Academy

স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস ফিকে হতে হতে আবারও নতুন উদ্যমে শুরু হয়ে যায় স্বপ্নময় অধ্যায়। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হলেও যে সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন বিপ্লবীরা, সে স্বপ্ন পূরণ হয় নি আজও। গত শতাব্দীর চার দশকে দেশজুড়ে যে বিপ্লবের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, সে বিপ্লব কেন অসমাপ্ত থাকল, কেন ব্যর্থ হলো সে প্রচেষ্টা, সেই ইতিহাসেরই বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থ 'উত্তাল চল্লিশ: অসমাপ্ত বিপ্লব।' 

সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভবে মর্গানের অবদান ব্যাখ্যা করো। (অনুধাবন)

Created: 1 year ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago
Ans :

সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে আমেরিকান আইনবিদ ও সামাজিক নৃবিজ্ঞানী লুইস হেনরি মর্গান অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।

ইরোকুয়া ইন্ডিয়ান নৃগোষ্ঠীর উৎপত্তি ও বিবর্তন সম্পর্কে গবেষণা করে হেনরি মর্গান ১৮৭৭ সালে রচনা করেন 'Ancient Society', যেখানে তিনি সমাজ বিবর্তনের তিনটি ধাপ চিহ্নিত করেন; যথা- বন্যদশা, বর্বরদশা ও সভ্যতা। এছাড়া মর্গান আদিম পরিবারব্যবস্থা, বিবাহ এবং সম্পত্তির বিকাশ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন, যা সামাজিক নৃবিজ্ঞানের ভিত্তিমূল হিসেবে বিবেচিত হয়। বস্তুত নতুন একটি বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের পথচলায় লুইস হেনরি মর্গানের বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

1 year ago

সমাজবিজ্ঞান

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

আচার-আচরণের পশ্চাতে মানসিক কারণ ছাড়া অর্থনৈতিক, র ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক প্রভৃতি শক্তির প্রভাব রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানের বিকাশে যে কয়েকজন ব্যক্তির অবদান স্বীকার্যক তার মধ্যে ম্যাকিয়াভেলি অন্যতম। সমাজদর্শন প্রচার করতে গিয়ে তিনি বাস্তবতার আশ্রয় নিয়েছেন। এর মাধ্যমে ম্যাকিয়াভেলি নি সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তার The Prince গ্রন্থে আলোচনা করেন। তার সমাজ আলোচনার মূল ভিত্তি ছিল মানব প্রকৃতি ও মানব মনোভাব। তৎকালীন সময়ে সমাজের মানুষ যে নৈরাজ্যকর অবস্থায় ছিল ম্যাকিয়াভেলি তার সুষ্ঠু ব্যাখ্যা দেন যা সমাজবিজ্ঞান বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টি হলো ধর্ম। কারণ ধর্ম হচ্ছে অতিপ্রাকৃত শক্তিতে বিশ্বাস। ধর্মে জ্ঞান, অনুভূতি ও ক্রিয়ার এক সার্থক সমন্বয় দেখা দেয়। এছাড়া মানুষ পার্থিব ও অপার্থিব কোনো কিছু পাওয়ার আশায় এ শক্তিতে বিশ্বাস করে। ধর্ম সমাজবিজ্ঞানের পরিধিভুক্ত।

সমাজজীবনে ধর্মের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে জাতি ও গোষ্ঠীগত পার্থক্য এবং শ্রেণিবিভাজন পরিলক্ষিত হয়। ধর্ম মানুষের আচরণ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং সমাজ বা গোষ্ঠীগত স্বকীয়তা দান করে। ধর্মীয় মূল্যবোধ, বিশ্বাস, ধর্মের উৎপত্তি ও এর বিকাশ, ধর্মের গুরুত্ব, ধর্মের প্রভাব, ধর্মের প্রকারভেদ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে এর কার্যকারিতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সমাজবিজ্ঞান আলোচনা করে থাকে।

সুতরাং আমরা যথার্থই বলতে পারি যে, স্যারের আলোচিত ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান সমাজবিজ্ঞানের পরিধিভুক্ত।

ধর্ম ছাড়াও সকল সামাজিক ঘটনাই সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়বস্তুর অন্তর্গত। প্রতিনিয়ত সমাজবিজ্ঞানের নতুন নতুন শাখার উদ্ভব ঘটছে। নিচে সমাজবিজ্ঞানের শাখাসমূহ উল্লেখ করা হলো- মানবসমাজের সবচেয়ে আদিম সংগঠন হলো পরিবার। প্রাচীনকালে পরিবারকে কেন্দ্র করেই মানবসমাজের সব কর্মকাণ্ড সম্পাদিত হতো। সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম শাখা হলো পরিবারের সমাজবিজ্ঞান।

ঐতিহাসিক সমাজবিজ্ঞানে প্রাচীন সমাজ, সমাজের উদ্ভব, বিকাশ এবং বর্তমান সমাজের জীবনযাত্রা সম্পর্কে গবেষণা করা হয়।

সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম উপাদান হচ্ছে জনসংখ্যা। জনগণই  সমাজের গোড়াপত্তন করে। সমাজ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করতে হলে জনসংখ্যার কাঠামো, বণ্টন, বয়ঃকাঠামো, আদমশুমারি, জনসংখ্যা তত্ত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে জানা অপরিহার্য।

অপরাধ, অপরাধপ্রবণতা, দারিদ্র্য, কিশোর অপরাধ, অপরাধের কারণ, অপরাধের স্বরূপ প্রভৃতি নিয়ে অপরাধ সমাজবিজ্ঞান আলোচনা করে থাকে।

রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিষয়াদির সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি, গোষ্ঠী তথা নাগরিকের সম্পর্ক নিরূপণ করে।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, সমাজবিজ্ঞানের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত।

'ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও মালিকানা সব দ্বন্দ্ব-সংঘাত এবং শোষণের মূল'- উক্তিটি জার্মান দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ কার্ল মার্কস-এর। 

উদ্দীপকে যে বিষয়টি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে তাহলো ইতিহাস। উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গিগত দিক থেকে সমাজবিজ্ঞানের সাথে ইতিহাসের সম্পর্ক নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ইতিহাসে কালের সাথে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত মানবীয় বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। পক্ষান্তরে, সমাজবিজ্ঞানে সামাজিক সম্পর্কের দিক থেকে সেসব বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা হয়।

সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসের মধ্যে উদ্দেশ্যগত পার্থক্য লক্ষ করা যায়। স্থান-কালের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ঘটনার পর্যায়ক্রমিক আলোচনা করাই হলো ইতিহাসের উদ্দেশ্য। পক্ষান্তরে, সমাজবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হলো ঘটনাবলির অন্তর্ভুক্ত আন্তঃমানবিক সম্পর্ক বিষয়ক যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন করা।

সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, সমাজবিজ্ঞানের সাথে ইতিহাসের উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে যথেষ্ট পার্থক্য বিরাজমান।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...