কারক ও বিভক্তি

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - পালি - NCTB BOOK

কারক ও বিভক্তি

কারক

করোতি কিরিযং নিফাদেতীতি কারকং। যা ক্রিয়ার কার্য সম্পন্ন করতে সাহায্য করে তাকে কারক বলে। কারক ছয় প্রকার। যথা-কত্তা (কর্তা), কম (কর্ম), করণ, সম্পদান (সম্প্রদান), অপাদান এবং শুকাস (অধিকরণ)।

১। কত্তা কারক (কর্তৃকারক) যো করোতি সো করা। যে ক্রিয়া সম্পাদন করে সে-ই কর্তা। যথা- মাতা পুত্তং

পঠযতি মা পুত্রকে পড়াচ্ছে। এখানে মাতা কর্তৃকারক।

২। কম্মকারক (কর্মকারক) : যং করোতি তং কৰ্ম্ম। কর্তার ক্লিয়ার দ্বারা যা হয় তা কর্মকারক। অর্থাৎ যা দেখে, করে বা শুনে তাই কর্মকারক। যথা- সো ভত্তং ভুঞ্জতি-সে ভাত খায়। এখানে ভত্তং কম্মকারক। ৩। করণকারক যেন বা কবিরতে তং করণং। যা দ্বারা কর্তার ক্রিয়া নিষ্পন্ন হয় বা সম্পন্ন হয় তাকে করণ কারক বলে। যথা- দারকো হচ্ছেন কম্মং করোতি বালকটি হাত দ্বারা কাজ করে। এখানে হচ্ছেন করণকারক।

৪। সম্পাদান কারক : যস দাতুকামো রেচিতে বা ধারযতে বা তং সম্পদানং। কর্তা যাকে দান করতে ইচ্ছা

করে তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যথা-ভিস অনুং দেহি। ভিক্ষুকে অনুদান কর। এখানে ভিস

সম্প্রদান কারক।

৫। অপাদান কারক যমা দপেতি ভয়ং আদত্তে বা তদাপাদানং। যা হতে দূরে গমন, ভীতি গৃহীত হয় তাকে অপাদান কারক বলে। যথা-রুমা ফলং পদ্ধতি-বৃক্ষ হতে ফল পড়ছে। এখানে রুমা অপাদান কারক।

৬। অধিকরণ কারক: যো ধারো তং ওকাসং। যা ক্রিয়ার আধার তার নাম ওকাস বা অধিকরণ কারক। যথা- আকাসে বিহগা বিচরপ্তি-পাখিরা আকাশে বিচরণ করে। এখানে আকাসে অধিকরণ কারক।

আদর্শ অনুবাদ

রামো গচ্ছতি রাম যাচ্ছে। রামো সমণং চীবরং দদাতি রাম শ্রমণকে চীবর দান করছে। রামো পাদের গচ্ছতি রাম পা দিয়ে গমন করছে।বিভক্তি প্রকরণ

মাধ্যমিক পালি

যা দ্বারা কারক সম্পর্কে ধারণা জন্মে তাকে বিভক্তি বলে। বিভক্তি দ্বারা কারকের পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। বিভক্তি সাত প্রকার। যথা-পঠমা (প্রথমা), দুতিযা (দ্বিতীয়া), ততিযা (তৃতীয়া), চতুর্থী (চতুর্থী), পঞ্চমী, ছট্‌ঠী (ষষ্ঠী), সপ্তমী (সপ্তমী)।

পঠমা বিভক্তি

১। লিখে পঠমা লিঙ্গার্থে শব্দের উত্তর প্রথমা বিভক্তি হয়। যথা: বৃদ্ধ, ফলং।

২। কস্তুরি চ : কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যথা : দারকো রোদতি- বালকটি কাঁদছে। সকুণা

কুস্তি -পাখিরা কুজন করছে।

৩। করণ করে : কর্মবাচ্যে প্রথমা বিভক্তি হয়। যথা- বুদ্ধেন দেসিত ধম্মো-বুদ্ধ কর্তৃক দেশিত ধর্ম।

৪। নামাদিযোগে : নাম প্রভৃতি অব্যয়যোগে প্রথমা বিভক্তি হয়। যথা- বারাণসিযং ব্রহ্মদত্তো নামে একো রাজা

