একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি বোর্ড পরীক্ষা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র অধ্যয়ন করলে প্রশ্নের কাঠামো, প্রশ্নের ধরন এবং পরীক্ষার প্রবণতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। নিয়মিত মডেল টেস্ট এবং প্রশ্নব্যাংক ব্যবহার করে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও জোরদার করা যায়।
2023 সালের বরিশাল বোর্ড এর একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা MCQ প্রশ্নব্যাংক এর মাধ্যমে আপনি পাবেন অধ্যায়ভিত্তিক সাজানো, ব্যাখ্যাসহ সঠিক সমাধান, যা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এই প্রশ্নব্যাংক থেকে আপনি পাবেন লাইভ টেস্ট, PDF ডাউনলোড সুবিধা এবং ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ একটি সম্পূর্ণ প্রস্তুতি প্ল্যাটফর্ম।
বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক থেকে যা পাবেন:
এটি কেবল প্রশ্নের সমাধান নয়, বরং বরিশাল বোর্ড বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সম্পূর্ণ গাইডলাইন — যা 2023 সালের একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা পরীক্ষায় আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
আপনি কি 2023 সালের বরিশাল বোর্ড এর একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা MCQ প্রশ্নের নির্ভুল এবং আপডেটেড সমাধান খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন! Satt Academy দিচ্ছে পুরোপুরি রিভিউকৃত, অধ্যায়ভিত্তিক সাজানো, এবং সর্বশেষ সিলেবাস অনুযায়ী MCQ প্রশ্নব্যাংক।
বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র MCQ, একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি শ্রেণি বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র প্রশ্ন, বরিশাল বোর্ড বাংলা 2023, বাংলা MCQ বরিশাল বোর্ড 2023, Satt Academy বাংলা Question Bank, Chapter-wise বাংলা Questions, বরিশাল বোর্ড MCQ সমাধান, বাংলা MCQ PDF Download, বাংলা Live Test বরিশাল বোর্ড
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রী গীতা রাণী সরকার। লেখা-পড়া শেষ করতেই ২৭ বছর পেরিয়ে গেল। বিয়ের ব্যাপারে কয়েকবার সম্বন্ধ আসে এবং দেখাশুনা হলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। গীতা রাণী লেখা-পড়া শেষে একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সমাজে অবহেলিত, পশ্চাৎপদ নারীদের গভীর মনোযোগ সহকারে শিক্ষাদান করেন। হঠাৎ প্রতিবেশি কালীচরণ রায় একটি সম্বন্ধ নিয়ে আসে। গীতা তাকে বিনয়ের সঙ্গে জানান- সে এখন আর বিয়ে করতে পারবে না। কারণ সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের শিক্ষার গুরু দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।
মাদার তেরেসা আশৈশব স্বপ্ন দেখেন মানবসেবার। একসময় যোগ দেন খ্রিষ্টান মিশনারির সঙ্গে । মানুষকে আরও কাছে থেকে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন মিশনারিজ অব চ্যারিটি। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আরো অনেকেই এগিয়ে আসেন এ মহান কাজে। এক সময় এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেন নোবেল পুরস্কার । সারাজীবনে তাঁর সবটুকু উপার্জনই বিলিয়ে দেন মানবের কল্যাণে। যে মানুষ হবে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সাবলম্বী মানুষ। এজন্যই তাঁর চ্যারিটি গতানুগতিক কোন সেবা-সংস্থা নয় ।
