শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি প্রদান

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - পৌরনীতি ও নাগরিকতা - জাতীয় চেতনা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় | | NCTB BOOK

ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির পর ঊনসত্তরের গণআন্দোলন নুতন রূপ লাভ করে । ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে রেসকোর্স ময়দানে (সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রায় ১০ লাখ ছাত্র-জনতার এই সংবর্ধনা সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তদানীন্তন ডাকসুর ভিপি ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ঐ সংবর্ধনা সভায় বঙ্গবন্ধু ছাত্রদের ১১ দফা দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং ছয় দফা ও ১১ দফা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি দেন ।

১৯৬৯ সালের ২৫শে মার্চ আইয়ুব খান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে রাজনীতি থেকে বিদায় গ্রহণ করেন । ক্ষমতাসীন হয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খান উদ্ভুত রাজনৈতিক সংকট সমাধানে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপের উপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। পাকিস্তানে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তিনি কতিপয় শাসনতান্ত্রিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেন । এর মধ্যে এক ব্যক্তি, এক ভোট, প্রত্যেক প্রদেশের জন্য জাতীয় পরিষদে জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন সংখ্যা বণ্টন নীতি ছিল অন্যতম । জাতীয় পরিষদের আসনসংখ্যা হবে ৩১৩, যার মধ্যে ১৩টি হবে সংরক্ষিত মহিলা আসন । প্রত্যেক প্রদেশের জন্য সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসনের বিধান রাখা হয় । নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক সংবিধান প্রণয়নের জন্য সর্বোচ্চ ১২০ দিন ধার্য করা হয় । প্রণীত সংবিধান রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হওয়া আবশ্যকীয় করা হয় ।

Content added By
Promotion