বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের গুরুত্বপূর্ণ প্যাকেজ বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারসমূহ হলো ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট বিশ্লেষণ, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রোগ্রাম ইত্যাদি।
▪️ওয়ার্ড প্রসেসিং (Word Processing)
ওয়ার্ড (Word) শব্দের অর্থ শব্দ আর প্রসেসিং (Processing) শব্দের অর্থ প্রক্রিয়াকরণ। কম্পিউটারের সাহায্যে বর্ণমালা, সংখ্যা, চিহ্ন বা শব্দ ব্যবহার করে ডকুমেন্ট বা লিপি তৈরি করা উক্ত ডকুমেন্টকে সম্পাদনাই হলো ওয়ার্ড প্রসেসিং। বর্তমানে কম্পিউটার প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে চমৎকারভাবে ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের কাজ করা যায়। অর্থাৎ ডকুমেন্ট তৈরি ও প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহৃত এক বিশেষ ধরনের কম্পিউটারের ব্যবস্থাকে ওয়ার্ড প্রসেসর বলে। মূলত লেখালেখির কাজ করার জন্য ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামকেই ওয়ার্ড প্রসেসর বা ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম বলে। আধুনিক ডকুমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম রয়েছে। উল্লেখযোগ্য ওয়ার্ড প্রসেসর প্রোগ্রামসমূহ হলো— মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word ), ওয়ার্ডস্টার ( Wordstar), ওয়ার্ডপারফেক্ট (Wordperfect), ল্যাটেক্স (Latex), নোড প্যাড (Note Pad), ম্যাকরাইট (Mac Write), ওয়ার্ড প্যাড (Word Pad), ওপেন অফিস রাইটার ইত্যাদি। তবে বর্তমানে পিসিতে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস পরিবেশে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word) হচ্ছে বহুল ব্যবহৃত এবং ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ওয়ার্ড প্রসেসর প্রোগ্রাম। ওয়ার্ড প্রসেসর প্যাকেজ দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডকুমেন্ট প্রস্তুতকরণে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ হলো-
১. ওয়ার্ড প্রসেসর প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সহজে ও নিখুঁতভাবে চিঠিপত্র, রিপোর্ট ও ডকুমেন্ট তৈরি করা যায় এবং সংরক্ষণ করা যায়।
২. প্রয়োজনে সংরক্ষিত ডকুমেন্টের অনেক অনুলিপি বা কপি তৈরি করা যায় ।
৩. প্রিন্টারের সাহায্যে ডকুমেন্টের প্রিন্ট বা মুদ্রণ নেয়া যায়।
৪. মেমোরিতে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট পুনরায় ব্যবহার করা যায় বা প্রয়োজনে অন্য মাধ্যমে প্রেরণ করা যায়।
৫. একই সাথে একাধিক ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করা যায়।
৬. ডকুমেন্টে বিভিন্ন ধরনের ফন্ট ব্যবহার করা যায়।
৭. ডকুমেন্টের অপ্রয়োজনীয় কোনো লেখা বা অংশ মুছে দেওয়া যায় ।
৮. ডকুমেন্টের অংশ বিশেষ বা সম্পূর্ণ অংশ এক ডকুমেন্ট থেকে অন্য ডকুমেন্টে স্থানান্তর করা যায়।
৯. ডকুমেন্টের যেকোনো অংশ ব্লক করে বোল্ড, আন্ডার লাইন, ইটালিক ইত্যাদি করা যায়।
১০. ডকুমেন্টের বানান ও ব্যাকরণগত ভুল নির্ণয় এবং সংশোধন করা যায়।
১১. ডকুমেন্টের যেকোনো স্থানে ছবি, গ্রাফ বা চার্ট সংযোজন করে ডকুমেন্টকে আকর্ষণীয় করা যায় ।
১২. ইচ্ছামতো টেবিল তৈরি করা যায় এবং টেবিলের ফরমেটিং কাজ করা যায়।
১৩. Find Replace কমান্ড ব্যবহার করে বড় কোনো ডকুমেন্টে অল্প সময়ে শব্দ খোঁজা যায় এবং প্রতিস্থাপন করা যায়।
