শিক্ষক আনোয়ার হোসেন শ্রেণিতে ফুল চাষ সম্পর্কে পড়াচ্ছেন। তিনি যশোরে উৎপাদিত একটি ফুলের কথা বললেন যা জাপানের জাতীয় ফুল এবং এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তিনি ফুল চাষের পূর্বে মাটির বুনট রূপান্তরের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে চাষ উপযোগী মাটি সম্পর্কে ছাত্রদের জানান।
আনোয়ার হোসেন তার শ্রেণিতে যে ফুল সম্পর্কে ছাত্রদের বলেন তা হলো চন্দ্রমল্লিকা ফুল।
দোআঁশ ও পলি দোআঁশ মাটি চন্দ্রমল্লিকা চাষের জন্য উপযুক্ত। মাটির অম্লমান ৫.৫-৭.৫ এর মধ্যে থাকলে এর ফলন ভালো হয়। চন্দ্রমল্লিকার হাইব্রিড ও কম্পোজিট দুই ধরনের জাত দেখা যায়। চন্দ্রমল্লিকা বেডে, জমিতে বা টবে চাষ করা যায়। বেডে প্রধানত চারা তৈরি করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে হলে জমির মাটি সমতল হতে হয়। জমিতে ৩-৪ বার চাষ দিয়ে মাটি গুঁড়া করতে হয়। চন্দ্রমল্লিকা গাছে প্রতি হেক্টরে ১০ টন পচা গোবর, ৪০০ কেজি ইউরিয়া, ২৭৫ কেজি টিএসপি, ৩০০ কেজি মিউরেট অব পটাশ, ১৬৫ কেজি জিপসাম, ১২ কেজি বোরিক এসিড ও জিংক অক্সাইড সার প্রয়োগ করতে হয়। চন্দ্রমল্লিকার বংশবিস্তারের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে সাকার। চারা রোপণের পর হালকা সেচ দিতে হয়। আন্তঃপরিচর্যা হিসেবে কাণ্ড ও কুঁড়ি ভাঙা, ঠেস দেওয়া ইত্যাদি করতে হয়। এ ফুলে রোগ ও পোকা দমনের জন্য পরিমাণমতো রোগনাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়।
অতএব, উপরিউক্ত পদ্ধতিতে চন্দ্রমল্লিকার চাষ করা হয়।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?