Spreadsheet এর সাধারণ অর্থ হচ্ছে কাগজের ভাঁজ খোলা বিছানো পাতা। Spread অর্থ ছড়ানো এবং Sheet অর্থ পাতা অর্থাৎ স্প্রেডশিট (Spreadsheet) শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো ছড়ানো পাতা । গ্রাফ কাগজের ন্যায় আনুভূমিক ও উল্লম্বভাবে টানা লাইনের সংযোগে খোপ খোপ আয়তাকার ঘরের ন্যায় অনেক ঘর সম্বলিত বড় শিটকে স্প্রেডশিট বলে। আয়তাকার ছোট ছোট ঘরগুলোকে বলা হয় সেল (Cell)। এরূপ অসংখ্য সেলের সমন্বয়ে তৈরি হয় স্প্রেডশিট।
সারি ও কলামে বিন্যস্ত করে উপাত্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সহজে হিসাব-নিকাশের জন্য ব্যবহৃত প্যাকেজ প্রোগ্রামকে স্প্রেডশিট প্যাকেজ প্রোগ্রাম বা স্প্রেডশিট বিশ্লেষণ সফটওয়্যার বলে। একে সংক্ষেপে স্প্রেডশিটও বলা হয়। কম্পিউটারের স্প্রেডশিট প্যাকেজ প্রোগ্রামগুলোকে বলা হয় ইলেক্ট্রনিক স্প্রেডশিট। এ ধরনের স্প্রেডশিটের সেলে প্রয়োজনীয় ডেটা বসিয়ে গাণিতিক হিসাব-নিকাশ ও বিশ্লেষণের কাজ করা যায়।
কয়েকটি স্প্রেডশিট বিশ্লেষণ প্রোগ্রাম :
মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel)
• ভিসিক্যালক (VisiCalc ) • সুপার ক্যালক (Super Cale )
• লোটাস ১-২-৩ (Lotus 1-2-3)
• কোয়াট্টো প্রো (Quarto Pro)
• মাল্টিপ্ল্যান (Multiplan )
এক্সেলের স্প্রেডশিটকে আমরা একটি বিরাট পৃষ্ঠা হিসেবে গণ্য করতে পারি। একটি খাতাতে কলম, রাবার এবং ক্যালকুলেটরের ব্যবহার করে আমরা যা যা করতে পারি এক্সেলের স্প্রেডশিট দিয়ে আমরা তার চেয়েও বেশি এবং জটিল কাজ করতে পারি। কম্পিউটারের কী-বোর্ডকে কলমের মতো ব্যবহার করে স্প্রেডশিটে বিভিন্ন আক্ষরিক ও গাণিতিক তথ্য লিখতে পারি এবং এক্সেলের ফর্মুলা এবং ফাংশন ব্যবহার করে যাবতীয় অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ হিসাব সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত কাজ করতে পারি। এক্সেল স্প্রেডশিটের সাহায্যে যে কাজগুলো করা যায় তা হলো-
১. দৈনন্দিন হিসাব সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
২. বার্ষিক হিসাবের ক্যালেন্ডার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
৩. ডেটা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।
৪. Pivot Table এর মাধ্যমে ডেটা অ্যানালাইসিস করা যায়।
৫. বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন করা যায়।
৬. বাজেট প্রণয়নের কাজে ব্যবহৃত হয় ।
৭. ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় যাবতীয় হিসাব বিষয়ক বিশ্লেষণ করা যায়।
৮. খুব সহজেই উৎপাদন ব্যবস্থাপনা করা যায়।
৯. আয়কর ও অন্যান্য হিসাব তৈরি করা যায়।
১০. বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন কাজের ক্যালকুলেশন করা সহজ হয়।
১১. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতনের হিসাব (Payroll) তৈরি করা যায়।
১২. মজুদের পরিমাণ ও নিয়ন্ত্রণ হিসাব (Inventory Control) করা যায় ।
১৩. গাণিতিক, ত্রিকোণমিতিক এবং পরিসংখ্যানিক ফাংশন ব্যবহার করা যায়।
১৪. তথ্যকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা যায়।
১৫. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করা যায়।
আরও দেখুন...