রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রী গীতা রাণী সরকার। লেখা-পড়া শেষ করতেই ২৭ বছর পেরিয়ে গেল। বিয়ের ব্যাপারে কয়েকবার সম্বন্ধ আসে এবং দেখাশুনা হলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি। গীতা রাণী লেখা-পড়া শেষে একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সমাজে অবহেলিত, পশ্চাৎপদ নারীদের গভীর মনোযোগ সহকারে শিক্ষাদান করেন। হঠাৎ প্রতিবেশি কালীচরণ রায় একটি সম্বন্ধ নিয়ে আসে। গীতা তাকে বিনয়ের সঙ্গে জানান- সে এখন আর বিয়ে করতে পারবে না। কারণ সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের শিক্ষার গুরু দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।
"একে তো বরের হাট মহার্ঘ, তাহার পরে ধনুক-ভাঙা পণ এ কথা বলতে সমাজে বিয়ের বাজারে যোগ্য পাত্রের কদর এবং পণের টাকার পরিমাণকে বোঝানো হয়েছে।
• সেকালে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতারা মেয়ের জন্য যোগ্য পাত্র খুঁজে পেতে হিমশিম খেতেন। কারণ শিক্ষিত পাত্রের কদর থাকায় পণের টাকার পরিমাণও বেশি ছিল। আর যোগ্য পাত্রের জন্য কনের পিতা সেই পেণ দিতেও কুণ্ঠাবোধ করতেন না। কল্যাণীর পিতা শম্ভুনাথ ছিলেন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তিনি মেয়েকে যেন-তেন পাত্রের হাতে তুলে দিয়ে দায় সারতে চাননি। এজন্য দিন দিন মেয়ের বয়স যে বেড়েই চলছে সেদিকে তাঁর খেয়াল নেই। অবশ্য তিনি যে মূল্যবোধের অধিকারী তাতে এসব বিষয়ে তাঁর কিছু এসে যায় না। প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মাধ্যমে এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে।