বাবার জন্য খাবার সাজিয়ে মা বাক্প্রতিবন্ধী মিনাকে হালচাষরত বাবার কাছে পাঠায়। যেতে যেতে সে নানা ধরনের পাখি দেখে মিটমিট করে হাসে। মিনাকে দেখে কয়েকটি পাখি নির্ভয়ে মিনার কাছে আসে। বাবার কাছে খাবার পৌঁছে দিয়ে গরু দুটির গায়ে হাত বুলোতে থাকে সে। এক পর্যায়ে মাঠের কাজে বাবাকে সাহায্য করতে লাগলো। এসব দেখে পাশের ক্ষেতের মাহফুজ বললো, এভাবে মেয়েটার ভবিষ্যৎ নষ্ট করো না। ওকে শহরের বোবাদের স্কুলে ভর্তি করে দাও, দেখবে একসময় সে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী হবে।
সুভার বর পাওয়া গেছে, এবং সে বিয়ে করে চলে যাবে। বিয়ের পর যেন সুভা তাকে ভুলে না যায়, এই কথাগুলি শুনে সুভা প্রতাপের দিকে মর্মবিদ্ধ হরিণীর মতো তাকিয়ে ছিল। একদিন যখন সুভা প্রতাপের কাছে যায় মাছ ধরার সময়, তখন প্রতাপ জানায় যে, তার বর খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তার বিয়ে হবে। বিয়ের পর সে যেন সবাইকে ভুলে না যায়। এই খবর শুনে সুভার মনে কষ্ট ছড়িয়ে পড়ে, এবং সে প্রতাপের দিকে এমনভাবে তাকায়, যেন মর্মবিদ্ধ হরিণী শিকারির দিকে তাকিয়ে থাকে। কারণ সুভা বিয়ের জন্য রাজি ছিল না, এবং প্রতাপের এই কথাগুলি শুনে তার ভালো লাগে না। এ কারণে সে অত্যন্ত কষ্ট পেয়ে প্রতাপের দিকে তাকিয়ে থাকে।