প্রকাশনা জগতে এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় জনপ্রিয় ইনপুট ডিভাইস। এটির মাধ্যমে ক্যামেরায় তোলা ছবি, রেখা, লেখা ইত্যাদি হুবহু কম্পিউটারে নেওয়া যায়। স্ক্যানারের সাহায্যে কম্পিউটারে নেয়া ছবি, রেখা, লেখা ইত্যাদি ইচ্ছেমতো সম্পাদনা করে যেকোনো প্রোগ্রামের বিষয়বস্তুর মধ্যে বসিয়ে প্রিন্ট করা যায়। লেখাকে স্ক্যান করে কম্পিউটারে দ্রুত ঢুকানো যায়।
কী-বোর্ড থেকে কম্পোজ করতে বেশ সময় লাগে। ডকুমেন্টসমূহকে তাড়াতাড়ি পাওয়ার জন্য স্ক্যান করে কম্পিউটারে ঢুকিয়ে রাখা যেতে পারে। অধিকাংশ স্ক্যানারের Optical Character Recognition (Reader) (OCR) সফটওয়্যারও আছে। যার মাধ্যমে স্ক্যান করা টেক্সট চিত্রকে ডুকমেন্ট টেক্সটে রূপান্তর করা যায়। পরবর্তীতে ওয়ার্ড প্রসেসরে সম্পাদনা করা যায়। স্ক্যানার কোনো ছবি বা টেক্সটকে ইলেকট্রনিক সিগন্যালে রূপান্তর (Convert) করে, গ্রাফিক্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইমেজ-এ রূপান্তরিত হয়।
স্ক্যানারের প্রকারভেদ : স্ক্যানার সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা—
১. ফ্লাটবেড স্ক্যানার (Flatbed Scanner) বা অপটিক্যাল স্ক্যানার
২. ড্রাম স্ক্যানার (Drum Scanner )
৩. হ্যান্ড হেল্ড স্ক্যানার (Hand Held Scanner )
কার্যপ্রণালী
সাধারণত ক্যামেরায় তোলা কাগজে মুদ্রিত ছবি স্ক্যানারের সাহায্যে কম্পিউটারে প্রেরণ করা যায়। স্ক্যানারের সাহায্যে কম্পিউটারে ছবি গ্রহণ এবং কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনার জন্য প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অপটিক্যাল স্ক্যানার আলোক রশ্মি এবং আলোক সংবেদনশীল যন্ত্রের সাহায্যে Photo Impact তৈরি করে। অপটিক্যাল স্ক্যানারগুলো ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন- কম্পিউটারে ইনপুট ওসিআর (O.C.R) এবং ওএমআর (O.M.R) ইত্যাদি।
ফ্ল্যাটবেড অপটিক্যাল স্ক্যানার (Flatbed Optical Scanner )
এ স্ক্যানারে দেখতে অনেকটা ফটোকপি মেশিনের মতো। এটি ফটোকপি মেশিনের মতো কাজ করে। কম্পিউটারে ছবি প্রেরণের জন্য এই স্ক্যানার ব্যবহৃত হয়। এই স্ক্যানারে কাঁচ জাতীয় এক ধরনের সমতল স্বচ্ছ প্লেট ব্যবহার করা হয়। যে ছবিকে স্ক্যান করতে হবে তা এই প্লেটের উপর স্থাপন করা হয়। স্ক্যানিংয়ের কাজ শুরু করলে স্ক্যানার হেড সমতল স্বচ্ছ প্লেটের উপর রক্ষিত ছবির নিচ দিয়ে সঞ্চালিত হয়। এর আলোক উৎস থেকে তীব্র আলো ছবির উপর পতিত হয়। তারপর ছবি থেকে প্রতিফলিত আলোক রিডার হেড দ্বারা গৃহিত হয়। পরে এই স্ক্যানারের সহযোগী সফটওয়্যার ছবিকে ডিসপ্লে ইউনিটের স্ক্রিণে ফুটিয়ে তোলে ।
ড্রাম স্ক্যানার (Drum Scanner )
ড্রাম স্ক্যানারের দাম বেশি এবং আকৃতিতেও বেশ বড়। উন্নত মানের ছবির জন্য এই ধরনের স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়। মুদ্রণের কাজে ড্রাম স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়।
হ্যান্ড হেল্ড স্ক্যানার (Hand Held Scanner )
এটি আকৃতিতে ছোট। এ ধরনের স্ক্যানারে এক প্রকার হস্তচালিত স্ক্যান হেড ব্যবহার করা হয়। এই স্ক্যান
হেডকে হাতে ধরে ছবি বা লেখার উপর দিয়ে চালনা করা হয়। অফিস-আদালতে বিশেষ কাজের জন্য এ ধরনের স্ক্যানার ব্যবহৃত হয়।
