ই-মার্কেট বলতে বিশ্বব্যাপী বর্তমান এবং সম্ভাব্য ই-ক্রেতাদেরকে বোঝায়। যারা ইলেকট্রনিক উপায়ে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করছে বা ক্রয় করবে তাদেরকে নিয়েই ই-মার্কেট সৃষ্টি হয়। ই-মার্কেটিং বা ইলেকট্রনিক মার্কেটিং কোম্পানি ও ক্রেতাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কেননা, ই-মার্কেটিং কেনা-বেচাকে অত্যন্ত সহজতর করে তুলেছে।
২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স মার্কেটের আকার ছিল ইউএসডি (USD) ৯.০৯ ট্রিলিয়ন। অনেকেই মনে করছেন ২০২০ সাল থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে এটি চক্রবৃদ্ধি হারে ১৪.৭% বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের ব্যবহার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ই-কমার্স ব্যবসায়ের পরিধি দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে ই-মার্কেটের আকারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে 4G এবং 5G সেবা চালু হয়েছে। এর ফলে ই-মার্কেট সাইজ বা আকারে অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে ই-কমার্স বিজনেস চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও এর জনপ্রিয়তা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা, এ সময়ে পুরো বিশ্ব অনলাইন বিজনেসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। যার ফলে ই-মার্কেটের আকার অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পায়।
ই-কমার্স মার্কেট বৃদ্ধিতে যেসব কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাদের মধ্যে Amazon.com. Inc, Apple. Inc, Alibaba, Walmart. Inc, EBay. Inc, Best Buy অন্যতম । ই-মার্কেট বৃদ্ধিতে যেসকল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে হয়েছে সেগুলো হলো—
• সাপ্লাইচেইন ব্যাহত হওয়া (Disrupted supply chain)
• লকডাউন এর কারণে সীমিত কার্যক্রম পরিচালনা (Limited operations due to the lockdown )
• সর্বোপরি কর্মচারীদের অভাব (Overall lack of employees)
• মজুত ব্যবস্থাপনাগত সমস্যা (Managing inventory problem)
• সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা (Maintaining social distance)
আরও দেখুন...