ওয়েব মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইন্টারনেট মার্কেটিং এবং অনলাইন মার্কেটিং-এর সমার্থক বা Synonym হলো ই-মার্কেটিং। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বাজারজাতকরণই হলো ই-মার্কেটিং। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ই-মার্কেটিং পুরো বিশ্বে ব্যবসায় বাণিজ্যের ধরনকে ইতিবাচকভাবে বদলে দিয়েছে। ই- মার্কেটিং-এর কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-
১. খরচ কম (Low cost) : ট্রেডিশনাল মার্কেটিং-এর চেয়ে ই-মার্কেটিং এর খরচ অত্যন্ত কম। খুব অল্প খরচে ই-মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় বিশ্বের যেকোনো জায়গায় যেকোনো পণ্য বা সেবার খবর পৌঁছে দেওয়া যায়। যেমন: কোনো ওয়েবসাইটে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিলে তা যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যেকোনো জায়গা থেকে দেখতে পারে।
২. ২৪/৭/৩৬৫ অ্যাপ্রোচ ( 24/7/365 Approach): ই-মার্কেটিং-এর কার্যক্রম বছরব্যাপী (৩৬৫ দিন) সবসময় অর্থাৎ সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা হিসেবে চলমান থাকে। কেউ অসুস্থ থাকা অবস্থায় এমনকি ঘুমন্ত থাকা অবস্থাতেও এই ই-মার্কেটিং কার্যক্রম চলমান থাকতে পারে।
৩. বিনিয়োগ থেকে আয় ( Return on investment): ই-মার্কেটিং এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর বিনিয়োগ থেকে আয় যাচাই করা সহজ। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন তারা সহজেই "infusionsoft"-এর মাধ্যমে তাদের টার্নওভার রেট চেক করতে পারেন। বিভিন্ন ভিডিওর ভিউ, ই-মেইল ওপেন এবং প্রতি লিংকের ওপর ক্লিক বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। এর ফলে ই-মার্কেটিং কতটুকু সফল হচ্ছে তাও জানা যায় ।
৪. ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া (Customers response) : ই-মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়। কারা পণ্যটি পছন্দ করছে বা কারা পণ্যটি ক্রয়ে আগ্রহী তাও সহজেই জানা যায়।
৫. বিশ্বব্যাপী সুযোগ (Global opportunity): ই-মার্কেটিং কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রসারিত। বিশ্বের সকল দেশের অভীষ্ট ক্রেতা নির্বাচন করে পণ্য বা সেবার বাজারজাতকরণ করা যায়।
৬. সহজ কার্যক্রম (Easy activities): ই-মার্কেটিং এর কার্যক্রম অত্যন্ত সহজ। যে কেউ সহজ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের ক্ষেত্রেই ই-মার্কেটিং অত্যন্ত সহজ।
আরও দেখুন...