মার্কেট গবেষণার পদ্ধতি ও ধাপসমূহ

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ই-মার্কেটিং - ই-মার্কেটিং কৌশল | | NCTB BOOK

সাধারণ ভাষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে নতুন জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতিকে গবেষণা বলে। বাজারজাতকরণ বা মার্কেটিং সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা দূর করা এবং মার্কেটিং এর সাফল্য নিশ্চিত করাকে মার্কেটিং গবেষণা বলে । নিচে মার্কেট গবেষণার পদ্ধতি ও ধাপসমূহ উপস্থাপন করে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

১. সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সংজ্ঞায়িতকরণ (Identifying and defining the problem): মার্কেট গবেষণার প্রথম ধাপ হলো সমস্যা চিহ্নিত ও তা সংজ্ঞায়িত করা। এখানে সমস্যা বলতে সাধারণ সমস্যার প্রকৃতি বা একটি বিবৃতিকে বোঝায়। সমস্যা চিহ্নিত করতে না পারলে কখনোই গবেষণার ফলাফল সঠিক হয় না ।

২. সমস্যার প্রস্তাব উন্নয়ন (Developing an approach to the problem): সমস্যা চিহ্নিত হবার পর দ্বিতীয় কাজ হলো মার্কেটিং গবেষণার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাব উন্নয়ন করা। বাজেটসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়গুলো এক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হয়। সমস্যার প্রস্তাব উন্নয়ন নিচের বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে।

* গবেষণা প্রশ্নমালা ।

* সেম্পলিং ও সার্ভে মেথড।

* তত্ত্বীয় কাঠামো প্রণয়ন

* প্রয়োজনীয় তথ্য সুনির্দিষ্টকরণ।

৩. গবেষণার নকশা প্রণয়ন (Research design formulation): এটি হলো মার্কেট গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মার্কেট গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর কাঠামো বা নকশা প্রণয়ন করা হয়। এ ধাপে গবেষণা ডিজাইন করা ছাড়াও প্রশ্নমালার সম্ভাব্য উত্তরগুলো নির্ধারণ করা হয়। গবেষণার নকশা প্রণয়নে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হয়।

* তথ্যের সংজ্ঞা নির্ধারণ।

* মাধ্যমিক উপাত্ত বিশ্লেষণ।

* উপাত্ত সংগ্রহের পদ্ধতি (জরিপ, পরীক্ষণ)।

* প্রশ্নপত্র ডিজাইন ।

* নমুনায়ন প্রক্রিয়া ও উপাত্ত বিশ্লেষণ ।

৪. মাঠকর্ম বা উপাত্ত সংগ্রহ (Field work or data collection) : বাজার এবং বাজারজাতকরণ বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্ভুল তথ্য বা উপাত্তের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মাঠকর্মী বা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা উপাত্ত সংগ্রহে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহের কয়েকটি উপায় নিচে তুলে ধরা হলো ।

* ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার গ্রহণ।

* টেলিফোনভিত্তিক সাক্ষাৎকার গ্রহণ।

* অনলাইনে সাক্ষাৎকার গ্রহণ ।

* ডাকযোগে সাক্ষাৎকার গ্রহণ।

৫. উপাত্ত প্রস্তুতকরণ ও বিশ্লেষণ (Data preparation and analysis): সংগৃহীত তথ্য থেকে অধিকতর নির্ভুল তথ্যগুলো আলাদা করে বিশ্লেষণ করতে হয়। উপাত্ত প্রস্তুতকরণ ও তা সংশোধন করা ছাড়াও যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করতে হয়। যথাযথভাবে উপাত্ত বিশ্লেষণে বিভিন্ন অফিস প্রোগ্রাম যেমন- Excel, spss ইত্যাদির সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

৬. প্রতিবেদন তৈরি ও উপস্থাপন ( Preparing report and presentation): মার্কেট গবেষণার সর্বশেষ ধাপ হলো প্রতিবেদন তৈরি ও তা উপস্থাপন করা। এ ধরনের রিপোর্ট অবশ্যই লিখিত হওয়া প্রয়োজন। প্রতিবেদন দেখার পর মার্কেটিং ব্যবস্থাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন।

Content added By
Promotion