ষষ্ঠ শ্রেণি (মাধ্যমিক) -
বিজ্ঞান -
বিজ্ঞান অনুশীলন বই |
| NCTB BOOK
11
11
চোখ মেললে আমাদের চারপাশে কত রংই না আমরা দেখি। মাথার উপর আকাশকে সকালবেলা নীল দেখায়, আবার সন্ধ্যায় সেই একই আকাশ হয়ে যায় গোলাপি! শুধু আকাশ কেন আশেপাশের প্রকৃতিতে যত গাছ, ফুল, লতা, পাতা আমরা দেখি, এমনকি তোমাদের শ্রেণিকক্ষের ভেতরে তাকালেও দেখবে অনেক রঙের জিনিস, যেগুলো আগে কখনো খেয়ালই করো নি! কিন্তু একটা মজার বিষয় কী জানো? তোমাদের ক্লাসেই হয়তো এমন কেউ কেউ আছে, যারা রংগুলোকে দেখে একেবারে অন্যভাবে। সবুজ রং বললে তোমার চোখে যেই রং ভেসে ওঠে আরেকজনের চোখে কিন্তু তা হতে পারে একেবারে অন্যরকম! এমনকি পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষ আছেন যারা কিছু রং কখনোই দেখেন নি! এই তালিকায় বিখ্যাত বিজ্ঞানী জন ডাল্টন (উপরের ক্লাসে তোমরা জানতে পারবে যে তিনি কত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানী ছিলেন) থেকে শুরু করে বিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়েন, এমনকি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ পর্যন্ত আছেন! তাদের বেশিরভাগই লাল আর সবুজ রঙের পার্থক্য দেখতে পান না। আবার আমাদের মধ্যে এমন অনেকেও আছেন যারা চোখে একেবারেই দেখতে পান না, কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই আবার তাদের অন্য ইন্দ্রিয়গুলো সাধারণ দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন মানুষের চেয়ে বেশি প্রখর থাকে।
এক কাজ করলে কেমন হয়? তোমাদের শ্রেণিকক্ষে স্কুলের আশপাশে, বাসায়, স্কুলের পথে কী কী রঙের জিনিস আছে তা খুঁজে দেখো। প্যাস্টেল বা রং পেন্সিল দিয়ে ছোট ছোট দাগ দিয়ে রংগুলো টুকে রাখতে পারো নিচের ফাঁকা জায়গায়।
তোমার বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করে দেখো, ওরা কি এমন কোনো রঙের জিনিস পেয়েছে যা তোমার চোখে পড়েনি? এবার উপরের রংগুলো ভালোভাবে লক্ষ করো। মোটের ওপর কতগুলো রঙের শেড এখানে আছে তা কি আলাদা করতে পারো? যেমন, সবুজ রঙেরই কত কত শেড আছে— হলদে সবুজ, জলপাই সবুজ, কালচে সবুজ, নীলচে সবুজ। এরকম সব রঙ ভাল করে লক্ষ করলেই দেখবে এখানের সকল রং আসলে হাতে গোনা কয়েকটা রঙেরই বিভিন্ন রকমের শেড। মূল রংগুলো কি আলাদা করতে পারছ? বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করেও দেখতে পারো। এক রং একেক রঙের সঙ্গে মিশে নতুন নতুন রং তৈরি হয়। কিন্তু আমরা যত রং দেখি, এই সব রং এক হলে কী রং হয় বলো তো?
