ভূমিকা

ষষ্ঠ শ্রেণি (দাখিল) - বিজ্ঞান অনুশীলন বই | NCTB BOOK
236

 

শিখন অভিজ্ঞতাগুলোর ধরন কেমন হবে?

শিখন অভিজ্ঞতার শিরোনাম

আমরা যা করব

আকাশ কত বড়?আকাশ দেখতে কার না ভালো লাগে? উপরে তাকালেই যে বিশাল মহাকাশ | আমরা দেখি তার শেষ কোথায়? কত বড় এই আকাশ? এই পৃথিবী, আকাশ, মহাবিশ্ব কোথা থেকে এল এসব? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজব আমরা।
আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিজ্ঞান বিষয়টা তোমাদের কাছে নিশ্চয়ই নতুন নয়! বিজ্ঞান কী বা বিজ্ঞান কী নিয়ে কাজ করে এই নিয়েই আমাদের এবারের কাজ! একইসাথে দৈনন্দিন | জীবনে নানা কাজে আমরা যেসব প্রযুক্তির সাহায্য নিই, এই কাজ শেষে সেগুলোকেও হয়ত নতুন চোখে দেখতে শিখব!
পিকনিক! পিকনিক!পিকনিক বা বনভোজন শব্দটা শুনলেই মন চনমনে হয়ে ওঠে নিশ্চয়ই? তাহলে ক্লাসের সবাই মিলে একটা পিকনিক আয়োজন করলে কেমন হয় বলো তো? ঠিক ধরেছো, এবার এই কাজটাই করব আমরা; তবে পিকনিক আয়োজনের সমস্ত দায়িত্ব কিন্তু তোমাদের নিজেদেরকেই নিতে হবে।
আমাদের যারা প্রতিবেশীবলতে পার আমাদের প্রতিবেশী কারা? তাদের সম্পর্কে কি তোমার জানতে ইচ্ছে করে না? শুধু মানুষ নয় কিন্তু, বরং আমাদের চারপাশে যে এত রকম গাছ, পাখি, পশু, কীটপতঙ্গরা রয়েছে তারাও তো আমাদের প্রতিবেশী! তাদের সম্পর্কেও তো আমরা জানতে চাই! এবার আমাদের এইসব প্রতিবেশীদের খুঁজে দেখার পালা!
চলো নৌকা বানাই!তোমাদের মধ্যে নৌকা দেখোনি এমন কেউ তো নেই! আর কিছু না হোক, বৃষ্টির দিনে কাগজের নৌকা বানিয়ে নালায় ছাড়োনি, এমন মানুষ কমই আছে এদেশে! এবার সবাই মিলে নৌকা বানানোর কৌশলগুলো একটু ঝালাই করে নিলে কেমন হয়? তবে এবার শুধু কাগজের নৌকাই নয়, সত্যি সত্যি ওজন নিয়ে পানিতে ভেসে থাকতে পারে এমন নৌকাই বানিয়ে দেখা যাক, কী বলো?
রোদ, জল, বৃষ্টিআজকের আবহাওয়াটা কেমন? রোদ উঠেছে নাকি বৃষ্টি হচ্ছে? কেমন আবহাওয়া তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? সারাবছর কি আমাদের আবহাওয়া একই রকম থাকে? আবার এখন গরমকালে যেমন গরম থাকে, কয়েকশ বছর আগেও কি তেমনই ছিল? ভবিষ্যতেও সবসময় এমনই থাকবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমাদের এই কাজ।
গতির খেলাখেলতে কার না ভালো লাগে! স্কুলে খেলার প্রতিযোগিতায় হয়ত অনেকেই খেলেছ, কিন্তু একেবারে নিজেরা নিজেরা একটা খেলার আয়োজন করলে কেমন হয় বলো তো? খেলার দিনক্ষণ ঠিক করা থেকে শুরু করে আয়োজনের পুরো কাজটা নিজেরা ভাগাভাগি করে যদি করা যায় তাহলে তো আরো ভালো! পরিচিত কয়েকটা খেলাকেই এই আয়োজনে নতুন চোখে দেখা যাক, চলো!
সবার ইশকুলস্কুল তো তোমাদের সবার, তাই না? কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন কেউ থাকতেই পারে যার জন্য হাঁটাহাঁটি করা কঠিন, ক্রাচে ভর দিয়ে কিংবা হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতে হয়। খেয়াল করলে দেখবে স্কুলে ঢুকতে গিয়ে, শ্রেণিকক্ষে বা টয়লেটে যাওয়ার দরজায়, তাদের অনেকেই অসুবিধায় পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে তোমরা কি কিছু করতে পারো? যাতে সত্যিকার অর্থেই স্কুলটা তোমাদের 'সবার' হয়ে ওঠে?
চাঁদ সূর্যের পালাপূর্ণিমার চাঁদের ধবধবে জোছনা দেখে আপ্লুত হয়নি এমন কাউকে খুঁজো পাওয়া মুশকিল। পূর্ণিমা বা অমাবস্যার অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে, কিন্তু চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ কি কেউ কখনো দেখেছ? প্রাচীনকাল থেকেই এই বিচিত্র ঘটনাগুলো মানুষ দেখেছে, এর কারণ খুঁজেছে, যৌক্তিক-অযৌক্তিক নানা ব্যাখ্যা | দাঁড় করিয়েছে, ভুল বুঝে নানা বিপদেও পড়েছে। এই শিখন অভিজ্ঞতায় সেই | প্রাচীন মানুষের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তোমাদের কিছুটা পরিচয় ঘটবে, তবে তার সঙ্গে এসব ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও তোমরা নিজেরাই অনুসন্ধান করবে।
রান্নাঘরেই ল্যাবরেটরি!আমাদের প্রতিদিনের কাজে আমরা হাজার হাজার রকমের জিনিস ব্যবহার করি। একেকটা কাজের জন্য একেক রকমের জিনিস দরকার হয়। রান্নার কাজেই ধরো, আমাদের কত কী-ই না লাগে। রান্নাঘরটাই যেন বিজ্ঞানের এক বিশাল গবেষণাগার। চলো তো রান্নাঘরটাকে এবার বিজ্ঞান গবেষণার কাজে লাগিয়ে দেখি কেমন হয়।
দেহঘড়ির কলকব্জাবিজ্ঞানের কাজই তো হল সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা, বিপুলা মহাবিশ্বের গঠন থেকে শুরু করে ছোট্ট হাতঘড়িটা কীভাবে টিকটিক করে সময় জানায় তা নিয়েও আমাদের প্রশ্নের শেষ নেই। কিন্তু নিজের শরীর নামের যন্ত্রটা কীভাবে কাজ করে তা কি কখনো ভেবেছি? এবার চলো একটু চোখ ফিরিয়ে মানব শরীর নামক এই বিচিত্র যন্ত্রটিকে বোঝার চেষ্টা করা যাক। 
পানির সঙ্গে বন্ধুতাপৃথিবীতে মানুষসহ সকল প্রাণীর সবচেয়ে কাছের বন্ধু হলো পানি, পানি ছাড়া একটা দিনও আমরা চলতে পারি না। কিন্তু পৃথিবীতে পানির পরিমাণ কি অসীম? নাকি এই পানি একসময় ফুরিয়ে যেতেও পারে? আমাদের যথেচ্ছ ব্যবহারে নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি না তো? চলো, আমাদের | সবচেয়ে কাছের এই বন্ধুর একটু খোঁজ নেওয়া যাক।
বিশ্বভরা প্রাণগল্পের বই পড়তে তোমাদের কেমন লাগে? আর নাটক দেখতে? কেমন হয় যদি নাটকের চরিত্রগুলো মানুষ না হয়ে অন্যকিছু হয়? আর গল্পটা হয় এক্কেবারে তোমাদের নিজেদের? চলো দেখা যাক!
রঙের দুনিয়াচোখ মেললেই আমরা এই রঙিন পৃথিবীর অজস্র রঙের খেলা দেখতে পাই! | কিন্তু লাল গোলাপকে কেন আমরা লাল দেখি, আর সবুজ পাতাকে কেন সবুজ; আবার সাধারণ পানি, কাচ বা বাতাসের কোনো রংই কেন দেখি না, তা কি কখনো ভেবে দেখেছ? এই রঙিন দুনিয়ার রঙের সব রহস্য ভেদ করাই তোমাদের এবারের কাজ!
হারিয়ে গেছে যারাএর আগে নিজেদের প্রতিবেশীদের তো তোমরা খুঁজে বের করেছ। কিন্তু আরেকটু খোঁজ করলেই দেখবে, যে তোমাদের আশপাশে আরও অনেক প্রতিবেশী ছিল যারা সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেছে। সেই হারিয়ে যাওয়া প্রতিবেশীদের খুঁজে বের করাই আমাদের এবারের কাজ!
আপনার শিশুকে টিকা দিনটিকা বা ভ্যাকসিন শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত তাই না? তোমাদের এলাকায় শিশুদের টিকা দিতে দেখেছ কখনো? কিন্তু কী এই টিকা বা ভ্যাকসিন? কেন নিতে হয়? ভ্যাকসিন নেওয়ার ফল কী হয়? এসব প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক উত্তর খুঁজে বের করার কাজটি চলো আমরা শুরু করি।
বাঁচবে নদী, তাতে জীবন থাকে যদিআমাদের দেশটাকে যদি অনেক উপর থেকে দেখো, দেখবে জালের মতো পুরো দেশটাকে জড়িয়ে আছে অসংখ্য নদ-নদী। নদীর সঙ্গে এদেশের মানুষের সম্পর্কটা অনেক গভীর। আমাদের অসংখ্য লোকজ গান, কবিতা, গল্প নদীকে ঘিরে। শুধু মানুষ নয়, এদেশের জীববৈচিত্র্যের একটা বড় অংশের জীবনযাত্রা | আবর্তিত হয় নদীকে কেন্দ্র করে। এই শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমাদের | জীবনের অংশ এই নদীকে আরেকটু গভীরভাবে চেনার চেষ্টা করা যাক, কী বলো?

 

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...