'ছাড়পত্র' কবিতার আলোকে নিচে কয়েকটি প্রশ্ন দেওয়া হলো। প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তুত করো এবং পরে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে নিজের উত্তর সংশোধন করো।
১। 'ছাড়পত্র' কবিতায় কবি এই পৃথিবীকে নবজাতকের জন্য বাসযোগ্য মনে করেননি কেন?
২। 'প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল'-এই বাক্য দিয়ে কবি পুরানো ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চেয়েছেন। সব ধরনের পুরাতন ব্যবস্থা, চিন্তা ও বিশ্বাস কি পরিবর্তন করা প্রয়োজন মনে করো? তোমার মত সংক্ষেপে তুলে ধরো।
৩। তোমার পরিবার, বিদ্যালয় বা সমাজের কোন বিষয়গুলো পরিবর্তন করা হলে তা সবার জন্য মঙ্গলকর হবে বলে মনে করো?
১। 'ছাড়পত্র' কবিতার মূল ভাব-পৃথিবীকে নতুন প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে তোলা।
২। কবিতাটির চরণের শেষে কোনো মিল নেই।
৩। এই কবিতায় এক ধরনের তাল আছে; তবে সেই তাল নির্দিষ্ট ব্যবধানের নয়। যেমন:
/যে শিশু ভূমিষ্ঠ হলো/আজ রাত্রে
lতার মুখে /খবর পেলুম:
/সে পেয়েছে/ছাড়পত্র এক,
/নতুন বিশ্বের দ্বারে/তাই ব্যক্ত করে অধিকার
/জন্মমাত্র /সুতীব্র চিৎকারে।
/খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার /মুষ্টিবদ্ধ হাত
/উত্তোলিত, উদ্ভাসিত
/কী এক দুর্বোধ্য /প্রতিজ্ঞায়।
৪। এই কবিতার গতি বা লয় ধীর।
৫। কবিতাটিতে কিছু শব্দরূপের পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন: রাতে রাত্রে, পেলাম পেলুম, শেষ করে- সেরে ইত্যাদি।
৬। এই কবিতায় উপমার ব্যবহার আছে। যেমন: 'অস্পষ্ট কুয়াশাভরা চোখে'-এখানে চোখের অস্পষ্ট দৃষ্টিকে কুয়াশার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
আরও দেখুন...