এবার একটা ছোট পরীক্ষা করে রঙের ব্যাপারটা আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করি চলো। বিজ্ঞানী নিউটন প্রথম এই পরীক্ষাটি করে দেখিয়েছিলেন। তোমার পাশের বন্ধুর সঙ্গে মিলে এই কাজটা করতে পারো। চাইলে তিনজন মিলেও করতে পারো।
পাশের পৃষ্ঠায় দেয়া ছবির মতো একটা কাগজের ওপর গোল বৃত্ত এঁকে নাও। একই মাপে একটা মোটা কার্ডবোর্ডের টুকরা কিংবা শোলার টুকরা বৃত্তাকারে কেটে নাও।
এবার কাগজটিকে সমান আট ভাগে দাগ দিয়ে ভাগ করো ছবির মতো। আট ভাগে যথাক্রমে বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল (ঠিক ধরেছ, রংধনুর সাত রং!) এই সাতটি রং করো। অষ্টম ভাগটা সাদাই রেখে দাও।
এবার কার্ডবোর্ড বা শোলার টুকরায় কাগজটা আঠা দিয়ে সাঁটাও। এর ঠিক মধ্যখানে, মানে বৃত্তের কেন্দ্রের কাছাকাছি জায়গায় পাশাপাশি দুটি ছিত্র করো। ছিদ্র দিয়ে দুইটি মোটা সুতা ঢুকিয়ে সুতার মাঝামাঝি জায়গায় রঙিন ঢাকার মতো বৃত্তটাকে নিয়ে রাখো।
এবার এটাকে খুব জোরে ঘোরাতে হবে। সেটা কীভাবে করা যায় বলো তো? একটা উপায় হলো দুদিকের সুতা ধরে রাখা অবস্থায় চাকাটাকে ঘোরানো (অনেকটা দড়িলাফ খেলার সময় দড়িটাকে যেভাবে ঘোরায় সেভাবে। ঘোরাতে ঘোরাতে একসময় যখন সুতা দুইটি অনেকবার প্যাঁচ খেয়ে যাবে তখন দুই দিকের সুতার প্রান্ত টানটান করে ধরো। দেখবে। চাকাটা উল্টোদিকে তীব্রগতিতে ঘুরতে থাকবে (তোমরা চাইলে চাকাটা ঘোরানোর অন্য বুদ্ধিও বের করতে পারো)।
এখন খেয়াল করে দেখো, সাত রঙের চাকাটা যখন ভীষণ দ্রুত ঘুরছে তখন কি সবগুলো রংকে আলাদা করা যাচ্ছে? না করা গেলে কোন রংটা দেখতে পাচ্ছ? নিচে তোমার পর্যবেক্ষণ লিখে রাখো-
তোমাদের দলের পর্যবেক্ষণ অন্য দলগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখো। তারা কী দেখতে পেয়েছে? যদি চাকাটা যথেষ্ট জোরে ঘুরে থাকে, তাহলে তোমাদের শুধু একটা রংই দেখার কথা, সেটি হলো সাদা। কিন্তু এর কারণ কী?
বে-নী-আ-স-হ-ক-লা এই সবগুলো রং মিলে যে সাদা রং হয় তার ছোটখাটো পরীক্ষা তো হয়েই গেল! তার মানে, দিনের বেলা সূর্যের আলোকে সাদা দেখলেও এর মাঝে আসলে অনেকগুলো রং মিলেমিশে আছে।
(এখানে একটা বিষয় বলে রাখতেই হয়। তুমি যদি জলরং দিয়ে বা প্যাস্টেলে ঘষে ঘষে এই সাতটা রং মেশানোর চেষ্টা করো, তাহলে সাদার বদলে পাবে কালো। কেন বলো তো? উত্তর না জানলেও ক্ষতি নেই, প্রশ্নটা জমা করে রাখো। পরে ভেবে দেখো।)
আচ্ছা এবার একটা বিষয় ভেবে দেখো, অন্ধকারে কি তুমি আদৌ কোন রং দেখতে পাও? নিশ্চয়ই না, শুধু আলো থাকলেই আমরা বিভিন্ন রং দেখি। এটুকু না হয় মানা গেল, কিন্তু কেন জবা ফুল লাল, আর জবা ফুলের পাতা সবুজ দেখি? লাল আলোতে সবুজ পাতা দেখলে পাতাটিকে কি সবুজই দেখবে? যারা সোডিয়াম বাতির হলুদ আলো দেখেছ, তারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছ যে, রাতে এই হলুদ আলোতে অনেক রং একেবারে অন্যরকম দেখায়। তার মানে কী দাঁড়াল? আমরা কোনো জিনিসের গায়ে যে রং দেখি তা শুধু ওই জিনিসের উপরেই নয়, বরং কোন আলোতে দেখছি তার উপরেও নির্ভর করে।
এখন আরেকটা ছোট পরীক্ষা করে দেখা যাক। চাইলে এই পরীক্ষাটি বাসায় গিয়েও করতে পারো, তবে পরের দিন এসে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে ভুলো না যেন!