অপটিক্যাল মার্ক রিডার (Optical Mark Reader- OMR)
অপটিক্যাল মার্ক রিডার (Optical Mark Reader) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ও.এম.আর (OMR)। OMR দেখতে ফটোকপি মেশিনের মতো। OMR-এ ব্যবহৃত কাগজ সাধারণ কাগজ নয়, তাই এটি খুব দামী। OMR কালির বা পেন্সিলের দাগ বোঝতে পারে। বিশেষ ব্যবস্থার সাহায্যে দাগগুলো তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তন ঘটায়। তখন কম্পিউটার দাগের অস্তিত্ব বুঝতে পারে। কালির দাগের আলোর প্রতিফলনের ধরন অনুযায়ী কালির দাগ বোঝা যায় ।
পেন্সিলের দাগ বুঝে পেন্সিলের সীসে ব্যবহৃত গ্রাফাইটের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা বিচার করে। কম্পিউটারের সঙ্গে OMR ব্যবহার করে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরের ফলাফল বের করা যায়। আমাদের দেশে বর্তমানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর নাম, ঠিকানা, রোল নম্বর ইত্যাদি বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য উত্তর পত্রের সংশ্লিষ্ট অংশ নির্দিষ্ট ছকের ক্ষেত্রে গোল চিহ্ন পূরণ করতে হয়। পরে ঐ অংশ OMR পদ্ধতিতে পাঠ ও ব্যবহার করা হয়। OMR (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পূরণ করা চিহ্নের সংকেত কম্পিউটারে ইনপুট হিসাবে প্রেরণ করে। মার্ক রিডার আলোর প্রতিফলনের সাহায্যে চিহ্ন পাঠ করে। যে ঘরের চিহ্ন পূরণ করা হয় সেই ঘরে আলোর প্রতিফলন ঘটে না, যে ঘরের চিহ্ন পূরণ করা হয় না সেই ঘরের আলো প্রতিফলিত হয়। কম্পিউটার সেই সকল দাগের অস্তিত্ব বুঝতে পেরে কম্পিউটার মেমোরিতে রক্ষিত জানা উত্তরের সাথে তুলনা করে সঠিক উত্তর নির্ণয় করে। নির্ভুলতা, দ্রুততা, গোপনীতা সর্বোপরী মানবীয় ভুলের পুনরাবৃত্তি হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।
ওএমআর-এর প্রধান সুবিধা হচ্ছে এটির সাহায্যে উত্তরপত্র বা কোন ডকুমেন্ট পরীক্ষা করলে ভুল বা পক্ষপাতিত্বর সম্ভাবনা থাকে না। অনেক সুবিধা থাকলেও এর কিছু কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন— সাধারণ মানের কাগজের পরিবর্তে ওএমআর ডিভাইসে বিশেষ ধরনের কাগজ ব্যবহার করা হয়। আবার ভুলক্রমে যদি সঠিক চিহ্নের পরিবর্তে ভুল চিহ্নটি করা হয়, তবে পরবর্তীতে তা সঠিক করার কোন উপায় থাকে না (ব্যতিক্রম পেন্সিলের দাগের ক্ষেত্রে)।
অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার বা ওসিআর (Optical Character Reader-OCR)
যে যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটার সাধারণ কাগজে সাধারণ কালিতে ছাপা বর্ণ বা অক্ষর পড়তে পারে তাকে ও.সি.আর (OCR) বলে ।
অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিডার (Optical Character Reader) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে-OCR। এক সময়ে ও.সি.