আহোসি- বারাণসীতে ব্রহ্মদত্ত নামে এক রাজা ছিলেন।

৫। আলাপনে পঠমা : সম্বোধনে প্রথমা বিভক্তি হয়। যথা :- ভো পুরিসো- ওহে মানব।

পুতিষা বিভক্তি

১। কম্মাতি পুতিয়া : কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয় । যথা : ভিক্ষু ধম্মং দেসেতি- ভিক্ষু ধর্মদেশনা করছেন।

সিসু দুদ্ধং বিপত্তি- শিশু দুধ পান করছে।

২। কালস্থানং অচন্তসংযোগে কাল বা স্থানের সংযোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- ঘোরো মাসং ঝাতি স্থবির মাসব্যাপী ধ্যান করছে। সরদং রমণীয়া নদী- শরৎকালে নদী রমণীয় থাকে। যোজনং দীর্ঘ সালবনং- একযোজন দীর্ঘ শালবন।

৩। গতি-বুদ্ধি-ভুজ-পঠ-হর-কর-সযাদীনং কারিতে বা গতিবোধাত্নক ও ভুজ, পঠ, হর, কর, সব প্রভৃতি ধাতু ণিজন্ত হলে ণিজন্ত ক্রিয়ার কর্ম বিকল্পে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- পিতা পুত্তং বিজ্ঞালয়ং গমাযতি- পিতা পুত্রকে বিদ্যালয়ে পাঠায়। উপাসিকা ভিক্ষুং ভত্তং ভোজাযতি-উপাসিকা ভিক্ষুকে ভোজন করাচ্ছেন। ব্যাগঘো সারসং গলথিং হারযতি-ব্যাঘ্র সারসের সাহায্যে গলার অস্থি বের করাচ্ছে। সো পুরিসং গামং গমযতি- সে লোকটিকে গ্রামে পাঠাচ্ছে। বেজ্জো গিলানো পরিসং সেযাং সাপদ্ধতি-চিকিৎসক রোগীকে শয্যায় শয়ন করাচ্ছেন।

৪। কাবচনীয় যুক্তে : কর্ম প্রবচনীয় শব্দের প্রয়োগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- অনু, পতি, পরি, অভি এ কয়টি উপসর্গ যখন লক্ষণ, বিচ্ছা (ব্যক্তি), ইথম্ভূত (এ রকমভাব) ভাগ, সহ ও হীন অর্থে প্রযুক্ত হয় তখন তাদিগকে কর্মপ্রবচনীয় বলে। তাছাড়া বী ইত্যাদি নিপাতযোগেও দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা-

পঞ্চতং অনু বহতি বায়ু পর্বতের দিকে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। গেহং অনু বিজ্জতে সুরিয- সূর্য গৃহের পর গৃহ আলোকিত করছে। সাধু দেবদত্ত মাতরং পতি- দেবদত্ত মাতার প্রতি সদয়। দীনং পতি সদযো ভব- দরিদ্রের প্রতি সদয় হও। মগ্‌গং অভিতো রুকখো রাস্তার দু ধারে বৃক্ষ আছে। কপণং থি-কৃপণকে ধিক। ধি ব্রাহ্মণ হস্তারং-ব্রাহ্মণ হত্যাকারীকে ধিক।

৫। কচি দুতিযা ছীনং অর্থে ষষ্ঠী বিভক্তির অর্থে কখনো কখনো শব্দের উত্তর দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- তং খো পন ভগবন্তং এবং কল্যানো কীৰ্ত্তি সদ্দো অবেভাগতে সেই ভগবানের এ রকম সুফল উত্থিত হয়েছে। ৬। কিরিযা বিসেনাতি ক্রিয়া বিশেষণে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- দারিকা মধুরং হসতি বালিকা মধুর হাসি

হাসছে।

৭। অব্যয় যোগে চ : অন্তরা, অন্তো, তীরো, অভিতো, পরিতো ইত্যাদি অব্যয় যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা-

অন্তরা চ নালন্দং অন্তরা চ রাজদেহং নালন্দা রাজগৃহের মধ্যবর্তী। অস্তো নগরং কোরাহং উপজ্জি-নগরের মধ্যে

কোলাহল উৎপন্ন হয়েছিল। রাজা অতীতো নগরং খবাবারং ঠপেসি-রাজা নগরের সন্নিকটে শিবির সংস্থাপন

