অন্যান্য বিশেষ ধরনের ফাংশনসমূহের গঠন ও কাজ সম্পর্কে ধারণা

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন-২ - এডভান্সড স্প্রেডশিট অ্যানালাইসিস সফটওয়্যার | | NCTB BOOK

১. পরিসংখ্যান ফাংশন : ওয়ার্কশিটের বিভিন্ন সেল-এ লিখিত সংখ্যাসমূহের যোগফল, গড়, মোট সংখ্যা, সর্ববৃহৎ ও সর্বনিম্ন সংখ্যা ইত্যাদি নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও পরিমিত ব্যবধান এবং ভেদাঙ্ক ইত্যাদি পরিসংখ্যানের কাজ করার জন্য আরোও কয়েকটি ফাংশন রয়েছে। নিচে কয়েকটি পরিসংখ্যান ফাংশন সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো-

=SUM(List): অঙ্কের এ সূত্রটি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যাসমূহের যোগফল নির্ণয় করা যায়। =MAX(List): পরিসংখ্যানের এ সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জ-এর সংখ্যাসমূহ হতে Maximum অর্থাৎ সর্ববৃহৎ সংখ্যাটি নির্ণয় করা যায়।

=MIN(List): পরিসংখ্যানের এ সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জ-এর সংখ্যাসমূহ হতে Minimum অর্থাৎ সর্বনিম্ন সংখ্যাটি নির্ণয় করা যায়।

=AVG(List): এ সূত্রটি দ্বারা রেঞ্জ-এর সংখ্যাসমূহের গড় নির্ণয় করা যায়।

=COUNT(List): পরিসংখ্যানের এ সূত্রটি দ্বারা যেকোন রেঞ্জ-এর সংখ্যাসমূহের সংখ্যার গণনা করে ফলাফল জানা যায় ।

=STD (List): এ সূত্রটি দ্বারা জটিলতম পরিসংখ্যান বিষয়ক হিসাব-নিকাশে বহুল ব্যবহৃত Standard Deviation বা পরিমিত ব্যবধান সহজে নির্ণয় করা যায়।

২. টেক্সট ফাংশন : যে ফাংশনের সাহায্যে কোন স্ট্রিং-এর উপর বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে তাকে বলা হয় টেক্সট ফাংশন। এই ফাংশনের ফাঁকা স্থানকেও স্ট্রিং হিসাবে বিবেচনা করে। নিম্নে কয়েকটি স্ট্রিং ফাংশনের ব্যবহার দেখানো হলো-

=LEFT ফাংশন : এই ফাংশনের সাহায্যে কোন স্ট্রিং এর বাম দিক থেকে n সংখ্যক অক্ষর পৃথক করা যায়।

গঠন : LEFT ("String", n)

উদাহরণ : =LEFT ("Abacus", 3 ) লিখে এন্টার দিলে ফলাফল আসবে Aba

=RIGHT ফাংশন : এই ফাংশনের সাহায্যে কোন স্ট্রিং এর ডান দিক থেকে n সংখ্যক অক্ষর পৃথক করা যায়।

গঠন : RIGHT ( "String", n)

উদহারণ : =RIGHT("Abacus", 3 ) লিখে এন্টার দিলে ফলাফল আসবে cus।

=MIDDLE ফাংশন : এই ফাংশনের সাহায্যে কোনো স্ট্রিং এর মধ্যবর্তী কয়েকটি সংখ্যক অক্ষর পৃথক করা যায়।

গঠন : MIDDLE("String", x, y)

এখানে x হচ্ছে গণনা শুরুর সংখ্যা এবং y হচ্ছে পরবর্তী কতগুলো সংখ্যা গণনা করা হবে তার মান। উদহারণ : =MIDDLE ( " Abacus", 2, 3 ) লিখে এন্টার দিলে ফলাফল আসবে bac

=UPPER ফাংশন : এই ফাংশনের সাহায্যে কোনো স্ট্রিংকে বড় হাতের অক্ষরে রূপান্তর করা যায়। গঠন : UPPER ("String")

উদহারণ : =UPPER("Abacus”) লিখে এন্টার দিলে ফলাফল আসবে ABACUS।

=LOWER ফাংশন : এই ফাংশনের সাহায্যে কোনো স্ট্রিংকে ছোট হাতের অক্ষরে রূপান্তর করা যায়।

