বাগদা চিংড়ির নার্সারি পুকুরে পোনা মজুদ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

নার্সারি পুকুরে মজুদ করতে হবে। নার্সারি পুকুরের আয়তন, পানির গভীরতা ও চাষ পদ্ধতির ওপর পোনা মজুদের হার নির্ভর করে।

সারণি: জারকন, পানির গভীরতা ও চাষ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে নার্সারি পুকুরে পোনা মজুদের পরিমাণ

নার্সারি পুকুরে পোনা মজুদকরণের পূর্বে পোনাকে খাপ খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে-

  • পরিবহণকৃত পোনা ব্যাগসহ পুকুরের পানিতে ভাসিয়ে রাখতে হবে। এ অবস্থায় পরিবহণকৃত ব্যাগের পানি ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা একই হলে ব্যাগের মুখ খুলে পুকুরের পানি অল্প অল্প করে ব্যাগে প্রবেশ করাতে হবে। ৪০-৫০ মিনিট সময় ধরে পোনাকে খাপ খাওয়াতে হবে। এতে পানির লবণাক্ততা, দ্রবীভূত অক্সিজেন, পিএইচ ইত্যাদির মাত্রা সমতায় চলে আসবে।
  • পোনা ছাড়ার পূর্বে খাপ না খাওয়ালে হঠাৎ পরিবর্তীত পরিবেশে চিংড়ির পোনা সহজে দুর্বল হয়ে রোগাক্রান্ত হতে পারে এবং মারা যেতে পারে।
  • সকাল বা সন্ধ্যা পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময়। এসময় পানির তাপমাত্রা সহনীয় অবস্থায় থাকে। 
  • ব্লিচিং পাউডার প্রয়োগের ৮-১০ দিন এবং রোটেনন প্রয়োগের ৫-৬ দিন পর পোনা ছাড়া উচিত।
  • পিসিআর পরীক্ষিত সুস্থ ও সবল পোনা মজুদ করা উচিত।
  • নার্সারি পুকুরে প্রতি শতকে ৪০০০ টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে।

সুস্থ্য সবল ও ভালো মানের পোনার বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-

  • দেহের সুষ্ঠু বাহ্যিক গঠন।
  • স্রোতের বিপরীতে প্রানবন্ত চলাফেরা।
  • এক জায়গায় জটলা বেধে না থাকা।
  • দ্রুত বর্ধনশীল।
  • পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ।
Content added By
Promotion