খতিয়ান প্রস্তুতকরণের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ পোস্টিং এবং পরবর্তী ধাপ ব্যালেন্সিং বা উদ্বৃত্ত নির্ণয়। সাধারণ অর্থে উদ্বৃত্ত বা ব্যালেন্স অবশিষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন—৫ কেজি চাল ক্রয় করা হলো এবং ৩ কেজি চাল ভোগ করা হলো, এই ক্ষেত্রে অবশিষ্ট রইল ২ কেজি। হিসাবের জের নির্ণয় অনেকটা এরূপ । হিসাবে পোস্টিং পরবর্তী ডেবিট ও ক্রেডিট দিকের পার্থক্য নির্ণয় করাকে জের টানা বা ব্যালেন্সিং বলা হয় ৷
নিম্নোক্ত দুটি লেনদেন পোস্টিং পরবর্তী নগদান হিসাবের ব্যালেন্স নির্ণয় করা হলে:
২০১৭
মার্চ ৩ নগদ বিক্রয় ২০,০০০ টাকা
মার্চ ১০ আসবাবপত্র ক্রয় ১৫,০০০ টাকা
C/D | Carried Down | নিচে নীত / স্থানান্তরিত হবে |
B/D | Brought Down | উপর থেকে আনীত/স্থানান্তরিত হয়েছে |
C/F | Carried Forward | সম্মুখে নীত |
B/F | Brought Forward | পেছন থেকে আনীত |
হিসাব পোস্টিং | হিসাবের উদ্বৃত্ত |
ডেবিট পোস্টিং | ডেবিট ব্যালেন্স |
ক্রেডিট পোস্টিং | ডেবিট ব্যালেন্স |
ক্রেডিট পোস্টিং | ক্রেডিট ব্যালেন্স |
ডেবিট পোস্টিং | ক্রেডিট ব্যালেন্স |
C/D বা C/F সময়ের শেষ তারিখে নিরূপণ করা হয় এবং এই উদ্বৃত্ত পুনরায় B/D বা B/F নামে পরবর্তী সময়ের প্রথম তারিখে হিসাবের বিপরীত পার্শ্বে লেখা হয়। যখন কোনো হিসাবের মোট ডেবিট ও মোট ক্রেডিট পোস্টিং সমান হয়। ঐ হিসাবের উদ্বৃত্ত শূন্য অর্থাৎ ব্যালেন্স C/D বা B/D লেখার প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের হিসাবকে সমতা প্রাপ্ত হিসাব বলা হয়।
হিসাবের সাধারণ/স্বাভাবিক উদ্বৃত্ত
হিসাবের শ্রেণি | উদ্বৃত্তের ধরণ |
সম্পদ | ডেবিট ব্যালেন্স |
দায় | ক্রেডিট ব্যালেন্স |
মালিকানা স্বত্ব | ক্রেডিট ব্যালেন্স |
আয় | ক্রেডিট ব্যালেন্স |
ব্যয় | ডেবিট ব্যালেন্স |
আরও দেখুন...