জসীমউদ্দিন পল্লিকবি হিসেবে সমাধিক পরিচিত । তাঁর নকসী কাথার মাঠ' কাব্যটি-(২১)- হয়েছে । তাঁর জনপ্রিয় ও অধিক সমাদৃত গ্রন্থ – (২২)- । সাহিত্য কৃতির স্বীকৃতি হিসেবে – (২৩) — তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি প্রদান করে । তাঁর 'কবর' কবিতটি স্কুল পাঠ্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয় তাঁর - (২৪)।
প্রথম যখন হোসেন মিয়া কেতুপুরে এসেছিল পরনে একটা ছেঁড়া লুঙ্গি, মাথায় এক ঝাঁক রুক্ষ চুল— ঘষা দিলে গায়ে খড়ি উঠত । এখন সে অনেক সম্পদ ও প্রতিপত্তির মালিক ।
ধূর্ত তুহিন সাধারণ মানুষের অশিক্ষা ও ধর্মভীতিকে কাজে লাগিয়ে এলাকাবাসীদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাবিজ বিক্রি ও পানি পড়া দিয়ে অথ উপার্জন করে। তার স্ত্রী সহজ-সরল শোভা স্বামীর প্রতি বিশ্বাস, আস্থা ও নির্ভরতায় অন্ধ ।
নিচু একটা জায়গা ভরাট করে গ্রামের ছেলেরা খেলার মাঠ বানাবে বলে চেয়ারম্যানকে প্রস্তাব করল। কিন্তু কিছুদিন পরে চেয়ারম্যান সাহেব সেখানে এক বিশাল মার্কেট তৈরি করল।
প্রাগপুর গ্রামে একজন খ্রিস্টান ধর্মযাজক এসে উপস্থিত হন। বিপদে- আপদে গ্রামের সাধারণ মানুষেরা তাঁর কাছে আসতে শুরু করলে গ্রামের পুরোহিত নিজের যশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করতে লাগলেন।
হুমায়ুন সাহেবের ধন-সম্পত্তির অভাব নাই। সারা গ্রামে তার আধিপত্য। কিন্তু ইমাম সাহেবের নির্দেশ ছাড়া সে এক পাও চলতে পারে না।
মতলুব সাহেব ধনী ও প্রভাবশালী লোক । গ্রাম্য বিচার, সালিশ তাকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়।
ফকির মুন্সীর স্ত্রী মরিয়ম সহজ-সরল মেয়ে। স্বামীর প্রতি তার অগাধ- অটল বিশ্বাস। তার বিবেচনায় ফকির মুন্সী একজন কামেল ও পরহেজগার লোক। অথচ গ্রামের অশিক্ষিত সহজ-সরল মানুষের খোদাভীতিকে কাজে লাগিয়ে ফকির মুন্সী নানা ফতোয়া জারি করে সাধারণ মানুষকে ঠকায়।
অন্ন চাই, প্রাণ চাই, আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু, চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ু, সাহস বিস্তৃত বক্ষপট। এ দৈন্য-মাঝারে কবি, একবার নিয়ে এসো স্বর্গ হতে বিশ্বাসের ছবি৷
অন্ন চাই, প্রাণ চাই, আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু, চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ু, সাহস বিস্তৃত বক্ষপট। এ দৈন্য-মাঝারে কবি, একবার নিয়ে এসো স্বর্গ হতে বিশ্বাসের ছবি৷
ছনু মিয়া তার বড় পরিবারের ভরণপোষণ করতে না পেরে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। একদিন রাতে সে তার বাড়ির সামনে একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গায়। সেখানে লেখা থাকে যে, সে স্বপ্নে অলৌকিক ক্ষমতা পেয়েছে এবং এর দ্বারা যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা হয়।
করিম মুন্সীর স্ত্রী মোমেনা বেশ সহজ-সরল। স্বামীর প্রতি তার বিশ্বাস, আস্থা ও নির্ভরতা প্রবল । সাধারণ মানুষের সারল্য ও খোদাভীতিকে পুঁজি করে তার স্বামী তাবিজ বিক্রি করে এবং পানি পড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করে ।
কিশোরগঞ্জ জেলায় ইদানীং এক নতুন পীরের আগমন ঘটেছে। উনি পূর্বে যত ভণ্ড পীরের আগমন ঘটেছে তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছে। তাইতো দলে দলে গিয়ে এক পতাকার তলে ৫০,০০০ লোক সমবেত হয়েছে। উনি মাইক দিয়ে ঘোষণা করেন যার যত সমস্যা আছে উনার ফু-দ্বারা সব ভালো হয়ে যাবে। সবাইকে মাইক দিয়ে পির সাহেব বলেন, মাইকের আওয়াজ যে পর্যন্ত যাবে সে পর্যন্ত বোতলের তেল ও বোতলের পানি পড়া এক ফুঁয়ে কাজ হবে যাবে।
সালেহার ক'দিন ধরে জ্বর। জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে পীরের শরণাপন্ন হয়— পানিপড়ার আশায়। তার বিশ্বাস পীরসাহেবের পড়াপানি খেলে অলৌকিক শক্তির কারণে তার জ্বর ভালো হয়ে যাবে।
করিমন বাতের ব্যথায় জর্জরিত। ছোট ছেলে কাদেরকে পাশের গ্রামের পিরের কাছে পাঠায় পানিপড়া আনতে। লোক-বিশ্বাস কামেল পিরের পানিপড়ায় সর্বরোগের অবসান ঘটে।
নয়নপুর গ্রামবাসীকে গণশিক্ষা দেওয়ার জন্য জামাল সকলকে একত্রিত করে। কিন্তু গ্রামের মোড়ল আবেদ আলী তার শোষণ অব্যাহত রাখার স্বার্থে তাকে বাধা দেয়। এভাবে গ্রামে গণশিক্ষার উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায় ।
জাহিদ শহর থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গ্রামে ফিরে আসে এবং গ্রামের মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা দেখে ব্যথিত হয়। সে গ্রামে শিক্ষার _আলো জ্বালাতে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
খেয়াঘাটের ইজারাদারদের প্রবল ষড়যন্ত্রের মুখে গ্রামে প্রভাবশালীদের পরামর্শে নদীতে সাঁকো তৈরির উদ্যোগ থামিয়ে দিতে বাধ্য হয় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সৌরভ।
বেচারার একটা বেশ দুঃখ ছিল। ছেলেপুলে নেই। সৌদামিনীর স্বামী স্থির করল, আর একটি বিয়েই যুক্তিযুক্ত; অন্তত চেষ্টা করে দেখা যাক। বংশ তো গুম করে দেওয়া চলে না।
আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম। কাহাকে পাইলাম। এ যে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কী অন্ত আছে!
জালালের দুই বউয়ের মধ্যে মিমি ছোট। বয়স অল্প হওয়ার কারণে সংসার সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। হেসে-খেলে দিন কাটে তার। সুযোগ ফেলেই সমবয়সী মেয়েদের সাথে গল্প-গুজবে মেতে ওঠে সে।
তাহেরার বিয়ে হলো তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বয়সী হামিদ আলীর সাথে। বিয়ের আগে পাত্রী দেখতে এলে হামিদ আলীকে তাহেরা ভেবেছিল সে তার হবু শ্বশুর।
Read more