কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসগুলোকে কম্পিউটার পেরিফেরালস বলে। যেমন— কীবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্ক্যানার, প্লটার, ওসিআর, ওএমআর ইত্যাদি। তথ্যপ্রবাহের দিক বিবেচনা করে কম্পিউটার পেরিফেরালকে সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. ইনপুট পেরিফেরাল ( Input Peripheral )
২. আউটপুট পেরিফেরাল (Output Peripheral) এবং
৩. স্টোরেজ / ইনপুট ও আউটপুট পেরিফেরাল (Storage / Input and Output Peripheral )
১. ইনপুট পেরিফেরাল (Input Peripheral)
কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যারের বা ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডেটা গ্রহণ করে। কম্পিউটারে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজে ডেটা প্রদানে নিয়োজিত হার্ডওয়্যারসমূহই হলো ইনপুট পেরিফেয়াল। কম্পিউটার সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের ইনপুট পেরিফেয়াল ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইনপুট পেরিফেয়ালসমূহ হলো-
১। কী-বোর্ড
২। মাউস
৩। বার কোড রিডার
৪। পয়েন্ট অফ সেল
৫। ট্র্যাকবল
৬। ওএমআর
৭। জয়স্টিক
৮। টাচস্ক্রিন
৯। ওসিআর
১০। স্ক্যানার
১১। ডিজিটাইজার
১২ । লাইটপেন
১৩। গ্রাফিক্স প্যাড
১৪। ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
২. আউটপুট পেরিফেরাল (Output Peripheral)
কম্পিউটারের ফলাফল প্রদর্শনের কাজে বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার সংযুক্ত থাকে। এ সকল হার্ডওয়্যার আউটপুট পেরিফেয়াল নামে পরিচিত। অর্থাৎ কম্পিউটারের ইনপুট হার্ডওয়্যারসমূহের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটাসমূহ প্রক্রিয়াকরণ অংশে প্রক্রিয়াজাত হয়ে যে সকল হার্ডওয়্যারের সাহায্যে ফলাফল প্রদর্শন করে সেগুলোকে আউটপুট পেরিফেয়াল বলা হয়। উল্লেখযোগ্য আউটপুট পেরিফেয়ালসমূহ নিম্নরূপ—
১। মনিটর
২। স্পিকার
৩। ফিল্ম রেকর্ডার
৪। প্রিন্টার
৫। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর
৬। হেডফোন ইত্যাদি।
৭। পুটার
৮। ইমেজ সেটার
৯। ডিজিটাইজার
১০ । লাইটপেন
১১। গ্রাফিক্স প্যাড
১২। ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
৩. স্টোরেজ/ ইনপুট ও আউটপুট পেরিফেরাল (Storage / Input and Output Peripheral) কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত যে সকল ডিভাইসগুলো ইনপুট ও আউটপুট যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাদেরকে ইনপুট ও আউটপুট পেরিফেরাল বলা হয়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইনপুট ও আউটপুট পেরিফেরাল হচ্ছে—
১। হার্ডডিস্ক
৩। পেনড্রাইভ
২। সিডি বা ডিভিডি
৪। টাচস্ক্রিন ইত্যাদি।
আরও দেখুন...