১৪. অনেক সময় একই ডকুমেন্ট বারবার ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তখন সেটিকে টেমপ্লেট আকারে সংরক্ষণ
করে রাখা যায়। যেমন- ল্যাব রিপোর্ট প্রস্তুত করতে টেমপ্লেট ব্যবহার করা হয়।
১৫. নিরাপত্তার জন্য ডকুমেন্টে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়।
▪️ স্প্রেডশিট (Spread Sheet)
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে স্প্রেডশিট সফটওয়্যার একটি অন্যতম সফটওয়্যার। Spread Sheet শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো ছড়ানো পাতা। গ্রাফ কাগজের ন্যায় X অক্ষ এবং Y অক্ষ বরাবর ছোট ঘরের ন্যায় অনেক ঘর সম্বলিত বড় শিটকে স্প্রেডশিট বলে। যে প্যাকেজ প্রোগ্রামের সাহায্যে রো এবং কলাম ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশের কাজ করা হয় তাকে স্প্রেডশিট বিশ্লেষণ প্যাকেজ প্রোগ্রাম বলে। উইন্ডোজভিত্তিক স্প্রেডশিট প্রোগ্রামের সাহায্যে জটিল গাণিতিক হিসাব-নিকাশ, অর্থনৈতিক ও পরিসংখ্যানিক হিসাব-নিকাশ এবং যুক্তিমূলক কার্যক্রমসহ তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজও করা যায়। স্প্রেডশিট সফটওয়্যারকে ইলেকট্রনিক স্প্রেডশিট প্রোগ্রামও বলে। উল্লেখযোগ্য স্প্রেডশিট প্রোগ্রামসমূহ হলো— মাইক্রোসফট এক্সেল (MS-Excel), লোটাস ১-২-৩ (Lotus 1-2-3), কোয়াট্রোপ্রো (Quatro Pro), মাল্টিপ্ল্যান (Multiplan ), সুপার ক্যাল্ক (Super Calc) ইত্যাদি।
প্রথম বাণিজ্যিক স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম হলো ভিসিক্যালক (Visicale), যা ১৯৭৮ সালে বাজারে আসে। এরপর আরও অধিক সুবিধা নিয়ে ১৯৮৩ সালে বাজারে আসে লোটাস ১-২- 3 (Lotus 1-2-3)। লোটাসের চেয়ে আরো উন্নতমানের সুবিধা নিয়ে ১৯৮৫ সালে আবির্ভাব হয় মাইক্রোসফট এক্সেল। স্প্রেডশিট এ্যানালাইসিস প্রোগ্রামের একটি বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার হলো মাইক্রোসফট এক্সেল। এক্সেলের বিভিন্ন সংস্করণ বাজারে এসেছে। তারমধ্যে Excel 5.0 এবং Excel ৭.০ বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এক্সেল '৯৭-এর পরের ভার্সন হলো এক্সেল ২০০০। ২০০১ সালে অফিস XP এর অধীনের XP এক্সেল হলো এক্সেলের সর্বশেষ ভার্সন। একটি স্ট্যান্ডার্ড ইলেকট্রনিক স্প্রেডশিট বিশ্লেষণ প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্যসমূহ ও সুবিধা নিম্নরূপ-
১. সহজেই গাণিতিক, পরিসংখ্যানগত ও অর্থগত হিসাব-নিকাশ করা যায়।
২. একটি সেলের সাথে অন্য এক বা একাধিক সেলের সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।
৩. স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফর্মুলা ব্যবহার করে কাজ করা যায়।
৪. স্প্রেডশিটে একটি ওয়ার্কশিটের সাথে অপর এক বা একাধিক ওয়ার্কশিটের সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।
৫. স্প্রেডশিটে প্রয়োজন অনুসারে ম্যাক্রো তৈরি করা যায় ও সহজেই ব্যবহার করা যায়।
৬. স্প্রেডশিটে রো ও কলাম-এর দৈর্ঘ্য প্রয়োজন অনুসারে বাড়ানো বা কমানো যায়।
৭. স্প্রেডশিটে বিভিন্ন ধরনের ডেটা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফ বা চার্ট ব্যবহার করা যায়।
৮. লেখার আকার-আকৃতি পরিবর্তন করা যায় এবং প্রয়োজন অনুসারে লেখাকে সেলের ডানে বা বামে বা মাঝখানে সাজানো যায়।
৯. প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ছবি সংযোজন করা যায়। অডিও/ভিডিও সংযোজন করা যায়।
১১. বিভিন্ন ধরনের ফাংশন ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যায়।
