মন্ত্রীপরিষদ দেশের শাসনসংক্রান্ত সব কাজ পরিচালনা করার ক্ষমতার অধিকারী । দেশের শাসন ব্যবস্থার চারদিকে রয়েছে এর নিয়ন্ত্রণ । এখন আমরা এর ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে জানব ।
১. মন্ত্রিসভার সদস্যগণ রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর কাজে সহায়তা করেন। মন্ত্রীগণ নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন । মন্ত্রিসভার ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের নিকট জবাবদিহি করতে হয় ।
২. প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয় । এ সভায় দেশের শাসনসংক্রান্ত সকল বিষয় (যেমন আইন-শৃংখলা রক্ষা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বৈদেশিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, দ্রব্যমূল্য ও খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি) আলোচিত হয় এবং এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।
৩. প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের মধ্যে সমন্বয় করে থাকে ।
৪. আইন প্রণয়ন বা পুরাতন আইন সংশোধনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যগণ নিজ নিজ বিভাগ/ মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন অনুযায়ী আইনের খসড়া তৈরি করে অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে বিল আকারে উপস্থাপন করেন ।
৫. প্রতিবছর সরকার দেশ পরিচালনার জন্য বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করে । অর্থমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে খসড়া বাজেট প্রণীত হয় । মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ এ বিষয়ে সহযোগিতা করেন । খসড়া বাজেট সংসদে উপস্থাপন করে অনুমোদন করানো মন্ত্রিপরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ।
৬. দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বিভিন্ন বাহিনী গঠন ও পরিচালনায় মন্ত্রিপরিষদ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। যেমন- দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয়ের জন্য রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আবার দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য গঠিত বিভিন্ন বাহিনীসমূহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে ।
৭. প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করে । বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি সম্পাদন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদের। জাতীয় স্বার্থ ও মর্যাদা ঠিক রেখে মন্ত্রিপরিষদ এসব কাজ করে ।
৮. মন্ত্রিপরিষদ সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। সরকারের নীতি জনগণের কাছে তুলে ধরে এবং ঐসব নীতির পিছনে জনগণের সমর্থন আদায় করে ।
Read more