ব্যাংক অর্থ ও ঋণের ব্যবসায়ী। আমানত গ্রহণ ও ঋঋণদান এর প্রথম ও প্রধান কাজ। ঋণদানের সময় ব্যাংককে অর্থ ফেরত পাবার কথা চিন্তা করতে হয়। প্রদত্ত ঋণের অর্থ ফেরত না পেলে ব্যাংককে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই ব্যাংক ঋণ বা অগ্রিমের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিমের বিপরীতে কোনো মূল্যবান সম্পদ বন্ধক রাখার বা ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত বা কোনো তৃতীয়পক্ষের ব্যক্তিগত জামিনের যে বন্দোবস্ত করা হয় তাকে ঋণের জামানত বলে। জামানত যেকোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হতে পারে। আবার কোনো স্বনামধন্য নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ব্যক্তিগত জামানত হতে পারে। ঋণগ্রহীতা নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে ঋণের অর্থ ফেরত না দিতে পারলে বা না দিতে চাইলে জামানতি সম্পদ বিক্রি করে ঋণের অর্থ সুদ-আসলে আদায় করে। ঋণের জামানত হিসেবে কোনো ব্যক্তি জামিনদার থাকলে ঋণের অর্থ জামিনদার ব্যাংককে পরিশোধ করে। সুতরাং, ঋণের ফেরত যোগ্যতার নিশ্চয়তা বা নিরাপত্তা বিধান করাই জামানতের মূল উদ্দেশ্য।
জামানত অবশ্যই আইনসম্মত হতে হবে। অর্থাৎ, বন্ধককৃত সম্পদের মালিকানা হস্তান্তর বা বিক্রয়ে কোনোরূপ আইনগত বিধিনিষেধ থাকবে না। জামানতি সম্পদের ওপর ঋণগ্রহীতার মালিকানা স্বত্ব থাকতে হবে। যেসব সম্পদ সহজে বিক্রয়যোগ্য সেগুলো ব্যাংকের নিকট উত্তম বলে বিবেচিত হয়। জামানতের মূল্য ঋণকৃত অর্থের চেয়ে বেশি বা সমান হতে হবে। ব্যক্তিগত জামানতে যিনি জামিনদার হবেন তাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে। যেসব জামানতের মূল্য বার বার ওঠা-নামা করে কিংবা যে সম্পদ সহজেই নগদে রূপান্তর করা যায় না তা ব্যাংক জামানত হিসেবে গ্রহণ করে না। সর্বোপরি জামানত হবে হস্তান্তরযোগ্য, দায়মুক্ত এবং দখলমুক্ত।
“উত্তম জামানত ব্যাংক ঋণের রক্ষাকবচ” – ব্যাখ্যা করো।ঋণের নিরাপত্তা বিধানের উদ্দেশ্যে ঋণের বিপরীত ব্যাংক যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কিংবা ব্যক্তিগত গ্যারান্টি সংরক্ষণ করে তাকে ঋণের জামানত বলে। ব্যাংকসমূহ প্রদত্ত ঋণের টাকা সঠিক সময় ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে জামানত নেয়। পরবর্তী সময়ে ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংক জামানত বিক্রি করে ঋণের টাকা আদায় করে। তাই জামানত যত উত্তম হবে ব্যাংক প্রদত্ত ঋণের টাকা আদায় করা তত সহজ হবে। |
আরও দেখুন...