কর্মক্ষেত্রে নিজস্ব স্বাস্থ্য বলতে ব্যক্তির স্বাস্থ্যকেই বোঝানো হয়ে থাকে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি যা ব্যক্তিকেন্দ্রিক ঐসব নিয়মের অনুশীলনকে বোঝায়, যেগুলো করলে ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় থাকে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির লক্ষ্য হলো অসুস্থতা কমিয়ে আনা, রোগ থেকে পুরোপুরি মুক্তি লাভ, সর্বোত্তম স্বাস্থ্য ও সুস্থতা ধরে রাখা, সমাজে রোগ-ব্যাধির বিস্তার রোধ করা।
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য সাধারণত একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সকল বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম। যা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত সকলের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণের নিমিত্তে কাজ করে থাকে। উল্লেখ্য, এখানে স্বাস্থ্য বলতে শুধু রোগ-বালাইকে বোঝানো হয় না, বরং দৈহিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যকে বোঝানো হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়টির প্রধান কাজ হলো কর্মক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি বা সম্ভাব্য বিপদ প্রতিরোধ করা।
• পাওয়ার চালিত যন্ত্র দ্বারা কাজের সময়ে একা কাজ না করে অন্তত দুইজন থাকতে হবে।
• ক্লান্ত বা দুর্বল অবস্থায় কাজ না করা। মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করা যাবে না, অর্থাৎ তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার চাপ নেয়া যাবে না।
• নিরাপদে কাজ করতে না পারলে তা না করাই ভালো। মানুষ কতটুকু পারবে তার একটি সীমা আছে।
• সবসময় নিরাপদ জুতা পরিধান করা। টুল, কাটিং চিপস, অন্যান্য পার্টস অনেক সময় চোখা, ধারালো ও উত্তপ্ত থাকে; তখন নিরাপদ জুতা পাকে সুরক্ষিত রাখবে।
• চোখের নিরাপত্তা খুব দরকার। কাজের সময় সেফটি গ্লাস পরতে হবে।
• ঢিলা পোশাক, অলংকার, লম্বা চুল ইত্যাদি চলমান যন্ত্রে জড়িয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই মেশিন চালানোর সময় আঁটোসাটো পোশাক পরে ও চুল বেঁধে রাখতে হবে।
• ধারালো টুলস ব্যবহারের সময় গ্লোভস পরিধান করতে হবে।
• ধুলা, রাসায়নিক বস্তু এবং ধোঁয়া খুব বিপদজনক। তাই ভালো ভেন্টিলেটেড জায়গায় কাজ করতে হবে।
• যদি কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তির সাহায্য নিতে হবে।
• কাজ শেষে চলে যাওয়ার পূর্বে টুলসগুলো টুলসবক্সে রাখা এবং মেশিন ও ফ্লোর পরিষ্কার করতে হবে।
• কর্মক্ষেত্রে জীবনহানির সম্ভাবনা কম।
• কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
• আঘাতজনিত কষ্ট এড়িয়ে চলা যায়।
• অঙ্গহানির সম্ভাবনা কম ।
• স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুতরাং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।
• উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হয় না।
• কর্মঘন্টা নষ্ট হয় না।
• আর্থিক স্বচ্ছলতা ব্যাহত হয় না বরং অধিক আয়, উন্নতমানের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন নিশ্চিত হয় । কাজে মনোবল ও আত্মবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়। সম্পদের ক্ষতি হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
• চিকিৎসার সময় ব্যাপ্তি (আঘাত পরবর্তী ব্যথা ও সমস্যা) ও খরচ কমানো।
• প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না, ফলে মালিক ও শ্রমিক লাভবান হয়।
• সংক্রমণ প্রতিরোধ করা।
• সমাজ এজন্য কর্মঠ কর্মী পায়, যা সমাজের জন্য বড় সম্পদ।
• দেশের সার্বিক উন্নতি সাধিত হয়।
আরও দেখুন...