ডিজিটাল প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ডিজিটাল প্রযুক্তি - Digital Technology - ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বৈচিত্র্য | | NCTB BOOK
20
20

গত সেশনে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব রোধে আমাদের করণীয় সম্পর্কে জেনেছি। সেই সাথে আরও জেনেছি ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের কী ধরনের নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, এই অভিজ্ঞতায় আমাদের শেষ কাজটি হবে সেমিনারে একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করা। এই সেশন থেকেই আমরা আমাদের মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের জন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু করব। তবে সেশনের শুরুতেই আমরা জানব ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ কীভাবে করা যায়।

মনে করে দেখি, ৯ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ সম্পর্কে বেশ কিছু বিষয় জেনেছি। এখন এসো সেই অভিজ্ঞতাগুলো থেকে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে নিচের বক্তব্যগুলোর সত্য/মিথ্যা নির্ণয় করতে পারি কিনা তা যাচাই করে দেখি-

 

ছক ৬.৫

বক্তব্য

সত্য / মিথ্যা

১। কপিরাইটে রেজিস্ট্রেশন করা আছে এমন ছবি স্বত্বাধিকারী অনুমতি ছাড়াই ইন্টারনেট থেকে নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।

 

 

২। প্রয়োজনীয় কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে এর লাইসেন্স কিনে তারপর ব্যবহার করা উচিত।

 

 
৩। অনুমতি ছাড়া কারো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা উচিত নয়। 

৪। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ কিছু শেয়ার করলে তা যদি আমার পছন্দ না হয় তাহলে সেখানে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করা উচিত।

 

 

৫। ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো তথ্য দেখলে প্রথমে তার উৎস যাচাই করে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তারপর তা শেয়ার করা উচিত।

 

 

৬। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে আমার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের পিন কোড কারো সাথে শেয়ার করা উচিত নয়।

 

 

৭। নিজের পরিচয় গোপন রাখার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য কারো নাম এবং ছবি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত।

 

 

৮। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কাউকে কোনো বাজে মন্তব্য করা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।

 

 

 

তাহলে দেখতে পাচ্ছি যে, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে কীভাবে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হয় সে সম্পর্কে আমরা আগের অভিজ্ঞতাগুলো থেকেই অনেক কিছু জেনেছি। এবার এসো নিচের গল্পগুলো পড়ে আরও কয়েকটি বিষয় জেনে নিই।

 

ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট 

বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী বিদেশে একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ পড়তে যায়। সেখানে যাওয়ার এক মাস পর সে হঠাৎ একদিন জানতে পারল তার বৃত্তিসহ ভর্তি বাতিল হয়ে গিয়েছে। এমনটা কেন হলো তা জানতে চাইলে তাকে বলা হলো যে তার ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টে নেতিবাচক রিপোর্ট আসায় বিশ্ববিদ্যালয়টি তার ভর্তি বাতিল করেছে। ৩ বছর আগে সে জঙ্গিবাদের সমর্থনে লেখা একটি অনলাইন প্রতিবেদনে না বুঝে একটি সমর্থনমূলক মন্তব্য করেছিল। তার সেই ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসায় তারা তার বৃত্তি এবং ভর্তি বাতিল করে দিয়েছে।

 

বাংলাদেশি একজন নাগরিক গতমাসে একটি বড়ো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে চাকরি পেয়েছে। সেই সুবাদে সে তার প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের জন্য একটি বেশ বড়ো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সবাইকে অনেক আপ্যায়ন করে। কিন্তু কিছুদিন পর জানা যায় যে তার চাকরিটি চলে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে তার ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টে নেতিবাচক রিপোর্ট পাওয়া যাওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। দুদিন আগে সে তার একজন সহকর্মীর শেয়ার করা পোস্টে অসম্মানসূচক মন্তব্য করায় প্রতিষ্ঠান থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

গল্পগুলো পড়ে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব দায়িত্বশীল আচরণ সম্পর্কে শিখলাম তা নিচের ছকে লিখে ফেলি-

 

ছক ৬.৬

১। ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো তথ্য শেয়ার করা বা কোথাও কোনো মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্কতা বজায় রাখব।

 

২।

 

৩।

 

8।

 

৫।

 

Content added || updated By
Promotion