প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক জহির রায়হান নিবাচিত 'একুশের গল্প' রচনায় গল্প কখক, তপু ও রাহাত ছিল তিন বন্ধু। তারুণ্যের উদ্দামতা ও এক স্বপ্নিল আশা নিয়ে ভালোভাবেই কেটে যাচ্ছিল তাদের ছাত্রজীবনের দিনগুলো। কিন্তু বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তাদের ছন্দোময় জীবনে অকস্মাৎ ছেদ পড়ে। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবিতে তপু ও তার বন্ধু-বান্ধব যোগ দেয় ভাষা আন্দোলনের মিছিলে। মিছিল এগিয়ে চললো মেডিকেল কলেজের গেট পেরিয়ে কার্জন হলের দিকে। মিছিলটা হাইকোর্টের মোড়ে পৌছােতেই মিলিটারিরা অতর্কিতে গুলি চালায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই বন্ধুরা দেখতে পেল হাতে প্ল্যাকার্ডসহ গুলিবিদ্ধ তপু মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রতনপুর গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে পরিণত হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাতেম আলী হয়ে ওঠেন হানাদার বাহিনীর আশ্রয়দাতা ও সাহায্যকারী। তিনি এ কাজে সহকর্মীদেরও বাধ্য করেন এবং কেউ সম্মত না হলে তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। অধিকাংশ শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের কাজকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেন কিন্তু ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পান না। সহকারী প্রধান শিক্ষক বাছেদ মিয়া ভীরু প্রকৃতির মানুষ হলেও তিনি ছিলেন মনে-প্রাণে একজন দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। তাঁর পরামর্শে মুক্তিযোদ্ধারা রাতের অন্ধকারে হাতেম আলীকে ধরে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করেন।
বাঙালি নারীর আত্ম জাগরণে যে নারীর অবদান বেশি, তিনি হলেন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। বিবাহের পর উদার মানসিকতার অধিকারী স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের পরম মমতায় ও সহযোগিতায় এবং নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তিনি স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠেন। আত্মশুদ্ধি ও নিজের জানার জগৎকে পরিশুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্যচর্চায় আহানিয়োগ করেন। তার সাহিত্য সাধনায় বাঙালি মুসলিম নারী সমাজই মুখ্য হয়ে ওঠেন। সাহিত্য সাধনায় যখন তিনি নিয়োজিত তখন হঠাৎ করে তাঁর প্রাণপ্রিয় স্বামী পরপারে যাত্রা করেন। এতে তিনি মর্মাহত হন। বিষাদপূর্ণ অন্তরে আপন কর্ম সম্পাদনের জন্য কলকাতায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গালর্স স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে আজ বাঙালি নারী সমাজ মুক্ত-স্বাধীনভাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করছেন।
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় ঘটে যাওয়া রক্তাক্ত বিভীষিকা আজও আমার স্তম্ভিত করে দেয়। বিপন্ন মানবতার আর্তচিৎকারে ভারি হয়ে উঠে আকাশ-বাতাস। ফারাজ আইয়াজ হোসেন, এক প্রাণবন্ত যুবক। বিপদের মুখে বন্ধুদের ছেড়ে আসতে রাজি না হওয়ায় দুষ্কৃতিকারীদের হাতে প্রাণ হারায়। সে প্রকৃত বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, বন্ধুত্বের জন্য জীবন উৎসর্গ করে। দৃঢ়তার সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ভালোবাসা ও সহানুভূতির মাধমে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠী, ধর্ম ও জাতীয়তার মানুষের মানবিকতাকে একসূত্রে গ্রথিত করেছে। ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে তার এই অসাধারণ চারিত্রিক দৃঢ়তা প্রদর্শন বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজরা এদেশের চাষীদের দিয়ে জোর করে নীলচাষ করাতো। চাষীদেরকে নামেমাত্র দাদন দিয়ে নীলচাষ করানো হতো। নীলচাষে বাধ্য হওয়ায় চাষীরা তাদের প্রয়োজনীয় শস্য যেমন- ধান, পাট, সরিষা ইত্যাদি উৎপাদন করতে পারতো না। নীলচাষ করতে অপারগ হলে চাষীদের ওপর নেমে আসতো নির্মম অত্যাচার। এ কারণে গড়ে ওঠে নীল বিদ্রোহ। নদীয়ার বিষ্ণুচরণ ও পাবনার কাদের মোল্লার মতো অসংখ্য মানুষ কৃষক- আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?