কোনো যৌগের আণবিক সংকেত বের করার জন্য যৌগের শতকরা সংযুতি থেকে প্রথমে স্থূল সংকেত বের করতে হবে। কোনো যৌগের স্থূল সংকেতের ভর যদি ঐ যৌগের আণবিক ভরের সমান হয় তাহলে যৌগের স্থূল সংকেতই যৌগের আণবিক সংকেত হবে। কিন্তু যদি কোনো যৌগের স্থূল সংকেতের ভর ঐ যৌগের আণবিক ভরের সমান না হয় তাহলে স্থূল সংকেতের ভর থেকে আণবিক ভর কত গুণ বেশি সেটি বের করতে হবে।
যদি স্থূল সংকেতের ভর থেকে আণবিক ভর n গুণ বেশি হয় তাহলে
আণবিক সংকেত = (স্থূল সংকেত) n
এখানে, n = যৌগের আণবিক ভর/ স্থূল সংকেতের ভর
ধরা যাক, কোনো যৌগের C = 92.31%, H = 7.69% দেওয়া আছে। ঐ যৌগের আণবিক ভর = 78
যৌগটির আণবিক সংকেত বের করতে হবে।
মৌলগুলোর শতকরা সংযুতিকে তাদের পারমাণবিক ভর দিয়ে ভাগ করি
C = 92.31/12 = 7.69
H = 7.69/ 1 = 7.69
ভাগফলগুলোর মধ্য থেকে যে সংখ্যাটি ক্ষুদ্রতম সেই সংখ্যা দিয়ে ভাগফলগুলোকে ভাগ করি
C =7.69/ 1= 1
H = 7.69/ 7.69 =1
এই মানগুলো এবং মৌলের প্রতীক দিয়ে সংকেত আকারে লিখলেই স্থূল সংকেত পাওয়া যাবে।
অতএব, যৌগটির স্থূল সংকেত = C1H1 = CH
যৌগের স্থূল সংকেত CH হলে এর আণবিক সংকেত হবে: (CH)n = CnHn
স্থূল সংকেত CH এর ভর = 12×1 + 1×1 = 13 এবং আণবিক ভর = 78
যৌগের আণবিক ভর স্থূল সংকেতের ভর অতএব, n 78 (12+1) = = 6
কাজেই যৌগটির আণবিক সংকেত =C6H6
আণবিক সংকেত থেকে স্থূল সংকেত নির্ণয়
কোনো যৌগের আণবিক সংকেত থেকে স্থূল সংকেত নির্ণয় করা যায়। ধরা যাক গ্লুকোজ (C6H12O6) এর স্থূল সংকেত বের করতে হবে।
গ্লুকোজ (C6H12O6) এর একটি অণুতে 6টি C পরমাণু, 12টি H পরমাণু এবং 6টি O পরমাণু আছে। অতএব, পরমাণুসমূহের অনুপাত C:H:O = 6:12:6 = 1:2:1
সুতরাং স্থূল সংকেত C1H2O1 = CH2O
কখনো কখনো স্থূল সংকেত এবং আণবিক সংকেত একই হয়।
যেমন পানির আণবিক সংকেত H2O এর স্থূল সংকেত H2O। সালফিউরিক এসিড এর আণবিক সংকেত H2SO4 এবং এর স্থূল সংকেত H2SO4
কিন্তু যে সকল যৌগের সকল পরমাণুর সংখ্যাকে কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায় তাদের স্থূল সংকেত এবং আণবিক সংকেত ভিন্ন হবে। বেনজিনের আণবিক সংকেত C6H6। বেনজিনের কার্বন এবং হাইড্রোজেনের পরমাণু সংখ্যাকে 6 দ্বারা ভাগ করা যায় অতএব, এর স্থূল সংকেত C1H1, বা CH
একইভাবে ইথিনের আণবিক সংকেত C2H4, অতএব, এর স্থূল সংকেত C2H2 বা CH2
আরও দেখুন...