Academy

সাগরের সাথে দুলির সম্পর্ক তার বাবা মেনে নেননি। তাই দুলিকে অন্যত্র বিয়ে দেন তারা। অনেকদিন পর দুলির শ্বশুরবাড়িতে ফেরিওয়ালার বেশে হাজির হন সাগর। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে দুলি তাকে চিনতে পারেন। আবারও জেগে ওঠে তাদের পুরনো আবেগ। সুযোগ বুঝে এক রাতে সাগরের হাত ধরে দুলি পালিয়ে যান। তার খোঁজে চারদিকে লোক পাঠানো হয় এবং তাদের অবস্থান খুঁজে পায়। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই দুলি-সাগর একে অপরকে হারাতে রাজি নন। তাই তারা আত্মাহুতি দেন।

সাগর-দুলির প্রেমের শাশ্বত রূপই যেন “মহুয়া” রচনার মূল উপজীব্য- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

Created: 1 year ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago

"মহুয়া" বাংলা সাহিত্যের একটি অত্যন্ত প্রশংসিত রচনা, যা সাধারণত প্রেমের গল্প হিসেবে পরিচিত। এই রচনায়, সাগর ও দুলির প্রেমের গল্প পাঠকের মনে এক অমোচনীয় ছাপ ফেলে। তাদের প্রেমের গল্প শুধু একটি সাধারণ প্রেম কাহিনী নয়, বরং এটি আরও গভীর অর্থ ও মানবিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করে।

এই মন্তব্যটি বলতে চায় যে, "মহুয়া" গ্রন্থে সাগর ও দুলির প্রেমের যে চিত্রণ করা হয়েছে, তা কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং এটি প্রেমের এক শাশ্বত রূপের প্রকাশ। এই গল্পে প্রেম কেবল দুই মানুষের মধ্যেকার আকর্ষণ বা ভালোবাসার অনুভূতি হিসেবেই উপস্থাপিত হয় না, বরং এটি সমাজ, সংস্কৃতি, এবং মানব সম্পর্কের বৃহত্তর প্রসঙ্গে প্রেমের অবস্থান ও প্রভাবকে তুলে ধরে।

এই প্রেম কাহিনীর মাধ্যমে লেখক প্রেমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, যেমন- প্রেমের শক্তি, ত্যাগ, সংঘাত, বিচ্ছেদের বেদনা, এবং চিরন্তনতা। এই গল্পের মাধ্যমে পাঠক বুঝতে পারেন যে, প্রেম কেবল আনন্দের নয়, বরং বেদনা ও ত্যাগের মাধ্যমেও প্রকাশ পায়।

সুতরাং, এই মন্তব্যটির যথার্থতা হলো যে, "মহুয়া" গ্রন্থে সাগর-দুলির প্রেমের গল্প শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, এটি প্রেমের এক শাশ্বত ও বহুমাত্রিক রূপের উপস্থাপন। এর মাধ্যমে প্রেমের গভীরতা, প্রেমের বিভিন্ন অভিব্যক্তি, এবং মানবিক সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়।

3 months ago

বাংলা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion