Summary
মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি হলো এমন প্রাপ্তি যা অনিয়মিত, বড় পরিমাণের এবং এক বছরের অধিক সময় সুবিধা ভোগ করা যায়। এর উদাহরণ হিসেবে ব্যবসায়ে মূলধন আনয়ন, ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ এবং স্থায়ী সম্পদের বিক্রয় অন্তর্ভুক্ত।
মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি ও মূলধন জাতীয় আয় একরূপ মনে হলেও এদের মধ্যে পার্থক্য আছে। মূলধন জাতীয় আয় মূলধন জাতীয় প্রাপ্তির একটি অংশ। এটি প্রতিবছর ঘটে না এবং এর উদাহরণও সীমিত। উদাহরণস্বরূপ, একটি পুরাতন যন্ত্রপাতি বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় হতে পারে; যদি যন্ত্রপাতিটির বিক্রয় মূল্য ৮০,০০০ টাকা হয় এবং বর্তমান মূল্য ৬৫,০০০ টাকা, তবে মূলধনী আয় হবে ১৫,০০০ টাকা (৮০,০০০-৬৫,০০০)।
ধ्यान রাখতে হবে যে, মূলধন জাতীয় প্রাপ্তির সমস্ত অর্থই মূলধন জাতীয় আয় নয়।
যে সকল প্রাপ্তি অনিয়মিত, টাকার পরিমাণ বড় এবং এক বছরের অধিক সময় সুবিধা ভোগ করা যায়, তাই মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি। ব্যবসায়ে মূলধন আনয়ন, ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ, স্থায়ী সম্পদ (আসবাবপত্র, জমি, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) বিক্রয় প্রভৃতি মূলধন জাতীয় প্রাপ্তির উদাহরণ। মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি ও মূলধন জাতীয় আয় একরূপ মনে হলেও কিছুটা পার্থক্য বিদ্যমান। মূলধন জাতীয় আয় মূলধন জাতীয় প্রাপ্তিরই একটি অংশ।
মূলধন জাতীয় আয়ও প্রতিবছর হয় না এবং উদাহরণও খুব বেশি নেই। কোনো যন্ত্রপাতি কয়েক বছর ব্যবহারের পর যদি বিক্রয় করা হয়, সেখান থেকে কিছু আয় হতে পারে। ধরা যাক একটি পুরাতন যন্ত্রপাতি বিক্রয় হলো ৮০,০০০ টাকা এবং এর ব্যবহার পরবর্তী বর্তমান মূল্য ৬৫,০০০ টাকা। এখানে মূলধনী আয় হয়েছে ১৫,০০০ টাকা (৮০,০০০–৬৫,০০০) লক্ষ রাখতে হবে যে মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি ৮০,০০০ টাকার সবটুকুই মূলধন জাতীয় আয় নয় ৷
Read more