একটা কাচের গ্লাস বা স্বচ্ছ পলিব্যাগে পানি নিয়ে তাতে অল্প লাল রং (জলরঙের রং, খাবারের রং, বা যেকোনো রঙ যা পানিতে গুলে যায়) গুলিয়ে এর ভেতর দিয়ে অন্যপাশে কী আছে তা দেখার চেষ্টা করো। গ্লাসের অন্যপাশের বিভিন্ন জিনিসের আসল যে রং তা কি দেখতে পাচ্ছ, নাকি অন্যরকম দেখাচ্ছে? এই লাল রঙের মধ্য দিয়েয় কোনো সবুজ পাতা দেখার চেষ্টা করে দেখো। তোমার পর্যবেক্ষণ নিচে লিখে রাখো-
সবুজ পাতা কি সবুজই দেখেছ? না হলে কেন? তোমার ব্যাখ্যা বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখো তারা কী মনে করে। এ নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত জানতে তোমাদের বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের 'আলো' অধ্যায়ের শুরু থেকে 'আলোর রং' অনুচ্ছেদটা পড়ে নাও।
দ্বিতীয় সেশন
এমন অনেক বস্তুই তো আছে উজ্জ্বল আলোতেও যেগুলোর কোনো রং আমরা দেখিনা; এই যেমন ধরো- পানি, বা বাতাস। একটু নিজেরা চিন্তা করো তো, পানির রং নেই কেন? ইতোমধ্যে অনেকেই হয়তো অনুমান করেছ. পানির রং নেই, কারণ পানি স্বচ্ছ এবং এর মধ্য দিয়ে সব রঙের আলো চলে যায়। কাচও তাই, সেজন্য কাচের জানালার মধ্য দিয়ে আমরা বাইরের সবকিছুর রং স্পষ্ট দেখতে পাই।
এবার একটা ছোট্ট কাজ করা যাক। খোলা জানালা বা দরজা দিয়ে ঘরের ভেতরে সরাসরি সূর্যের আলো ঢোকে এমন একটা জায়গায় একটা গ্লাসে পানি কানায় কানায় ভর্তি করে রেখে দাও। কী কী ঘটছে লক্ষ করো। নিচের ঘটনাগুলো কি ঘটতে দেখছ? ডান পাশে লিখে রাখো-
সম্ভাব্য ঘটনা
তোমার পরযবেক্ষণ
পানির পৃষ্ঠদেশ থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে ঘরের ছাদে এসে পড়েছে
সূর্যের আলো পানির ভেতর দিয়ে গ্লাসের ভেতরে ঢুকে গেছে।
উপরের ঘটনাগুলোর সঙ্গে তোমার পর্যবেক্ষণ কি মিলে গেল? গ্লাসটা এভাবেই রেখে দাও এই সেশনের শেষ পর্যন্ত।
আলোর প্রতিফলন নিয়ে তোমরা ইতোমধ্যেই জেনেছ। আলোর সব রঙের মধ্যে যেই রংটা প্রতিফলিত হয় সেটিই শুধু আমরা দেখি- এ পর্যন্ত আমাদের জানা। এখন আরেকটা প্রসঙ্গে আলোচনা করা যাক, সেটি হলো আলোর প্রতিসরণ।
উপরের পরীক্ষায় তোমরা তো দেখলে, আলো গ্লাসের পানির ভেতর দিয়ে সরাসরি চলে গেল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই 'ভেতর দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আসলে কী ঘটে। আরেকটা পরীক্ষা করে দেখা যাক চলো একটা খালি কাপে একটা মুদ্রা রাখো যেন মুদ্রাটা তুমি দেখতে পারো। আলো যেহেতু সরলরেখার যায়, তাই বলা যায় এখন মুদ্রাটা এবং তোমার চোখে এক সরলরেখায় আছে। এবারে তুমি তোমার মাথাটা ধীরে ধীরে পিছিয়ে নিতে থাকো যেন মুদ্রাটা আর দেখা না যায়।
এবারে কাপটাতে পানি ঢালতে থাকো। কী ঘটছে? মুদ্রাটা কি আবার দেখতে পাচ্ছ? মনে হচ্ছে না যে মুদ্রাটা উপরে উঠে এসেছে? কীভাবে এটা ঘটল বলে তোমার মনে হয়? তোমার বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে নিচে তোমার অনুমান লিখে রাখো-
বিজ্ঞানের ভাষায় বললে উপরের ঘটনাটির কারণ হচ্ছে আলোর প্রতিসরণ। আলোর প্রতিসরণের সময় খুব মজার একটা ঘটনা ঘটে, সেটা হলো আলোর পথটা বেঁকে যায়। পাশের ছবিটি দেখো, আসলে মুদ্রাটা মুদ্রার জায়গাতেই আছে আলোটাই বাঁকা হয়ে চোখে আসছে বলে তুমি সেটাকে দেখতে পাচ্ছ।
আলোর প্রতিসরণ কখন কীভাবে ঘটে সে বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত জানতে আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ ও শোষণ' অংশটি তোমাদের অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে পড়ে নাও।
এবার একটা চিন্তার খোরাক দেওয়া যাক! বেশি পাওয়ারের চশমায় চোখ লাগিয়ে দেখলে সব আঁকাবাঁকা লাগে খেয়াল করেছ? এটা কেন ঘটে অনুমান করতে পারো? বন্ধুরা আলোচনা করে তোমার মতামত নিচে টুকে রাখো—
বেশ কিছুক্ষণ আগে এক গ্লাস পানি রোদে রেখে দিয়েছিলে মনে আছে তো? এখন গ্লাসটা হাতে নিয়ে দেখো তো একটু গরম মনে হচ্ছে কিনা? তোমার পর্যবেক্ষণ ডান পাশে লিখে রাখো-
সম্ভাব্য ঘটনা
তোমার পর্যবেক্ষণ
গ্লাসের পানিটা দীর্ঘ সময় রোদে রেখে দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে। পানিটা একটুখানি গরম হয়েছে
তোমরা ইতোমধ্যেই জানো যে প্রতিফলন আর প্রতিসরণের পাশাপাশি পানি কিছুটা আলো শোষণও করে। এখানে তাহলে শোষিত আলোটা কোথায় গেল বলতে পারো? যা ভাবছ ভাই, আলোকশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে গ্লাসটাকে সামান্য গরম করে তুলেছে!
