ই-ব্যাংকিং

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র | | NCTB BOOK

ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং পদ্ধতি হলো ব্যাংকিং সেবা সুবিধা প্রদানের আধুনিক কৌশল বা পদ্ধতি । এটি এমন এক ধরনের ব্যাংকিং সেবা পদ্ধতি যেখানে উন্নততর ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিদ্রুত, নির্ভুল এবং ব্যাপক বিস্তৃত সেবা প্রদান সম্ভব। এ ধরনের ব্যাংকিং পদ্ধতি সনাতন, প্রথাগত, কায়িক শ্রমনির্ভর, সীমিত সেবাসম্বলিত, মন্থর, কাগজ ও নথির জমাকৃত স্তুপের সেকেলে ব্যাংকিং পদ্ধতির অবসান ঘটিয়েছে ।

ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং বিশারদ এইচ. লিপিস এর মতে, Electronic banking systems are electronic systems that transfer money and record data relating to these transfer." অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং হলো এমন যেখানে ইলেকট্রনিক পন্থায় অর্থ স্থানান্তর করা হয় এবং এরূপ স্থানান্তর সংক্রান্ত তথ্যাবলি একই পদ্ধতিতে লিখে রাখা হয়। তিনি আরও বলেছেন, "Electronic banking services are developing tools in the overall banking services delivery system." অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং সেবা হলো সার্বিক ব্যাংকিং ডেলিভারি সেবা ব্যবস্থার উন্নততর পদ্ধতি ।

ইলেকট্রনিক ব্যাংকের সেবা সুবিধাসমূহ হলো নিম্নরূপ :

১. স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র (Automated Teller Machine / ATM);

২. ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড;

৩. অন-লাইন ব্যাংকিং;

৪. হোম ব্যাংকিং;

৫. মোবাইল ব্যাংকিং

৬. বিক্রয় বিন্দু (Point of Sales / POS) সেবা;

৭. স্বয়ংক্রিয় নিকাশঘর (Automated clearing House /ACH) সেবা; 

৮. আন্তঃব্যাংক নিকাশঘর পরিশোধ পদ্ধতি ইত্যাদি ।

উপসংহারে বলা যায়, ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং হলো ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক তড়িৎবাহী পদ্ধতি যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার করে অতিদ্রুত নির্ভুলভাবে সম্প্রসারিত ব্যাংকিং সেবা সুবিধা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে অর্থ উত্তোলন, সংগ্রহ, স্থানান্তর, লেনদেন সম্পন্নকরণ, তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদান, যোগাযোগ ইত্যাদি কাজ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সম্পাদিত হয় ।

Content added By
Promotion