আলোর তীব্রতা অনুসারে পুঞ্জাক্ষীতে ২ ধরনের প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়। যথাঃ
১. অ্যাপোজিশন প্রতিবিম্ব (Apposition image):
উজ্জ্বল আলোকে ঘাসফড়িং এর প্রতিবিম্ব গঠন পদ্ধতিকে এপপাজিশন বা মোজাইক প্রতিবিম্ব গঠন পদ্ধতিবলে। এই পদ্ধতিতে গঠিত প্রতিবিম্বকে অ্যাপোজিশন প্রতিবিম্ব বা মোজাইক প্রতিবিম্ব বলে।
প্রক্রিয়া
এ সময় ওমাটিডিয়ামের আইরিস পিগমেন্ট আবরণ প্রসারিত হয়ে র্যাবডোমগুলোকে সম্পূর্ণরূপে আবৃত করে। ফলে প্রতিটি ওমাটিডিয়াম পরস্পর হতে পৃথক হয়ে যায়। বস্তুর অংশ বিশেষ হতে আগত উলম্ব আলোকরশ্মিগুলো ওমাটিডিয়ামে প্রবেশ করে এবং যথাক্রমে কর্ণিয়া ও ক্রিস্টালাইন কোণ হয়ে র্যাবডোমে প্রবেশ করে। কিন্তু তীর্ষক আলোকরশ্মিগুলো কর্ণিয়ার মাধ্যমে প্রবেশ করলেও আইরিশ পিগমেন্ট আবরণ দ্বারা শোষিত হয়। ফলে প্রতিটি ওমাটিডিয়ামে পৃথক পৃথক প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। এভাবে কয়েকটি ওমাটিডিয়াম একত্রে কোন বস্তুর আংশিক বা সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠন করে। দিনের বেলা বা যে কোন সময় উজ্জল আলোতে এ প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন প্রতিবিম্ব খুবই স্পষ্ট কিন্তু খন্ডিত হয়। এই প্রতিবিম্বকে মোজাইক প্রতিবিম্ব বা অ্যাপোজিশন প্রতিবিম্ব বলে।
২. সুপারপজিশন প্রতিবিম্ব (Superposition image):
স্তিমিত বা মৃদু আলোতে আরশোলার প্রতিবিম্ব গঠন পদ্ধতিকে সুপারপজিশন প্রতিবিম্ব গঠন পদ্ধতি বলে। এই পদ্ধতিতে গঠিত প্রতিবিম্বকে সুপারপজিশন প্রতিবিম্ব (Super Position) বলে।
প্রক্রিয়া
স্থিমিত বা মৃদু আলোকে ওমাটিডিয়ামের আইরিস পিগমেন্ট আবরণ কর্ণিয়ার দিকে এবং রেটিনুলার সীথ নীচের দিকে সংকুচিত হয়। ফলে র্যাবডোমের নীচের অংশ ও রেটিনুলার কোষের উপরের অংশ অনাবৃত হয়। বস্তু থেকে আগত উলম্ব আলোক রশ্মিগুলো এদের বরাবর অবস্থিত ওমাটিডিয়ামগুলোর কর্ণিয়া ও মোচার মধ্য দিয়ে র্যাবডোমে পৌছায়। কিন্তু তীর্যক রশ্মিগুলো কোন নির্দিষ্ট ওমাটিডিয়ামের কর্ণিয়ার মধ্য দিয়ে পার্শ্ববর্তী ওমাটিডিয়ামসমূহে প্রবেশ করে। ফলে কোন একটা ওমাটিডিয়ামের র্যাবডোমে বস্তুর একাধিক বিন্দু থেকে আগত আলোকরশ্মি পতিত হয় এবং সম্মিলিতভাবে একটি সামগ্রিক, অস্পষ্ট, ও ঝাপ্সা প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। সাধারণতঃ রাতে বা যে কোন সময় স্তিমিত আলোতে ঘাসফড়িং এ প্রক্রিয়ায় দেখে। স্তিমিত আলোকে এই দর্শন প্রক্রিয়াকে সুপারপজিশন দর্শন বলে।
িইনটিমা
ওমাটিডিয়াম
পুঞ্জাক্ষি
সরলাক্ষি
Read more