করলেন। পচ্চমিত্তো তীরে রজ্জৎ নিত্তি-শত্রু রাজ্যের বাইরে গেছে।

৮। ততিযা সত্তমীঞ্চ : তৃতীয়া ও সপ্তমীর অর্থে কখনও কখনও দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- ধম্মং বিনা সুখং নথি-ধর্ম বিনা সুখ সেই। এবং সময়ং ভগবা সাবথিযং বিহরতি জেতবনে-একদা ভগবান শ্রাবস্তীর জেতবনে বাস করছিলেন। সো মং নালপিস্সতি- সে আমার সাথে কথা বলে না।

ততিয়া বিভক্তি

১। করণে ভতিযা : করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- সো পদসা গচ্ছতি- সে পায়ে হাঁটছে। উন্দুরো দন্তেহি বহুং ছিন্দি-ইঁদুর দাঁত দিয়ে কাপড় কাটছে। কসসকো কুদ্দালেন ভূমিং খণতি-কৃষক কোদাল দ্বারা মাটি খনন করছে।

২। কস্তুরি চ : কর্ম ও ভাববাচ্যে কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- রাবণো রামেন হতো- রাম কর্তৃক রাবণ নিহত হয়েছে। থাকখাতো ভগবতো ধম্মো ভগবান কর্তৃক ধর্ম সুন্দররূপে ব্যাখ্যাত হয়েছে। ব্যাথেন হত মিগ-ব্যাগ্র কর্তৃক হত হরিণ। ইমিনা অগিনা পচিতং মংসং-এ অগ্নিদ্বারা মাংস পাক করা হয়েছে।৩। সহাদি যোগে চ সহ, সম্পিং, অগং কিং, বিনা প্রভৃতিযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- পিতা পুত্তেন সহ গচ্ছতি-পিতা পুত্রসহ গমন করছে। অলং চিকিচ্ছায-চিকিৎসার প্রয়োজন সেই। কিং মে জটাহি- আমার জটার কি দরকার, ধম্মেন বিনা গতি নথি-ধর্ম বিনা গতি নেই। রামো লক্ষণেন সন্ধিং বনং গচ্ছি- রাম লক্ষণের সাথে বনে গিয়েছিল।

৪। হেতুথে চ : হেতু অর্থে এবং হেতু শব্দযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- সো দুখেন রোদতি সে দুঃখের কারণে কাঁদে। কেন হেতুনা বিবাদতি-ঝগড়া করছো কেন? মাণবো আত্তনো কম্মেন জয়তি-মানুষ নিজের কর্মের দ্বারাই জন্মগ্রহণ করে।

৫। যেনঙ্গ বিকারো : শরীরের যে অংগ বিকারগ্রস্থ সে অংগবাচক শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা-

পাদেন খঞ্জো-এক পা খোঁড়া। সো অনিা কাণো তার এক চোখ কানা। সোতেন বধিরো-কানে শোনে না।

৬। বিশ্বেসনে চ বিশেষণার্থে শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- গোল্ডেন গোতম- গোত্রের দ্বারা

গৌতম। জাতিযা খতিযো জন্মের দ্বারা ক্ষত্রিয়। ৭। সত্তম্যধে চ : সপ্তমী বিভক্তির অর্থেও তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যথা- তেন সমযেন ভগবা উরুবেলাসং বিহরতি। সে সময়ে ভগবান উরুবেলায় বাস করছিলেন। এত্তকেন সমযেন আগচ্ছি-এ সময়ের মধ্যেই আসবে।

চতুর্থী বিভক্তি

১। সম্পাদনে চ সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- সো ভিকুৎস চীরবং দদাতি-সে ভিক্ষুকে চীবর

দান করছে। ব্রাহ্মণস ধনং দেহি- ব্রাহ্মণকে ধন বিতরণ কর। ইসিনো অনুং চ পানং চ দেহি ঋষিগণকে

অনুপানয়ি দাও ।

২। আরোচনাথে জ্ঞাপনার্থ শব্দযোগে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- সো রা তং পবত্তিং আরোচেসি-সে রাজাকে এ সংবাদ জানাল। আমন্তযামি ভো ভি-হে ভিক্ষুগণ, আমি আপনাদের আহ্বান করছি। ৩। নিমিত্তবে নিমিত্ত বা জন্য বোঝালে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- দেবমনুসায় হিতায় ধম্মং দেসেতু