আর নামে একটি ইনপুট যন্ত্র কম্পিউটারের সাথে ব্যবহৃত হতো। OCR এর সাহায্যে কম্পিউটার সাধারণ কাগজে সাধারণ কালিতে ছাপা বর্ণ বা অক্ষর পড়তে পারে। বর্ণের গঠন অনুযায়ী OCR বৈদ্যুতিক সংকেত সৃষ্টি করে ঐ বর্ণ পড়তে পারে। পূর্ব থেকেই বিভিন্ন বর্ণের বৈদ্যুতিক সংকেত OCR এ রাখা হয়। তারপর OCR সেই বর্ণের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে যে কোন বর্ণ পড়া হচ্ছে। এরপরে ঐ বর্ণ কম্পিউটারে জমা রাখে। বীমার নোটিশ, বৈদ্যুতিক বিল ইত্যাদি পড়ার জন্য OCR ব্যবহৃত হয়। স্পষ্ট হাতের লেখাও OCR পড়তে পারে। ক্যারেক্টার রিডার প্রথমে লেখাকে স্ক্যান করে নেয়। পরবর্তী স্ক্যানকৃত লেখার উপর আলোর প্রতিফলন ঘটায়। এই প্রতিফলিত আলো ফটো ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে ইলেকট্রিক সংকেতে ঐ প্যাটার্নের সাথে লজিক সার্কিট থেকে প্রেরিত সংকেতের প্যাটার্ন মিলিয়ে দেখা হয়। সম্ভাব্য মিলে যাওয়া প্যাটার্নগুলো পরবর্তীতে বর্ণ হয়ে সিপিইউতে যায়। যদিও হাতের লেখা পড়ার জন্য হ্যান্ড রাইটিং রিকগনিশন নামে এক ধরনের বিশেষ ডিভাইস রয়েছে। বর্তমানে ওসিআর ইনপুট ডিভাইস হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না। সাধারণ মানের স্ক্যানারই এই কাজ করতে পারে। তবে এর জন্য এক ধরনের ওসিআর সফটওয়্যারের প্রয়োজন।
ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেক্টার রিডার (Magnetic Ink Character Reader) এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে MICR । ম্যাগনেটিক ইঙ্ক হচ্ছে চৌম্বকীয় কালি। আর চৌম্বকীয় কালি দিয়ে লেখা অক্ষর পাঠ করার যন্ত্রকেই ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেক্টার রিডার বলে। চৌম্বকীয় কালি বলতে বিশেষ ধরনের কালি বোঝায়। এ কালিতে থাকে আয়রন অক্সাইড কণা। সাধারণত ব্যাংক চেক, জমা বই ইত্যাদিতে এ ধরনের কালি ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের কালি দিয়ে লেখা এম.আই.সি.আর পাঠ (read) করতে পারে।
এম.আই.সি.আর লিখিত অক্ষরের চৌম্বকীয় আকৃতি (Pattern) পাঠ করে। অক্ষর শনাক্ত করার জন্য কম্পিউটারের মেমোরিতে সংরক্ষিত বিশেষ আকৃতির সঙ্গে পঠিত আকৃতির তুলনা করে মিলিয়ে দেখে । গ্রাহককে চেক বই প্রদানের সময় চেক বইয়ের নিচের দিকে ব্যাংকের শনাক্তকরণ সংখ্যা (Identification Number) এবং গ্রাহকের হিসাব নম্বর চৌম্বকীয় কালি দিয়ে মুদ্রিত করে দেওয়া হয়। গ্রাহক যখন টাকা তোলার জন্য চেক বই জমা দেন তখন ব্যাংক কর্মচারী চেকের নিচের দিকে একই কালি দিয়ে টাকার পরিমাণ লিখে দেন। চেকটি এম.আই.সি.আর-এ প্রবেশ করানোর পর তা চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে (Magnetic field) ভেতর দিয়ে চলে যায়। চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের ভেতরে আয়রন অক্সাইড কণা চৌম্বকত্ব প্রাপ্ত হয়। তখন রিড হেড (Read head) চৌম্বকীয় কালি দিয়ে লেখা অক্ষর পাঠ করে। তারপর রূপান্তরিত ভাষান্তর করে সংশ্লিষ্ট ডেটা বা তথ্য সরাসরি কম্পিউটারের প্রসেসরে প্রেরণ করে। এম.আই.সি.আর প্রতি মিনিটে আড়াই হাজারের বেশি চেক পাঠ করে কম্পিউটারের প্রসেসরে প্রেরণ করতে পারে।
এম আই সি আর ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে
• চেকটি কোন কারণে নষ্ট হলেও রিডারের পড়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা এবং সূক্ষ্মতা থাকে।
• প্রক্রিয়াকরণ দ্রুতগতিতে হয়।
• অনেক সময় হাতের লেখা না বোঝতে পারলেও এমআইসিআর এ ব্যবহৃত লেখা সহজেই পড়া যায়।
• এই পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকে।
এত বেশি সুবিধা থাকলেও এমআইসিআর (MICR) ব্যবহারে কিছু কিছু বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন ব্যাংকের প্রসেসিং এর জন্য চেকে ১০টি ডিজিট এবং ৪টি বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন প্রকার বর্ণ ব্যবহার করা যায় না।
