জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

জৈব নিরাপত্তা হলো পানিতে চাষযোগ্য সকল মাছ, চিংড়ি, অন্যান্য জলজ প্রাণির রোগ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে হ্যাচারি, খামার এসব জায়গা থেকে নির্দিষ্ট জীবাণুগুলো বাদ দেয়ার কৌশল। বাগদা চিংড়ি চাষে প্রাসঙ্গিক ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে, সেগুলো হ্রাস করার জন্য উপযুক্ত জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা উচিত।

ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি

  • হ্যাচারিতে প্রবেশের সময় এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ করতে হবে এবং প্রতিটি প্রবেশপথে হাত পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। যা প্যাথোজেনিক লোড কমাতে সহায়তা করে।
  • ক্লোরিন বা ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানিতে পা ডোবানোর ব্যবস্থা রাখা উচিত।
  • চাষের স্থানে প্রবেশাধিকার ন্যূনতম সংখ্যক ভালো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
  • দর্শনার্থীদের সংখ্যা ন্যুনতম রাখতে হবে। চেক ট্রে ব্যবহারের পর পরিষ্কার করা উচিত।
  • মৃত ও দুর্বল চিংড়ি নিয়ে কাজ করার সময় অত্যন্ত সাবধানে কাজ করতে হবে। এগুলো থেকে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
  • পাখি ও অন্যান্য প্রাণির চলাচল রোধে বেড়া স্থাপন জরুরি। কারণ এসব থেকে রোগজীবাণু ছড়ায়।
  • নির্দিষ্ট প্যাথোজেনযুক্ত চিংড়ির জাত, রোগসৃষ্টিকারী এজেন্টগুলোর জন্য তাদের বিকাশ ও পর্যবেক্ষণের জন্য ডায়াগনস্টিক পদ্ধতিগুলো সাম্প্রতিক চিংড়ি চাষ শিল্পের উন্নয়নে বিশাল অবদান রাখে। এ
  • কটি জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থার শারীরিক এবং এতদসংশ্লিষ্ট উপাদানগুলোতে লঙ্ঘন ঘটলে রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূলের জন্য জরুরি পরিকল্পনা আবশ্যক।
  • চিংড়ির খাবারে প্রোবায়োটিক মিশিয়ে খাবারের গুণগতমান বাড়ানো যায় যা রোগজীবাণুর আক্রমণকে হ্রাস করে।
  • হ্যাচারিতে জীবাণুমুক্ত পরিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত। এতে বায়োসিকিউর চিংড়ি উৎপাদন ব্যবস্থা পরিবেশগতভাব টেকসই এবং অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর প্রযুক্তির প্রতিনিধিত্ব করে।
Content added By
Promotion