ট্রাবলশুটিং হচ্ছে কম্পিউটার সমস্যার উৎস বা উৎপত্তিস্থল নির্ণয়ের প্রক্রিয়া। কম্পিউটার ছাড়াও অন্য সব ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রেই ট্রাবলশুটিং করতে হয়। ট্রাবলশুটিং প্রক্রিয়ায় কিছু প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয় এবং পাশাপাশি সমাধান দেওয়া থাকে। কম্পিউটার ব্যবহারকারী সমস্যার ধরন অনুযায়ী সমস্যাটি সমাধান করতে পারে। জটিল সমস্যার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয়।
অন্যান্য যেকোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রের তুলনায় কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্রের ট্রাবলশুটিং একটু বেশিই প্রয়োজন হয়। তাই কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কিছু সাধারণ ট্রাবলশুটিং সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই জরুরী। গুরুত্বপূর্ণ কিছু ট্রাবলশুটিং হলো—
১. সিস্টেম চালু হচ্ছে না—মেইন পাওয়ার ক্যাবলের সংযোগটি টিলে কিনা দেখতে হবে। ঢিলে হয়ে থাকলে ঠিক করে লাগাতে হবে।
২. সিস্টেম সঠিকভাবে চলছে; কিন্তু মনিটরে কিছু দেখা যাচ্ছে না—এ অবস্থায় সিস্টেমটি বন্ধ করে দিতে হবে এবং মেইন সিস্টেম থেকে পাওয়ার কেবলটি খুলে ফেলতে হবে। মেমোরি স্লট থেকে সব র্যাম সরিয়ে ফেলতে হবে এবং একটি ইরেজার দিয়ে র্যামের কানেক্টরগুলো ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
৩. সিস্টেম অত্যন্ত গরম হয়ে যায় এবং অস্বাভাবিকভাবে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়—কেসিংটি খুলে হার্ডডিস্ক এবং ফ্যানটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফের ইনস্টল করতে হবে।
৪. কি-বোর্ড কাজ করছে না—কম্পিউটার বন্ধ করে কি-বোর্ডটি পোর্টের সঙ্গে যথাযথভাবে সংযোগ করা আছে কি না দেখতে হবে, না থাকলে কিংবা লুজ থাকলে ভালোভাবে সংযোগ দিয়ে আবার কম্পিউটার চালু করে দেখতে হবে।
৫. মাউস কাজ করছে না—কম্পিউটারের সঙ্গে মাউসের কেবল সংযোগ ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। না থাকলে মাউসটি ভালোভাবে লাগিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কাজ না হলে অন্য একটি ভালো মাউস পোর্টে লাগাতে হবে।
৬. মনিটরে কোনো পাওয়ার নেই—পাওয়ার চালু আছে কি না দেখতে হবে।
সাধারণত হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত সমস্যার ক্ষেত্রে ট্রাবলশুটিং কথাটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরও দেখুন...