অসুবিধা
• এটির জন্য প্রিন্টিং এর গুণগত মান উন্নত হতে হয়, যা ব্যয় বহুল।
• এটির ব্যবহার শুধুমাত্র বিশেষ ধরনের প্রিন্টের ও হাতের লেখা পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
• এটির ক্যারেক্টারগুলো ১০ ডিজিট ও ৪টা বিশেষ ক্যারেক্টারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
ডিজিটাইজার (Digitizer)
কম্পিউটারের গ্রহণ মুখ যন্ত্রাংশ প্লেটের আকৃতি বিশিষ্ট যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ছবি অঙ্কন করা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে কম্পিউটারের পর্দায় ছবি আঁকা হয়ে যায়। এখানে একটি আয়তাকার চ্যাপ্টা ব্লক (Block) থাকে যাকে বলে ডিজিটাইজার বোর্ড (Board) বা ডিজিটাইজিং টেবিল (Digitizing Table) বা গ্রাফিক টেবিল (Grapic Table)। এটি বিভিন্ন আকারের হতে পারে। বোর্ডের ভিতরে উপযুক্ত বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থাকে।
একটি স্টাইলাসের (Stylus কলমের মতো) সাহায্যে বোর্ডে যা কিছু লেখা বা আঁকা যায় তাই মনিটরের পর্দায় ভেসে ওঠে। একই সংগে বিভিন্ন সময়ে স্টাইলাসের অবস্থানের x ও y স্থানাঙ্ক কম্পিউটার মেমোরিতে চলে যায়। কাগজে কোনো গ্রাফ ছবি এঁকে তা ডিজিটাইজার বোর্ডে রেখে সেই গ্রাফ বা ছবির উপর স্টাইলাস থাকলে, VDU (Visual Display Unit) এর পর্দায় দেখানো যায়। তার স্থানাঙ্ক কম্পিউটারে ইনপুট করা যায়। এভাবে ডিজিটাইজারের সাহায্যে বিভিন্ন গ্রাফ, ম্যাপ, বাড়ি ইত্যাদি প্ল্যান সহজেই কম্পিউটারে ইনপুট করা যায়।
কম প্রচলিত একটি ইনপুট ডিভাইস হচ্ছে লাইটপেন। এটিকে ইলেকট্রনিক কলমও বলা যেতে পারে। এটি একটি আলোক সংবেদনশীল কলম। এই ধরনের ডিভাইস সাধারণত অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। লাইটপেন এক ধরনের ইলেকট্রনিক কলম বিশেষ যার এক প্রান্ত একটি তারের মাধ্যমে সিস্টেম ইউনিটের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই ডিভাইস দ্বারা যখন মনিটরের পর্দায় কোনো কিছু আঁকা হয় তখন সেই অংকনটি সরাসরি সিপিইউতে যায়। লাইটপেন দেখতে অনেকটা কলমের মতো মনে হলেও এর সামনে এক ধরনের ফটোসেল থাকে । যখন ব্যবহারকারী সেই ডিভাইস দ্বারা মনিটর পর্দায় কিছু আঁকে তখন মনিটর থেকে বের হয়ে আসা আলো ফটোসেলে আঘাত করে। আলোর উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে এক ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত সিস্টেমে পাঠায়। স্থাপত্য ড্রয়িং, প্রকৌশল ড্রয়িং এবং বিভিন্ন ধরনের নকশার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
মুখে বলা শব্দকে কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রামে ইনপুট হিসেবে গ্রহণের প্রক্রিয়া হলো ভয়েস রিকগনিশন। ভার্চুয়াল রিলেলিটির জন্য এই প্রক্রিয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অতি সুন্দর প্রাকৃতিক ও স্বজ্ঞাত উপায়ে সিমুলেশনকে নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধা দেয়। আর যে ইলেকট্রনিক যন্ত্র মানুষের কন্ঠস্বরকে সরাসরি রূপান্তর করে কম্পিউটারে এন্ট্রি করার উপযোগী করে তোলে তাকে বলা হয় ভয়েস রিকগনাইজার।
আরও দেখুন...