ইন্টারনেট বা অনলাইনভিত্তিক বিশ্বব্যাপী ক্রয়-বিক্রয়ের ডিজিটাল পদ্ধতিই হলো ই-মার্কেটিং। ই-মার্কেটিং- এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কৌশল গ্রহণ করা হয়ে থাকে। নিচে ই-মার্কেটিং-এর ক্ষেত্রে গৃহীত কৌশলসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-
১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম (Social media marketing platform) : বিশ্বব্যাপী পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ ও তাদের ধরে রাখার জন্য কোম্পানিগুলো। যেসকল কৌশল অবলম্বন করে সেগুলো হলো-
* ফেসবুক (Facbook) বা মেটা * ইনস্টাগ্রাম (Instagram ) । * লিংকডইন (Linkedin ) । * স্ন্যাপ চ্যাট (Snapchat) * টুইটার (Twitter) । * পিন্টারেস্ট (Pinterest)। * ইউটিউব (Youbube )। |
২. ই-মেইল মার্কেটিং কৌশল ( E-mail marketing strategy): ই-মেইল মার্কেটিং কৌশল হলো এমন একটি কৌশল যেখানে বিক্রেতা ক্রেতাদের নিকট অনলাইনে বিভিন্ন পণ্যের অফার করে। এক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত অফারও অনেকে প্রদান করে থাকে। যেমন: পণ্যের অর্ডারের ওপর ভিত্তি করে ১০% ডিসকাউন্ট অথবা ফ্রি শিপিং ফি ইত্যাদি।
৩. মোবাইল মার্কেটিং (Mobile marketing): ই-মার্কেটিং-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌশল হলো মোবাইল মার্কেটিং। যে কেউ যখন-তখন যেকোনো স্থান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে মার্কিটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। অনেকেই মনে করেন আগামী দশক হবে মোবাইল মার্কেটিং-এর যুগ।
৪. পে-পার-ক্লিক (Pay-per-click): এটি হলো এক ধরনের Paid advertising ফর্ম। এ প্রক্রিয়ায় ওয়েবসাইট থেকে পণ্য ক্রয় করা যায়। এক্ষেত্রে মার্কেটারগণ বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা সার্চ ইঞ্জিন (যেমন : গুগল, মাইক্রোসফট, বিং) এ বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে এবং প্রতিটি বিজ্ঞাপনে ক্লিক-এর বিপরীতে ফি প্রদান করতে হয়।
৫. উন্নত ওয়েব ডিজাইন (Developed webdesign): ই-মার্কেটিং-এর আরেকটি কৌশল হলো উন্নত আধুনিক ওয়েব ডিজাইন। কেননা "First impression is the best impression. " ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণের অন্যতম হাতিয়ার বা কৌশল হলো আধুনিক ওয়েব ডিজাইন তৈরি করা। এমন সহজ, পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও ইন্টারেস্টিং ওয়েব ডিজাইন তৈরি করতে হবে, যেন গ্রাহকদের চোখে পড়া মাত্রই তারা মনোযোগী হয়ে ওঠে।
উপরে উল্লিখিত কৌশল ছাড়াও ই-মার্কেটিং-এর আরও যেসকল কৌশল রয়েছে তার মধ্যে Search engine operation, content marketing ইত্যাদি অন্যতম।
আরও দেখুন...