চাটমোহর উপজেলার নিরু শ্রাবণ মাসের তীব্র গরম ও বৃষ্টির দিনে সবজি কেনার জন্য বাজারে গিয়ে লক্ষ করেন বাবুল। নামে একজন শিক্ষিত বেকার যুবক টমেটো বিক্রি করছেন। নিরু টমেটো বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতি কেজি ১০০ টাকা। দাম শুনে নিরু অবাক হয়ে এর কারণ জানতে চায়। উত্তরে বাবুল বলেন এ সময় টমেটো উৎপাদনের জন্য স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে বিশেষ কৌশলে ঘর তৈরি করতে হয়। বাবুল আরও বলেন এর ফলে আমি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি।
বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ হলেও এদেশের কৃষি এখনো মৌসুম নির্ভর। রবি মৌসুমে এ দেশে প্রচুর সবজি চাষ হলেও গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে অনেক ক্ষেত্রে গাছ জন্মাতে পারে না। ফলে ভাদ্র-আশ্বিন-কার্তিক মাসের প্রচন্ড রোদে কৃষিকাজ করা অসম্ভব হয়। ফলে উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে কৃষক কর্মহীন হয়ে অলস সময় পার করে। কিন্তু কৃষিক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে যদি শ্রাবণ-আশ্বিনের অসহনীয় গরমেও কৃষিকাজ করা যায় তবে আর কৃষক কর্মহীন হয়ে থাকবে না। আর এ ক্ষেত্রে গ্রিন হাউজ প্রযুক্তি একটি কার্যকর পন্থা। গ্রিন হাউজে কৃত্রিম উপায়ে দিবা দৈর্ঘ্য, তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ফসল ফলানো সম্ভব হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত বাবুল এ কৌশল অবলম্বন করে অসময়ে টমেটো উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। এভাবে ফসল উৎপাদন, কৌশল অন্যান্য কৃষকরাও রাস্তবায়িত করতে পারে। আর এটা সম্ভব হলে বাবুলের মতো আরো অনেক কৃষক অনাবাদি মৌসুমের কর্মহীনতা থেকে রক্ষা পাবে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?