দেবমনুষ্যের হিতের জন্য ধর্মদেশনা করুন। ভিখু পিন্ডায় রচতি-ভিক্ষু ভিক্ষার জন্য বিচরন করছেন। কুগুলায়

সুবপ্নং-কুণ্ডল তৈরির জন্য স্বর্ণ।

৪। তুমন্ধে : তুং প্রত্যয়ান্ত, ক্রিয়া উহ্য থাকলে উহার কর্মে অথবা তুং অর্থে শব্দের উত্তর চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- সো ফলানং উদ্যানং যাতি-সে ফলের জন্য বাগানে যায়। সো পঠনখায বিজ্ঞালযং গচ্ছতি-সে পড়ার জন্য বিদ্যালয়ে যায়। অহং বুদ্ধং দসসনথায় আগচ্ছিং- আমি বুদ্ধকে দেখার জন্য এসেছি।

৫। অলমদ্ধে : অলং শব্দটি সকক্ষ অথবা নিষ্প্রয়োজন অর্থবোধক শব্দযোগে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- অলং মলো মলস একজন মল অন্য মলের সমকক্ষ। অলং বীরো বীরায় একজন বীর অন্য বীরের সকক্ষ অলং মে রজ্জং আমার রাজ্যের প্রয়োজন নেই।৬। গত্যর্থে কম্মানি : গতিবোধাত্মক ধাতুকর্মে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- অপো সগ্‌গং গচ্ছতি-অল্পলোক স্বর্গে যায়।

৭। নমোযোগাদিয়ানি চः নমো, সোথি, সুগত ইত্যাদি সম্মানসূচক শব্দের প্রয়োগে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- নমো তস ভগবতো-ভগবানের উদ্দেশ্যে নমস্কার। সোখি তে ভগিনী-ভগ্নি, তোমার শাস্তি হোক। স্বাগত তে-তোমায় স্বাগতম।

৭। পাণিনী : অনাদর বা অবজ্ঞা বোঝালে মঞ ধাতু যোগে অবজ্ঞার্থে প্রযুক্ত অপ্রাণী বাচক কর্মে

চতুর্থী বিভক্তি হয় । যথা- অহং জীবিতং তিণায ন মঞ্ঞামি- আমি জীবনকে তৃণতুল্য জ্ঞান করি না। কঠসূস

তৃবং মঞঞে-তোমাকে আমি কাষ্ঠের ন্যায় মনে করি।

৯। আসিংসষে যাকে আশীর্বাদ করা হয় তার সম্প্রদান সংজ্ঞা অর্থাৎ চতুর্থী বিভক্তি হয়। যথা- সুখং ভবতো

হোতু-তুমি সুখী হও।

পঞ্চমী বিভক্তি

১। অপাদানে পঞ্চমী অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা- বুরখমা ফলং পততি-বৃক্ষ হতে ফল

পড়ছে। পাপচিত্তং নিবারযে-পাপ হতে চিত্তকে নিবারিত করবে। নগরা নিগৃগতো রাজা-রাজা নগর হতে

নিষ্ক্রান্ত হয়েছেন।

২। ধাতুনামানং উপসগযোগে কতকগুলো ধাতু ও বিশেষ্যপদের সাথে কতকগুলো উপসর্গ যুক্ত হলে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা-

হিমবন্ত পড়বতি পঞ্চ মহানদিযো হিমালয় পর্বত হতে পাঁচটি মহানদী প্রবাহিত। তম্হা সমাধিস্হা উঠহিতা-সেই সমাধি হতে উত্থিত হয়ে। বুদ্ধমহা পরাজিত অশ্রুতিথিয়া- তির্থিকগণ বুদ্ধ কর্তৃক পরাজিত। ৩ হেতুর্থে : হেতু অর্থে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা- কমা হেভুনা ত্বং ইধাগতো- কিসের জন্য তুমি এখানে

