Academy

দোয়েল পাখি বাসা বেঁধেছে জবা গাছে। সোহেল তার নতুন ঘর তোলার জন্য আঙিনার অন্যান্য গাছের সাথে জবা গাছও কেটে ফেলে। দোয়েলের চোখে-মুখে বাসা হারানোর বেদনা। দোয়েল আর গান গায় না। ফুলের সাথে খেলা করে না। অন্যদিকে নিলয় তার বাড়ির আঙিনার খালি জায়গায় ফুল, ফল ও অন্যান্য গাছ লাগায়। গাছগুলোকে সে নিজের মতো ভালোবাসে। তার বাগান দেখে সকলের চোখ জুড়ায়। পাখিরা তার বাগানে চলে আসে। তারা গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন ফলের গাছ থেকে খাদ্য জোগাড় করে, ফুলের সাথে খেলা করে, গান গায়। দিনের শেষে নিশ্চিন্ত মনে বাসায় ফিরে ঘুমায়। নিলয়কে দেখে অনেকেই। গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হয়।

দোয়েলের অভিব্যক্তিতে 'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতার কোন বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

Created: 1 month ago | Updated: 1 month ago
Updated: 1 month ago
Ans :

দোয়েলের অভিব্যক্তিতে 'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতার কবির মানসিকতার দিকটি ফুটে উঠেছে।

বৃক্ষ মানুষ ও পরিবেশের জন্য অতি উপকারী একটি উপাদান। মানুষ তার ক্ষুদ্র স্বার্থে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন করছে। এতে মানুষ ও প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

উদ্দীপকের দোয়েলের চোখে-মুখে বাসা হারানোর বেদনা। দোয়েল আর গান গায় না। এ দোয়েল যেন কবি সুফিয়া কামালের মানসিকতার বৈশিষ্ট্যই ধারণ করেছে। কারণ কবি চারপাশের অরণ্য নিধন লক্ষ করে ব্যথিত। মৌসুমি ফুলের গান আর তাঁর কণ্ঠে জাগে না। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের দোয়েলের অভিব্যক্তিতে 'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতার কবির সেই মানসিকতাই ফুটে উঠেছে।

1 month ago

সাহিত্য কনিকা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

'বৃক্ষের বক্ষের বহ্নিজ্বালা' বলতে বৃক্ষনিধনে বৃক্ষের বুকে সৃষ্টি হওয়া যন্ত্রণার আগুনকে বোঝানো হয়েছে।

'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতায় কবি চারদিকে বৃক্ষনিধনে শূন্যতার হাহাকার ধ্বনি শুনতে পেয়েছেন। মানুষ তার প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত বৃক্ষনিধন করে চলছে। ফলে বন উজাড় হচ্ছে। চারদিকে রুক্ষতা, শূন্যতা বিরাজ করছে। তাই বৃক্ষের বুকে যন্ত্রণার আগুন জ্বলছে। প্রশ্নোক্ত চরণটির মাধ্যমে বৃক্ষের এই যন্ত্রণাকেই বোঝানো হয়েছে।

উদ্দীপকের নিলয়ের কর্মকাণ্ডের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। বক্তব্যটি যথার্থ।

বৃক্ষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বৃক্ষ আছে বলে এ পৃথিবীর বুকে জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাচ্ছে।

উদ্দীপকের নিলয় বাড়ির আঙিনার খালি জায়গায় ফল ও অন্যান্য গাছ রোপণ করে। গাছগুলোকে সে ভালোবাসে, যত্ন নেয়। পাখিরা নিলয়ের বাগানে চলে আসে। তারা গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। নিলয়ের বাগান দেখে অনেকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হয়। আলোচ্য কবিতার কবিও চান পৃথিবীর বুকে গাছপালা ধ্বংস না হয়ে প্রচুর পরিমাণে জন্মাক। তিনি চান দিকে দিকে আবার সবুজ বৃক্ষের সমারোহ সৃষ্টি হোক, পৃথিবী ফুলে ও ফসলে ভরে উঠুক।
পরিবেশের ভারসাম্য তথা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে বৃক্ষের কোনো বিকল্প নেই। তাই বৃক্ষনিধন না করে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। বৃক্ষকে ভালোবাসতে হবে, ধ্বংস করা যাবে না। কবি আলোচ্য কবিতার মধ্য দিয়ে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, যা উদ্দীপকে নিলয়ের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি যথার্থ।

'ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি' বলতে কবি ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থাকে বুঝিয়েছেন।

মানুষ নিজের প্রয়োজনে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে, বৃক্ষনিধনের মধ্য দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে রূঢ় আচরণ করছে। প্রকৃতিও এ কারণে মানুষের সঙ্গে বিরূপ আচরণ শুরু করছে। প্রকৃতিতে ফুল ও ফসলের সম্ভার কমে যাওয়ায় মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় মানুষ ভীত। 'ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি' বলতে
কবি সেই ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থাকেই বুঝিয়েছেন।

মিথিয়ার মন খারাপের বিষয়টির সাথে 'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতার কবির মন খারাপের দিকটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

গাছপালার স্নেহচ্ছায়ায় সমস্ত প্রাণিজগৎ জীবনধারণ করতে পারছে। তা না হলে এ পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। মরুভূমির দহন জ্বালায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে যেত।

উদ্দীপকে সিডরে আঘাত হানা জনপদের জন্য মিথিয়ার মন খারাপ হয়। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের কারণে মানুষ বাস্তুহারা, অন্নহীন। অথচ এর জন্য মানুষই দায়ী। মানুষ গাছ কেটে বন উজাড় করে প্রকৃতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মিথিয়ার মতো কবির মন এই কারণেই খারাপ। 'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতায় কবি বলেছেন, যে বৃক্ষ মানুষের অশেষ মঙ্গল সাধন করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচায় সেই বৃক্ষকেই মানুষ নির্বিচারে ধ্বংস করছে। তাই কবির মন ভীষণ খারাপ। এ কারণেই তিনি মৌসুমি ফুলের গান রচনা করেন না। উদ্দীপকের মিথিয়ার মন খারাপের বিষয়টির সাথে 'জাগো তবে অরণ্য কন্যারা' কবিতার কবির এ মন খারাপের দিকটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...