স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলার উদ্দেশ্য হলো- i.রোগের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা ii. স্বাস্থ্যসম্মত নিয়ম মেনে চলা iii বেশি বেশি খাবার গ্রহণ করা


নিচের কোনটি সঠিক?





Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

ব্যক্তিগতভাবে এবং সমষ্টিগতভাবে বেঁচে থাকার বিজ্ঞানসম্মত উপায়সমূহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা, বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাকে সাধারণভাবে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বলা হয়। এখন স্বাস্থ্য বলতে আমরা কী বুঝি তা প্রথমে আলোচনা করা যেতে পারে। আমরা একটা বিখ্যাত উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করতে পারি। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ 'প্লেটোস রিপাবলিক'-এর ৪র্থ অধ্যায়ে স্বাস্থ্যের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন— “Now to produce health is to part the various parts of the body in their natural relations of authority or subservience to one another, whilst to produce disease is to disturb this natural relation.” এই সংজ্ঞার সরল অর্থ করলে দাঁড়ায় “এখন স্বাস্থ্য অর্জন করার অর্থ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের একে অপরের উপর কর্তৃত্ব অথবা অধীনতার স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনকে নির্দিষ্ট করা। পক্ষান্তরে, শরীরে রোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক আন্তঃসম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হওয়াকে বোঝায় উপরোক্ত সংজ্ঞাকে সহজ করলে আমরা স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক সুস্থতা অর্থাৎ শরীরের সুস্থ অবস্থাকে বুঝি। কিন্তু ব্যাপক অর্থে কেবলমাত্র শারীরিক সুস্থতাই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়, শরীরের সাথে মনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে মানসিক সুস্থতাও প্রয়োজন। স্বাস্থ্যের ন্যায় মূল্যবান সম্পদ লাভ করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান আমাদের সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে যেমন ধারণা দেয় তেমনি রোগগ্রস্ত হলে তা থেকে পরিত্রাণ লাভের পন্থাও জানিয়ে দেয় অর্থাৎ স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। তাই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক স্বাস্থ্যরক্ষায় সচেতন হওয়া, মাদ্রাসায় ও গৃহে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলা, পুষ্টির অভাব পূরণে মাদ্রাসায় টিফিন প্রোগ্রাম চালু করা, মাদ্রাসায় নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবামূলক কর্মসূচি পালন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিপূরক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এ অধ্যায় শেষে আমরা-

  • স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের গুরুত্ব বর্ণনা করতে পারব।
  • ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার ধারণা ও কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • সাধারণ স্বাস্থ্যসমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব ।
  • স্বাস্থ্যসেবার আওতা/পরিধি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • টিফিন প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করতে পারব।
  •  স্বাস্থ্যকার্ড সম্বন্ধে ধারণা পাব এবং এর উপকারিতা ব্যাখ্যা করে রোগ প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করতে পারব।



 

Content added || updated By
Promotion