কর্ম-পরিকল্পনা বলতে কোম্পানির মার্কেটিং কৌশলসমূহ কোথায়, কীভাবে এবং কার দ্বারা বাস্তবায়িত হবে তার একটি গাইডলাইন বা কর্মসূচিকে বোঝায়। মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়নের কর্ম-পরিকল্পনার সময় প্রথমেই যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে সেগুলো হলো—
* কী করতে হবে?
* কখন করতে হবে?
* কাজটি করার জন্য কে দায়ী থাকবে?
* কাজটি বাস্তবায়নে কতো খরচ হবে?
নিচে মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়নের কর্ম-পরিকল্পনাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো—
১. বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা সেটকরণ (Setting realistic expectations): প্রত্যাশার সাথে বাস্তবতার মিল রেখে লক্ষ্য বা কৌশল গ্রহণ করতে হবে। মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়নের প্রথম কর্ম-পরিকল্পনা হলো বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা সেট করা। এক্ষেত্রে কোম্পানির সকলে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়নের জন্য এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে প্রেসার কম থাকে ও ঝুঁকিও কম থাকে ।
২. ডকুমেন্টস সংগ্রহ (Collecting documents) : কোম্পানির কৌশল বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সকল ডুকুমেন্টস সংগ্রহে রাখতে হবে। প্রত্যাশা সেট হবার পর কৌশল বাস্তবায়নে সকল ডকুমেন্টস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ডকুমেন্টসের অভাবে অনেক মার্কেটারগণ তাদের কৌশল বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়। যেমন— কেউ বিলবোর্ড ব্যবহার করতে চাইলে তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করতে হয়।
৩. গ্রেট টিম প্রতিষ্ঠা (Building a great team): মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়ন করতে হলে একটি দক্ষ ও কার্যকর টিম থাকতে হবে সেখানে সবাই কর্ম-পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
৪. কাজের টাইম-লাইন তৈরি (Building time line of work): একটি মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়নে তার একটি টাইম-ফ্রেম থাকে। প্রত্যেকটি কাজের সফলতা পেতে হলে একটি সুনির্দিষ্ট টাইম-লাইনের দরকার পড়ে। টাইম-লাইন থাকলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায়।
৫. কর্মপ্রবাহ তৈরি (Creating workflows) : মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্মপ্রবাহ তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এরূপ কর্মপ্রবাহ তৈরির ফলে টিম সদস্যদের কাছে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কী কী পদক্ষেপের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা হবে তার একটি গাইডলাইন পাওয়া যায়।
৬. সম্পদ চিহ্নিতকরণ (Identing resources): মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়নে কোম্পানির কী কী সম্পদ বা সামর্থ্য রয়েছে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। যেমন- টেকনিক্যাল ওয়ার্কার হলো এক ধরনের বিশেষ সম্পদ।
৭. নিয়মিত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ (Monitoring Progress regularly): মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়ন হলো একটি গতিশীল বা ডাইনামিক প্রক্রিয়া। গৃহীত মার্কেটিং কৌশলটি যথাযথভাবে এগুচ্ছে কি-না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। পর্যবেক্ষণের সময় কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।