তৃতীয় সেশন
রং নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল, আবার রঙের আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক। রঙের প্রসঙ্গ এলেই চলে আসে রংধনুর কথা। বৃষ্টির পর আকাশের গায়ে নিশ্চয়ই অনেকেই ধনুকের মতো বাঁকা সাত রঙের রংধনু দেখেছা
তোমাদের বইয়ে রঙধনু নিয়ে একটা বিজ্ঞান কমিকস দেওয়া আছে। তোমার পাশের বন্ধুর সঙ্গে মিলে কমিকসটা এই ফাঁকে পড়ে নিতে পারো। কেমন লাগল সবাইকে জানাতে ভুলো না যেন!
পড়া হয়ে গেলে শিক্ষকসহ ক্লাসের সবার সঙ্গে আলোচনা করে দেখো তো, রঙধনু কীভাবে হয়? রঙধনু তৈরিতে আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণের মতো ঘটনাগুলোর কোনো ভূমিকা কি আছে? নিচে তোমার চিন্তা টুকে রাখো-
গল্পের ছেলেমেয়েদের মতো তোমরাও তো বিজ্ঞানী, তাই না? এবার তাহলে রংধনু বানিয়ে দেখলে কেমন হয়? কমিকসে যেভাবে বলা আছে ঠিক সেভাবেই তোমরা চাইলে রংধনু বানিয়ে ফেলতে পারো! চেষ্টা করে দেখো!
নিজেদের বানানো রংধনু দেখতে কেমন খাতায় এঁকে রাখো। চাইলে পোস্টার কাগজ কেটে আঠা দিয়ে লাগিয়েও বানাতে পারো। সেক্ষেত্রে বেগুনি থেকে লাল পর্যন্ত কাগজ মোটা থেকে আস্তে আস্তে চিকন করে কেটে বসাতে পারো, যাতে চোখ বুজে হাত বুলালেও বুঝতে পারো কোনটা কোন রং।
শেষ কথা
এই শিখন অভিজ্ঞতার প্রথম সেশনে বলা হয়েছিল যে, কাগজে রং ঘষে মেশানোর চেষ্টা করলে সব রং মিলে সাদা হওয়ার বদলে কালচে একটা রং হয়ে যাবে। অনেকেই নিশ্চয়ই চেষ্টা করে দেখেছ! কিন্তু কেউ কি ভেবে বের করতে পেরেছ এটা কেন হয়? তোমাদের অনুসন্ধানী পাঠ বইয়ের 'আলো' অধ্যায়ের 'কীভাবে দেখি এবং রং এর ধরন' অনুচ্ছেদে এই ধাঁধার উত্তর পেয়ে যাবে।
ফিরে দেখা
আলোর প্রতিফলন আমাদের খুবই পরিচিত একটা ব্যাপার। আমরা প্রতিদিন আয়নায় আমাদের মুখ দেখি আয়নায় নিজের চেহারা দেখার সময় আমরা সব সময় একটা বিষয় লক্ষ করেছি, প্রতিফলিত চেহারায় ডান এবং বাম সব সময় অদল বদল হয়ে যায়। তোমরা কি কখনো এটি কেন হয় চিন্তা করে দেখেছ? তোমরা কি এমন একটি আয়না তৈরি করতে পারবে যেখানে আমরা আমাদের চেহারা দেখলে দেখব আমাদের ডান এবং বাম অদল বদল হয়নি?
'কাজটি কঠিন নয়, ছবিতে দেখানো উপায়ে দুটি আয়না ৯০ ডিগ্রি কোণে রাখো, দেখবে সেখানে তোমার চেহারা অদল বদল হয়নি। ডান হাত উপরে তুললে প্রতিফলিত চেহারাও ডান হাত উপরে তুলবে? কেন এটা হয় বলতে পারবে? তোমার ব্যাখ্যা নিচে লিখে রাখো-