্ধ বাড়িয়ে দেয় পথচারীদের ক্ষুধা। অদূরেই গিজে শহরে রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার আকর্ষণ ও পৃথিবীর সপ্ত আশ্চর্যের একটি মিশরের পিরামিড। পিরামিড নির্মিত হয়েছিল মিশরের প্রাচীন সম্রাট ফারাওদের মৃতদেহ মমি হিসেবে কবরস্থ করে রাখার জন্য। পাথরের চাঁই দিয়ে তৈরি বিশালাকার সমাধিস্তম্ভ এটি। নীলনদ আর পিরামিডের পরেই মিশরের অতুলনীয় আকর্ষণ হচ্ছে সেখানকার ভুবন বিখ্যাত অপূর্ব সৌন্দর্যের মসজিদগুলো। এসবের টানেই সমঝদার আর ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছুটে যায় মিশরে।
Content added By