১২. স্প্রেডশিট প্রোগ্রামে ডেটাবেজ প্রোগ্রামে ব্যবহৃত ফাইল নিয়ে কাজ করা যায়।
▪️ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Database Management System )
DBMS-এর পূর্ণ অর্থ হলো Database Management System ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য এবং সে তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের সমষ্টি। অর্থাৎ ডেটাবেজ তৈরি, সংরক্ষণ, পরিবর্তন, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত সফটওয়্যারই হলো ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডেটাবেজ ও ডেটাবেজ ব্যবহারকারীর মধ্যে সমন্বয়কারী সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে। সাধারণত ডেটাবেজকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য DBMS ব্যবহৃত হয়। আবার DBMS-এর অন্তর্গত প্রোগ্রামসমূহ ডেটাবেজ তৈরি, ডেটা প্রবেশ করানো, ডেটার আধুনিকীকরণ, ডেটা এডিটিং ইত্যাদি কাজ করার জন্য DBMS ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। যেমন— মাইক্রোসফট অ্যাকসেস (Microsoft Accsess), মাইক্রোসফট ভিজুয়াল বেসিক (Microsoft Visual Basic) মাইক্রোসফট ফক্সপ্রো (Microsoft Foxpro), এসকিউএল (SQL), জাভা ( Java), প্যারাডক্স (Paradox), ডিবেজ (Dbase), পাওয়ার বিল্ডার (Power Builder), ডেলফি (Delphi), ইনফরমিক্স (Informix), ওরাকল (Oracle) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্টের সুবিধা
১. ডেটার বাহুল্যতা কমায়।
২. রেকর্ডের ভিত্তিতে আধুনিকীকরণ করা যায় ।
৩. বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট তৈরি করা যায়।
৪. বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারের জন্য ডেটা সংরক্ষণ করা যায়।
৫. সহজে ডেটাবেজ থেকে নির্দিষ্ট রেকর্ড অনুসন্ধান করা যায় ।
৬. ডেটার সঠিকতার নিশ্চয়তা প্রদান করা যায় ।
৭. প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরি করা যায় ।
৮. ডেটার অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করা যায় ইত্যাদি।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কাজ
১. প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটাবেজ তৈরি করা।
২. তথ্য আহরণ জমা ও আপডেট করা
৩. ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ করা।
৪. নতুন রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. প্রয়োজন অনুযায়ী রেকর্ড মুছে ফেলা।
৬. ডেটার বানান ও সংখ্যার ভুল অনুসন্ধান ও সংশোধন করা ৭. প্রয়োজনীয় ডেটা বা রেকর্ড অনুসন্ধান ও ব্যবহার করা।
৮. রেকর্ডসমূহকে নির্দিষ্ট নিয়মে সাজানো।
৯. ডেটার নিরাপত্তা বিধান করা।
১০. ফর্ম ও রিপোর্ট তৈরি করা এবং প্রয়োজনীয় ডেটাবেজের প্রিন্ট নেওয়া ।
১১. ডেটার Redundancy (অপ্রয়োজনীয়তা) কমানো ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রোগ্রাম (Graphics Design Program)
বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশাগত কাজ। এই কাজের মাধ্যমে হাজার হাজার লোক তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। গ্রাফিক্স হলো দৃশ্যমান ইমেজ বা ছবি, যা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে দৃশ্যমান করে তোলা হয়। অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো 'একটি সৃষ্টিশীল প্রসেস বা পদ্ধতি, যা শিল্প ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে নিজস্ব আইডিয়াগুলো প্রকাশ করে'। বিখ্যাত ডিজাইনার Neville Brody-এর মতে, “ডিজাইন প্রয়োজনসমূহ, তথ্য এবং কালারের এমন একটি সংশ্লেষণ, যা এর অংশসমূহের সমষ্টির থেকেও বেশি কিছু তৈরি করে। বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটারের মাধ্যম গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করা হয়। যেমন— এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইলাস্ট্রেটর, এডোবি ফ্লাশ ইত্যাদি ।