গঠন : LOWER ("String")

উদহারণ : =LOWER(" Abacus") লিখে এন্টার দিলে ফলাফল আসবে abacus |

৩. অর্থনৈতিক ফাংশন : এক্সেলে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ফাংশন রয়েছে যেগুলো দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ করা যায় । নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনের বর্ণনা দেওয়া হলো—

=DB (Cost, Salvage, Life, Period, Month)

এ সূত্রটি দ্বারা Fixed-declining Balance পদ্ধতিতে কোন সম্পদ (বস্তুর)-এ এর ব্যবহারজনিত ক্ষতি বা অবচয় (Depreciation) বের করা যায়। বস্তুটির ক্রয়মূল্য থেকে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বিক্রয়মূল্য কত হবে তার উপর ভিত্তি করে প্রতি বছরের বিক্রয়মূল্য কত হবে অথাৎ ব্যবহারজনিত ক্ষতি কত হবে তা নির্ণয় করার জন্য এ ফাংশনটি ব্যবহৃত হয়।

এখানে, Cost = বস্তুটির ক্রয়মূল্য ।

Salvage = নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বস্তুটির মূল্য (অবশেষ মূল্য)।

Life = মোট ব্যবহারকাল।

Period = যে বছরের জন্য অবচয় নির্ণয় করা হবে।

Month = এখানে মাস হলো ১ম বছরের মাস সংখ্যা। যদি মাস বাদ দেওয়া হয় তাহলে সূত্র ১২ ধরে

নিতে হবে।

=DDB (Double Declining Balance )

এ সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে কোন সম্পত্তির অবচয়মূল্য কত তা নির্ণয় করা যায়। সূত্রটি হলো—

=DDB (Cost, Salvage, Life, Period, Factor)

এখানে, Cost = বস্তুটির ক্রয়মূল্য ।

Salvage = নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বস্তুটির মূল্য (অবশেষ মূল্য)। Life = ব্যবহারকাল ।

Period = যে সময়ের অবচয় নির্ণয় করা হবে তা ।

Factor = যে হারে ব্যালেন্স Decline (অবচয় নির্ণয়) করা হয়। সূত্রে Factor উল্লেখ না করলে

Double পদ্ধতি অনুসারে এটি ২ হবে।

=PV (Present Value )

এ ফাংশনটির সাহায্যে কোন বিনিয়োগের বর্তমান মূল্য বের করা যায়। বর্তমান মূল্য হলো কোন মূলধন, যা কোন লাভজনক শর্তের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে; তার মূল্য বর্তমানে কত হবে তা ।

সূত্রটি হলো-

PV (rate, nper, pmt, fv, type)

এখানে, Rate = সুদের হার।

nper = কিস্তির সংখ্যা ।

pmt = প্রতি কিস্তিতে অর্থের পরিমাণ

fv= ভবিষ্যৎ মূল্য ।

type : = 1 বা 0 সূত্রে কিছু না লিখলে । ধরে নেয়।

= FV (Rate, nper, pmt, pv, type )

এই ফাংশনের দ্বারা কোন নির্দিষ্ট সুদের হারে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর (কিস্তিতে) জমা করলে তা কোন নির্দিষ্ট সময় শেষে সুদাসলে কত টাকা হবে তা নির্ধারণ করা যায়।

এখানে, Rate = সুদের হার। nper = মোট কিস্তির পরিমাণ।

pmt = প্রতি কিস্তিতে জমাকৃত অর্থ ।

pv = বর্তমান মূল্য, কতগুলো কিস্তিতে বিনিয়োগ করা হবে এমন অর্থের বর্তমান পরিমাণ ।

Type = এর মান 0 অথবা 1; যা কিস্তির বাকী থাকার ব্যবস্থা নির্দেশ করে।

=Rate (nper, pmt, pv, fv, type, guess ) এই ফাংশনের সাহায্যে কোন ঋণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিস্তিতে পরিশোধ করলে সুদের হার কত হবে

তা নির্ণয় করা যায় ।

এখানে, nper = মোট কিস্তির পরিমাণ।

pmt = প্রতি কিস্তিতে পরিশোধকৃত টাকার পরিমাণ ।

pv = বর্তমান মূল্য ।

iv = ভবিষ্যত মূল্য।

Type = এর মান 0 অথবা 1 ।

Content added || updated By
Promotion