রেওয়ামিলের ধারণা

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - হিসাববিজ্ঞান - রেওয়ামিল | NCTB BOOK
806
Summary

খতিয়ানের গাণিতিক নির্ভুলতা যাচাই করার জন্য যে বিবরণী প্রস্তুত করা হয়, তাকেই রেওয়ামিল বলা হয়। এতে সকল হিসাবের উদ্বৃত্তগুলো ডেবিট ও ক্রেডিট দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়।

রেওয়ামিলের উদ্দেশ্যসমূহ:

  • জাবেদা ও খতিয়ানে লেনদেন সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কি না তা যাচাই করা।
  • আর্থিক বিবরণী ও বিশদ আয় বিবরণী প্রস্তুত সহজতর করা।
  • জাবেদা ও খতিয়ানে ভুল-ত্রুটি উদঘাটন ও সংশোধন করা।
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী হিসাবগুলো লিপিবদ্ধ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা।
  • খতিয়ানের জের এক সাথে থাকায় আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতে সময় ও শ্রমের অপচয় রোধ হয়।
  • রেওয়ামিলের সাহায্যে ব্যবসার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

খতিয়ানের হিসাবগুলোর গাণিতিক নির্ভুলতা যাচাই করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনে একখানা পৃথক খাতায় বা কাগজে সকল হিসাবের উদ্বৃত্তগুলোকে ডেবিট ও ক্রেডিট এই দুই ভাগে বিভক্ত করে যে বিবরণী প্রস্তুত করা হয়, তাকেই রেওয়ামিল বলে। রেওয়ামিলের ডেবিট দিকের যোগফল ক্রেডিট দিকের যোগফলের সমান হলে সাধারণত ধরে নেওয়া হয় যে, খতিয়ানে কোনো গাণিতিক ভুল নেই। অপর পক্ষে দুই দিকের যোগফল সমান না হলে বুঝতে হবে দু তরফা দাখিলা অনুসারে হিসাব সংরক্ষণে কোন ভুল-ত্রুটি আছে।

উদ্দেশ্য :

রেওয়ামিলের উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপ :

১। জাবেদা ও খতিয়ানে লেনদেনগুলো সাঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কি না তা যাচাই করা রেওয়ামিলের একটি মূখ্য উদ্দেশ্য।
২। আর্থিক বিবরণী তথা বিশদ আয় বিবরণী ও আর্থিক অবস্থার বিবরণী প্রস্তুত সহজতর করা ।
৩। জাবেদা ও খতিয়ানে কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে তা উদঘাটন ও সংশোধন করা।
৪। দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি মোতাবেক জাবেদা ও খতিয়ানে লেনদেন লিপিবদ্ধ হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়।
৫। খতিয়ানের সকল জের এক সাথে থাকে বলে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতে সময় ও শ্রমের অপচয় রোধ হয় ।

৬। রেওয়ামিলের সাহায্যে কারবারের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...