Academy

আজমলের স্বভাব একটু ভিন্ন প্রকৃতির। সে সবসময় মুখে একরকম বলে, কিন্তু অন্তরে অন্য ধারণা পোষণ করে। নিজের প্রয়োজনে সে প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে। লোক দেখানোর জন্য সে নামাজ আদায় করে কিন্তু ছোটখাটো অন্যায় থেকে নিজেকে কখনো বিরত রাখার চেষ্টা করে না। প্রায়ই সে অন্যদেরকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

হযরত উসমান (রা) কে জামিউল কুরআন বলা হয় কেন? (অনুধাবন)

Created: 1 year ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago
Ans :

কুরআনকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করে কুরআন পাঠের অভিন্ন রীতি চালু করায় হযরত উসমান (রা) কে জামিউল কুরআন বলা হয়। হযরত উসমান (রা) এর সময় ভিন্ন ভিন্ন রীতিতে কুরআন পাঠের ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য কুরআনের প্রথম পাণ্ডুলিপিটি থেকে সাতটি কপি তৈরি করা হয়। এবং সেগুলো বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয় যাতে সবাই একই রীতিতে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে।

1 year ago

ইসলাম শিক্ষা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

1 সিহাহ সিত্তাহ' কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 1 year ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago

 'সিহাহ সিত্তাহ' হলো- বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থ।

আলোচ্য হাদিসের অর্থ হলো- 'লজ্জাশীলতা ইমানের একটি বিশেষ অঙ্গ'। উল্লেখিত হাদিসটি সহিহ বুখারি ও মুসলিম শরিফে সংকলিত হয়েছে। এ হাদিসে রাসুল (স) লজ্জাশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। একজন মুমিন তার আচার-আচরণ, কথাবার্তা, কাজকর্মে অবশ্যই লজ্জাশীল হবেন। কারণ লজ্জাশীলতা ইমানের অপরিহার্য একটি দিক। তাই মান-সম্মান রক্ষা করার জন্য ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেক মুমিনের লজ্জাশীল হওয়া প্রয়োজন। আলোচ্য হাদিসে ইমানের সাথে লজ্জার সম্পর্কের দিকটিই ফুটে উঠেছে।

হাবিবের বক্তব্যে ওহিয়ে মাতলু তথা পবিত্র কুরআনের পরিচয় ফুটে উঠেছে। কুরআন মাজিদ আল্লাহর বাণী। এটি সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব যা সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল। উদ্দীপকের হাবিব ওহির বিভিন্ন প্রকার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমোক্ত ওহির মাধ্যমে পবিত্র কুরআনকে বুঝিয়েছে। উদ্দীপকের তিন বন্ধু ইসলামি শরিয়ার উৎস সম্বন্ধে আলোচনা করছিল। হাবিব এ সময় বলে, কিছু ওহির ভাব ও ভাষা সরাসরি আল্লাহর, যা পাঠ করা ইবাদত এবং নামাজেও এর তিলাওয়াত আবশ্যক। এর মাধ্যমে হাবিব পবিত্র কুরআনকে বুঝিয়েছে। ওহি দুই প্রকার। যথা- ওহিয়ে মাতলু ও ওহিয়ে গায়রে মাতলু। ওহিয়ে মাতলু বা পঠিত ওহি হলো কুরআন মাজিদ। এটি লাওহে মাহফুজ থেকে জিবরাইল (আ)-এর মাধ্যমে নবুওয়তের দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে মহানবি (স)-এর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে। 

কুরআন সন্দেহাতীতভাবে অদ্যাবধি অবিকল ও অবিকৃত অবস্থায় সুরক্ষিত হয়ে আসছে। এর শব্দ, অর্থ, মর্ম উপস্থাপনা, বিন্যাস সবই আল্লাহ তায়ালার নিজস্ব। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া নামাজ আদায় হয় না। নামাজে কুরআন থেকে তিলাওয়াত করা ফরজ। সুতরাং উদ্দীপকের হাবিব প্রথমোক্ত ওহির মাধ্যমে কুরআন মাজিদের দিকেই ইঙ্গিত করেছে।

