টার্কি খামার ব্যবস্থাপনা ও জৈব নিরাপত্তায় করণীয়

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
13
13

টার্কি খামার ব্যবস্থাপনা ও জৈব নিরাপত্তায় করণীয়

খামারের প্রধান গেট তালা দিয়ে রাখতে হবে। জৈব নিরাপত্তা চালু আছে, ‘প্রবেশ নিষেধ' লেখা সাইনবোর্ড লাগাতে হবে

  • খামারের চার পাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে 
  • খামারের শেডের পাশে খাদ্যদ্রব্য ফেলা যাবে না, এতে বন্যপাখি আসবে। বন্যপাখি বার্ড ফ্লুর ভাইরাস বহন করে
  • দর্শনার্থীদের এবং অন্য খামারের কর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না 
  • খামারের ভেতরে নিয়োজিত কর্মীদের খামার কর্তৃক প্রদত্ত জীবাণুমুক্ত পোশাক, জুতা, টুপি ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে
  • খামারের ভেতর প্রবেশের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, গাড়িসহ সবকিছু জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশ করাতে হবে। এসব কিছুতে জীবাণুনাশক পদার্থ স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
  • খামারের ভেতর যারা থাকবে বা প্রবেশ করবে তাদের পরিধেয় সবকিছু জীবাণুমুক্ত হতে হবে। 
  • টার্কির ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে হবে; যাতে বিড়াল, কুকুর, ইঁদুর, সাপ, বেজি ইত্যাদি প্রবেশ করতে না পারে।
  • এক খামারের লোক অন্য খামারে গোসল করতে জীবাণুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে। 
  • জীবাণু এক খামার থেকে অন্য খামারে প্রবেশ প্রতিরোধ করতে হবে। 
  • খামারের কর্মীদের বন্যপাখির দোকানে খাওয়া যাবে না। 
  • খামার পরিত্যাগের সময় খামারের বস্ত্রাদি পরিবর্তন করে হাত-পা ভালোভাবে ধুতে হবে। 
  • প্রতিটি শেডের সামনে পা ধোয়ার জীবাণুমুক্তকরণ তরল পদার্থ রাখতে হবে। 
  • শেডে প্রবেশের সময় পা জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশ করতে হবে। 
  • দেশের ভেতর থেকে বাচ্চা সংগ্রহের আগে নিশ্চিত হতে হবে, ওই খামারের গত এক বছরে কোনো রোগ দেখা দিয়েছে কি না ।
  • অতিথি পাখি খামারের আশপাশে বা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। খামারের কর্মীদেরও অতিথি পাখির কাছে যাওয়া যাবে না। কারণ শীতকালে বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশে অতিথি পাখি আসে। পাখিগুলো বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করতে পারে।
  • কোনো টার্কি অসুস্থ হলে বা মারা গেলে সাথে সাথে জেলা বা উপজেলা পশু চিকিৎসা কেন্দ্ৰে জানাতে হবে। 
  • মৃত টার্কি মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
  • খামারে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার জন্য একটিমাত্র পথ চালু থাকবে। 
  • টার্কি ও ডিম বিক্রি করে খাঁচা, সরঞ্জামাদি ও যানবাহন পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করে খামারে প্রবেশ করতে হবে। কারণ যেখানে টার্কি ও ডিম বিক্রি করা হবে, সেখানে অন্য টার্কি থেকে জীবাণু আসতে পারে। 
  • অবিক্রীত টার্কি ও ডিম খামারের ভেতর নেয়া যাবে না ।
  • টার্কিকে সময় মতো সব রোগের টিকা দিতে হবে। 
  • টার্কি, হাঁস, কবুতর ও অন্যান্য পাখি একত্রে পালন করা যাবে না। 
  • অতিথি পাখি শিকার বন্ধ করা, বিক্রি বন্ধ করা এবং অতিথি পাখির কাছে যাওয়া নিষেধ। 
  • বাড়িতে পালার জন্য বাজার থেকে কেনা টার্কি অন্তত ১৫ দিন আলাদা রেখে তারপর বাড়িতে টার্কির সাথে রাখতে হবে।
  • খামারের ভেতরে প্রবেশের সময় জীবাণুমুক্ত গ্লাভস, গামবুট, মাস্ক, টুপি ও অ্যাপ্রন ব্যবহার করতে হবে
  • এক শেডের যন্ত্রপাতি বা ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্য শেডে ব্যবহার করা যাবে না । 
  • রোগাক্রান্ত টার্কির বিষ্ঠা, ময়লা, বর্জ্য মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। 
  • শেডের লিটার ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হবে এবং শুকনা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • টার্কির ঘরে কাজ করার সময় ভেতর থেকে দরজা বন্ধ রাখতে হবে। 
  • টার্কির মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলে পশু হাসপাতালে জানাতে হবে। অস্বাভাবিক আচরণের মধ্যে রয়েছে টার্কি পরপর দুই দিন ২০ শতাংশ হারে পানি ও খাদ্য কম খেলে এবং ডিম উৎপাদন পর পর দুই দিন ২০ শতাংশ হারে কমলে ।
  • লেয়ার টার্কির বিষ্ঠা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। 
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় সুষম ও টাটকা খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। 
  • জীবাণুনাশক হিসেবে সাবান, ডিটারজেন্ট, ভিরকন, ফার্ম ফ্লুইড ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

 

Content added By
Promotion