এসেছ? যক্ষ্মা তুং ভীতুসি-যার জন্য তুমি ভীত হয়েছ।

৪। অন্ধকাল নিৰ্ম্মাণে স্থান ও কালের পরিধি নির্দেশ করতে পঞ্চমী বিভক্তি হয়া। যথা- ইতো চতুসো যোজনেসু সঙ্কস নহগরং অর্থি এখান হতে চারক্রোশ যোজন দূরে সাংকাশ্য নগর অবস্থিত। গামস কোসমথকে নদীং পবাহিত গ্রাম হতে এক ক্রোশ দূরে নদী প্রবাহিত।

৫। দিসা যোগে দিকবাচক শব্দযোগে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা- অবিঠিতো উপর-অবীচি নরকের উপরে।

উদ্ধং পাতলা-পায়ের তলা হতে উপরের দিকে ৬। তা লোপে কম্মাধিকরণেসু তা প্রত্যয় শব্দের লোপ হলে কর্ম ও অধিকরণ কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়।সকটা ওতরি-শকট হতে অবতরণ করলেন। আসনা উঠহতি-আসন হতে উঠেছেন।

৭। তুলনথে দুয়ের মধ্যে তুলনা বোঝালে নিকৃষ্টতাবোধক শব্দের উত্তর পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা- ধা বিজ্জা সেয্য-ধন হতে বিদ্যা শ্রেষ্ঠ। দেবদত্তো অঙ্গুলিমালস দুসীলতরো- দেবদত্ত অঙ্গুলীমালের চেয়ে দুঃশীলপরায়ণ।

৮। রখনঠামিচ্ছিতং : যে সমস্ত বস্তু অন্যের আক্রমণ থেকে রক্ষার প্রয়োজন হয় তার উপর পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যথা- কাকে রক্খস্তি তগুলা কাক হতে চাউল রক্ষা করে।

হুট্‌ঠী বিভক্তি

১। সামীশিং ছট্‌ঠী স্বামী বা সম্বন্ধে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা- রঞা সাসনং- রাজার শাসন। মনুসান আবাসো মানুষের আবাস। পুকানং গন্ধো-ফুলের গন্ধ।

২। নির্ধারণে চ : অনেকের মধ্যে একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ দ্বারা পৃথক করার নাম নির্ধারণ। নির্ধারণে ষষ্ঠী

বিভক্তি হয়। যথা- দেবানং সেট্‌ঠো ইন্দো-ইন্দ্ৰ দেবতাগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। নরানং চক্ষুমান সেঠো-মানুষের

মধ্যে চক্ষুষ্মান শ্রেষ্ঠ। মনুসানং খক্তিযো সুরতমো মানুষের মধ্যে ক্ষত্রিয় বীর্যবান।

৩। অনাদরে চ : অনাদর বা অবজ্ঞা বুঝালে অবজ্ঞাত জিনিসের উপর ষষ্ঠী বা সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা- সো রোদনসূস দারকস পজি-ছেলেটি রোদন করা সত্ত্বেও তিনি প্রব্রজ্যা গ্রহণ করলেন। রাজা গীলানস পুরিসস দণ্ডং অদাসি-রাজা লোকটি রুগ্ন হওয়া সত্ত্বেও তাকে শাস্তি প্রদান করলেন।

৪। তৃতীযা সত্তমী : তৃতীয়া ও সপ্তমীর অর্থে কখনও কখনও ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা- পুপ্‌স বুদ্ধং পূজেতি-ফুল দ্বারা বুদ্ধকে পুজা করে। অযং দারিকা নগীতিস কুসলা-এ বালিকা নাচগানে দক্ষ ।

৫। সামিসরাধিপতি দায়াদ, সখি, পতিভূ ইত্যাদি শব্দ যোগে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। বিম্বিসারো কোসরস অধিপতি অহোসি-বিম্বিসার কোসল সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। অহং ধম্মস্স দাযাদ ভবি সামি- আমি ধর্মের

উত্তরাধিকার হব। কো এথ অথস সথি এখানে মোকদ্দমার সাক্ষী কে?

