বাংলাদেশের গণপরিষদ (Constituent Assembly) এবং সংবিধান স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবিধানিক কাঠামো নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের গণপরিষদ এবং সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। স্বাধীনতার পর দেশ পরিচালনার জন্য একটি সাংবিধানিক কাঠামো প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। এ লক্ষ্যে, ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ গণপরিষদ গঠন করা হয়। এই গণপরিষদ মূলত পূর্বের পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল, যারা ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত হন।
গণপরিষদের প্রধান কাজ ছিল বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা। গণপরিষদে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংবিধান রচনা প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান অনুমোদিত হয় এবং এটি ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এই সংবিধানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মূলনীতিসমূহের উল্লেখ করা হয়, যা হলো:
বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত সংবিধান, যার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
বাংলাদেশের গণপরিষদ ও সংবিধান দেশের স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে নতুন রাষ্ট্রের আইনি ভিত্তি স্থাপন করে, যা আজও দেশের শাসনব্যবস্থা এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।