সূরা হাশর পবিত্র কুরআনের ৫৯তম সূরা। সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত অর্থাৎ ২২, ২৩ এবং ২৪তম আয়াত নিয়ে অর্থসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
ফজিলত : এ তিন আয়াতের ফজিলত অত্যন্ত বেশি । রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন- যে ব্যক্তি সকালে তিনবার
(উচ্চারণ : আউযু বিল্লাহিস সামিইল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম ।) পাঠ করার পর সূরা হাশরের শেষ আয়াত তিনটি তিলাওয়াত করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা নিয়োগ করে দেবেন। তাঁরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকবে। সেদিন সে মারা গেলে শহিদের মৃত্যু লাভ করবে। আর সন্ধ্যাকালে যে ব্যক্তি এভাবে পাঠ করবে সেও এ ফজিলত লাভ করবে। (তিরমিযি)
অনুবাদ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ .
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে।
১. علمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ - তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা।
هُوَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمُ - তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু।
২. هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ - তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই।
الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَمُ - তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি
الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ - তিনিই নিরাপত্তা দানকারী, তিনিই রক্ষক,
الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَثِرُ - তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত।
سُبْطنَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ - তারা যা কিছু শরিক স্থির করে, আল্লাহ তা থেকে পবিত্ৰ, মহান।
৩. هُوَ اللهُ الْخَالِقُ _ তিনিই আল্লাহ, সৃষ্টিকর্তা।
الْبَارِةُ الْمُصَورُ - উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা।
يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَوتِ وَالْأَرْضِ - আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে।
وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ - তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
ব্যাখ্যা
এ আয়াতসমূহ আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামে পরিপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালার এসব গুণবাচক নাম তাঁর ক্ষমতা ও পরিচয়ের স্বরূপ প্রকাশ করে। তিনি সর্বশক্তিমান। আসমান জমিন সবকিছুর মালিক। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই হয় । তিনি ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই। তিনিই একমাত্র ইলাহ বা মাবুদ। আসমান ও জমিনের সবই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। সুতরাং মানুষের উচিত একমাত্র তাঁরই দাসত্ব করা। সর্বাবস্থায় তাঁরই ইবাদত বন্দেগি করা।
কাজ : শিক্ষার্থীরা সূরা হাশরের শেষের আয়াত তিনটি মুখস্থ করে অর্থসহ খাতায় লিখে শিক্ষককে দেখাবে। |
আরও দেখুন...