৬। সুতিযা পঞ্চমীঞ্চ : দ্বিতীয়া ও পঞ্চমী বিভক্তির অর্থে ক্বচিৎ ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা- সন্ধে তসস্তি দণ্ডস সকলেই শাস্তিকে ভয় করে। সব্বে ভাতি মচ্ছনো সকলেই মৃত্যুভয়ে ভীত। রাজা অম্হাকং জীবতিস[] দাতা-রাজা আমাদের জীবনদানকারী। পাপস অকরণং সুখং-সুখের মধ্যে পাপ করতে নেই।

৭। তুল্যথে চ তুল্য, সদিস, সম শব্দযোগে ও ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা- বিনয়স সদিসো গুণ নথি- বিনয়ের মত গুণ নেই।

৮। কিলমখে চ : কিং যোগে, অলং যোগে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যথা- তস অলং-তার প্রয়োজন নেই। কিং তস সুঠী তার পক্ষে কি ভাল?সপ্তমী বিভক্তি

১৫৫

১। ওকাসে সপ্তমী ওকাস বা অধিকারণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা- তস্মিং সরে উদকং মন্দং-সেই সরোবরে জল কম। আকাসে সরুণা বিচরতি-আকাশে পাখিরা উড়ছে। ভগবা সাবথিযং বিহরতি- ভগবান শ্রাবস্তীকে বাস করছেন।

২। কাল ভাবেসু : কালার্ধে ও ভাবার্থে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা- সাযগৃহ সময়ে অগামিসামি-আমি সন্ধ্যায়

আসব। অতীতে বারাণসিযং ব্রহ্মদত্তে রজ্জং কারেস্তে বোধিসত্তো হথীযোনিয়ং নিব্বত্তি-অতীতে বারাণসীতে

ব্রহ্মদত্তের রাজত্বকালে বোধিসত্ত্ব হস্তীকূলে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। সুরিয উগ্‌গচ্ছস্তে অন্ধকারং

অন্তরধাযতে-সূর্য উদিত হলে অন্ধকার দূরীভূত হয়। সুরিয উগ্‌গচ্ছন্তে পদুমং বিসতি-সুর্য উদিত হলে পদ্ম

ফুল প্রস্ফুটিত হয় ।

৩। উপধারাধিক ইসরবচনে উপ এবং অধি উপসর্গ যথাক্রমে অধিক এবং ঈশ্বর অর্থবাচক হলে শব্দের উত্তর

সপ্তমী বিভক্তি হয় । যথা- অধিদেবেসু বুদ্ধো-দেবতা হতে বুদ্ধ শ্রেষ্ঠ। উপনিক কহাপণং-নিক্ক হতে কহাপণ অধিক।

৪। কম্ম করণে নিমিত্তখেসু সত্তমী : কর্ম, করণ ও নিমিথার্থে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা-

সো পত্তে চম্বতি-সে পুত্রকে চুম্বন করে। তে রাজসিং আভিবাদেস্তি তারা রাজাকে অভিবাদন করছে। ব্যাঘা চম্মেসু হনযতে চামড়ার জন্য বাঘকে হত্যা করা হয়েছে। নথি বালো সহয়তা মুর্খের সাথে সহায়তা করতে নেই ।

৫। সম্পদানে চ সম্প্রদান অর্থে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা- সঙ্গে দিনং মহাপফলং হোতি-সঙ্গে দান দিলে মহাফল হয়। 

৬। পঞ্চম্যথে চ : পঞ্চমীর অর্থেও সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা-

কদলীসু গজং রক্ষতি-কলাগাছ হতে হাতিকে রক্ষা করে। জেতবনে অন্তরা ধাযতি ভগবা-ভগবান জেতবন হতে চলে যাচ্ছে। 

৭। অনাদরে চ অনাদর বা অবজ্ঞা বুঝালে অবজ্ঞার উত্তর সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা-

গোপা রোদস্তস্মিং দারকস্মিং পাচ্ছি- গোপা ক্রন্দনরত বারককে প্রব্রজ্যা প্রদান করলেন।

৮। মস্তিতুসসুকেসু চ মণ্ডিতার্থে (সন্তুষ্ট) এবং উৎসুকার্থে (উৎসুক) সপ্তমী বিভক্তি হয়। যথা- এ্যাপে। মণ্ডিতো-জ্ঞানে সন্তুষ্ট-

জ্ঞাণে উসকো- জ্ঞান উজ্জীবিত।

Content added || updated By
কর্তৃকারকে ৭মী
সম্প্রদান কারকে ৭মী
কর্তৃকারকে ২য়া
কর্তৃকারকে ৪র্থ

আরও দেখুন...

Promotion