হাসানের উল্লেখিত বিষয়টি ওহিয়ে গায়রে মাতলু তথা হাদিস; যার সাথে হাদিসে কুদসির কতিপয় সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে। ওহি দুই প্রকার- যার মধ্যে একটি 'ওহি গায়রে মাতলু' অর্থাৎ অপঠিত ওহি বা হাদিস। মহানবি (স)-এর কথা, কাজ এবং মৌন সম্মতি তথা রাসুল (স)-এর বাস্তব জীবনের প্রতিটি কাজ ও সমর্থনই হাদিস। হাসানের বক্তব্যে হাদিসের কথাই প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্দীপকের হাসান ইসলামি শরিয়ার দ্বিতীয় উৎস হাদিসের প্রসঙ্গে কথা বলছিল। সে বলে, হাদিস নামাজে তিলাওয়াত করতে হয় না এবং অপবিত্র অবস্থায়ও এটি স্পর্শ করা যায়। হাসানের উল্লেখিত ওহি গায়রে মাতলু বা হাদিসের বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে হাদিসে কুদসি অন্যতম। হাদিসে কুদসি অন্যান্য হাদিসের মতই, তবে এ প্রকার হাদিসের ভাব স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এবং ভাষা রাসুল (স)-এর নিজের। অপরদিকে সাধারণ হাদিসের ভাব ও ভাষা উভয়টিই রাসুল (স)-এর নিজস্ব। তাছাড়া হাদিসে কুদসিও অপবিত্র অবস্থায় স্পর্শ করা যায়। 'রাসুল (স) বলেছেন', একথা অন্যান্য হাদিসের প্রারম্ভে থাকে। কিন্তু হাদিসে কুদসি শুরু হয় 'আল্লাহ বলেছেন' এ কথা দিয়ে।

উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, হাসানের উল্লিখিত বিষয়টি হচ্ছে রাসুলের (স) বাণী বা কাজ তথা হাদিস। আর হাদিসে কুদসি এরই একটি ধরন।

সম্পূর্ণ কুরআন সর্বপ্রথম সংরক্ষিত হয় লাওহে মাহফুজে।

আল কুরআনের ভাষায় আজমলের চরিত্র বিশ্লেষণ করে তাকে মুনাফিক হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। মুনাফিক )الْمُنَافِقُ( আরবি শব্দ। এর অর্থ ভন্ড, প্রতারক, দ্বিমুখী নীতি বিশিষ্ট প্রভৃতি। অর্থাৎ যাদের অন্তরে নিফাক তথা ভণ্ডামি, প্রতারণা, ধোঁকাবাজি প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তারাই মুনাফিক। মুনাফিকরা লোক দেখানোর জন্য বাহ্যিকভাবে ইমানদারসুলভ আচরণ করে। প্রকৃতপক্ষে তারা অন্তরের দিক দিয়ে অবাধ্য, মিথ্যাবাদী। তারা গোপনে নানা অপরাধমূলক কাজ করে বেড়ায়। মহান আল্লাহ সুরা বাকারার ২য় রুকুর আয়াতসমূহে মুনাফিকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন, যা আজমলের চরিত্রেও লক্ষণীয়। 

উদ্দীপকের আজমল মুখে একরকম বলে, কিন্তু অন্তরে অন্য ধারণা পোষণ করে। লোক দেখানোর জন্য সে নামাজ আদায় করে। অর্থাৎ সে দ্বিমুখী চরিত্রের লোক এবং তার ইবাদত লোক দেখানোর জন্য। এটি মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। সুরা আল বাকারার ২য় রুকুতে মুনাফিকদের এরূপ দ্বিমুখী আচরণের কথা বলা হয়েছে। মুনাফিকরা আল্লাহ ও ইমানদারদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য মুখে ইমানের কথা বলে, প্রকৃতপক্ষে তারা ইমানদার নয়। আবার সুরা মাউনে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, তারা লোক দেখানোর জন্য সালাত আদায় করে। জনাব আজমলের এরূপ নামাজ আদায় লোক দেখানোর শামিল। সুতরাং কুরআনের ভাষায় আজমল একজন মুনাফিক।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...