একমাত্র কন্যা বুশরার বিয়েতে শিল্পপতি মিজানুর রহমান বরপক্ষকে গাড়ি, বাড়িসহ নানা উপঢৌকন দেন। বুশরার বরা সানন্দচিত্তে তা গ্রহণ করে। সে মনে করে ছেলে হিসেবে এগুলো তার প্রাপ্য। এটি দেখে তাদের ড্রাইভার শহিদ বিয়ে করার সময় কন্যা পক্ষের কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। শহিদের শ্বশুর বাড়িঘর বিক্রি করে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করলেও বাকি পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় স্ত্রী সীমাকে এক ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়।
মূলত হিন্দু সমাজে প্রচলিত পণপ্রথা পরিবর্তিত হয়ে যৌতুক প্রথার উৎপত্তি হয়েছে।
হিন্দু আইনে উত্তরাধিকার হিসেবে কন্যাসন্তান পিতার সম্পত্তির ভাগ পায় না। পিতার সম্পত্তিতে তার কোনো অধিকার থাকে না বলে বিয়ের সময় কন্যাকে টাকা পয়সা, গয়না প্রভৃতি মূল্যবান সামগ্রী প্রদান করা হয়। সময়ের পরিবর্তনে এ প্রথার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়ে যৌতুক নামের কু-প্রথায় রূপ নিয়েছে। বর্তমানে এটি পিতা-মাতার আশীর্বাদ থেকে একটি বাধ্যতামূলক প্রথায় পরিণত হয়েছে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?