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে পত্রপত্রিকা তৈরি, বইয়ের কভার, ফটো এডিটিং, পোস্টার তৈরি, বিভিন্ন ধরনের ছবি তৈরি করা, ছবি পরিবর্তন করা, পরিবর্ধন করা, ছবি সংযোজন করা, ছবির ওপর বিভিন্ন লেখা বসানো, ছবি ছোট করা, ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলা, কয়েকটি ছবিকে একত্রে করে একটি ছবিতে রূপান্তর করা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করা যায়। তাছাড়া ছবিতে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট প্রয়োগ করা ও নিজের আইডিয়া থেকে ছবিকে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা সম্ভব।
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট (MS-Power Point)
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট হলো একটি প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম। এটি একটি গ্রাফিক্স প্যাকেজ প্রোগ্রাম। উইন্ডোজভিত্তিক এই প্রোগ্রাম উৎপত্তি সময় থেকে কতিপয় সংস্করণ (Version) অতিক্রম করে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে Powerpoint 2019। Powerpoint-এর সাহায্যে পণ্যের বিজ্ঞাপন, মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয়, উৎপাদন প্রতিবেদন, ডেটা উপস্থাপনা, গ্রাফচার্ট উপস্থাপন ইত্যাদি কাজ করা যায়। মূলত Powerpoint-এর আগমনে টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন উপস্থাপনায় অভূতপূর্ব চমক সৃষ্টি হয়েছে। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় বিজ্ঞাপনের কোনো অংশ যেন আকাশ থেকে উড়ে আসছে, পর্দার কর্নার থেকে ভেসে ভেসে আসছে, আবার পর্দা ভেদ করে আসছে। আবার কোনো কোনো লেখা টাইপ করার মতো করে আসে। এ সবই পাওয়ার পয়েন্ট এর অবদান ।
পাওয়ার পয়েন্টের ব্যবহার বা সুবিধা
কম্পিউটার যেসব সহযোগিতা প্রদান করে তার মধ্যে গ্রাফিক্স সংক্রান্ত সহযোগিতা অন্যতম। গ্রাফিক্স প্রোগ্রাম হিসেবে Powerpoint-এর নিম্নোক্ত সুবিধাদি উল্লেখযোগ্য—
১. পাওয়ার পয়েন্টের তৈরিকৃত স্লাইডসমূহকে কম্পিউটারের ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় দর্শকবৃন্দকে দেখানো যায়।
২. স্লাইডসমূহে এনিমেশন ইফেক্ট (প্রাণ সঞ্চারণ) তৈরি করে টেলিভিশনের ন্যায় বহুল প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞাপনসহ অন্যান্য সব কিছু প্রদর্শন করানো যায়।
৩. নির্দিষ্ট ডেটার ভিত্তিতে সহজে চার্ট উপস্থাপনা সম্ভব হয়।
৪. অন্য প্যাকেজ Excel, MS-Word-এর ফাইলের বিষয়বস্তুকে লিংক করে পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৫. নির্দিষ্ট টেক্সট, টাইটেল এবং গ্রাফিক্স সম্বলিত স্লাইড বানানো যায়।
৬. স্লাইডে Movie, Sound ও ছবি সংযোজন করা যায়।
৭. মিটিং রিমাইন্ডার (reminder) সাহায্যে মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয় প্রণয়ন, সময় নির্ধারণ ইত্যাদির কাজ করা যায়।
৮. এছাড়া Excel, MS-Word-এর প্রচলিত অনেক সুযোগ-সুবিধা Powerpoint-এ বিদ্যমান।
আরও দেখুন...