নিচের বাক্যগুলোতে দাগ দেওয়া শব্দগুলোর মধ্যে কী ধরনের মিল বা অমিল আছে, উল্লেখ করো।
(ক) অন্য মানুষের অন্ন চিন্তায় তাঁর ঘুম হয় না।
(খ) আশা করছি শীঘ্রই তাদের আসা হবে।
(গ) কোন সালে শাল গাছগুলো লাগানো হয়েছে, জানি না।
(ঘ) সাধ হলো তরকারির স্বাদ চেখে দেখি!
(ঙ) লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা কি কারো জীবনের লক্ষ্য হতে পারে?
বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দ আছে, যেগুলোর উচ্চারণ এক অথবা প্রায় এক, কিন্তু অর্থ ভিন্ন; এগুলোকে সমোচ্চারিত ভিন্ন শব্দ বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এদের বানান ভিন্ন হয়, তবে উচ্চারণ এক হওয়ায় কানে শুনে এদের পার্থক্য করা যায় না। বাক্যে ব্যবহৃত হলে প্রসঙ্গ বিবেচনায় এসব শব্দের পার্থক্য বোঝা যায়।
নিচে কিছু সমোচ্চারিত ভিন্ন শব্দের উদাহরণ দেওয়া হলো।
নিচের দশ জোড়া সমোচ্চারিত ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে দশটি বাক্য তৈরি করো। এমনভাবে বাক্য তৈরি করতে হবে যাতে একটি বাক্যেই শব্দজোড়গুলো থাকে। যেমন-আদা ও আধা ব্যবহার করে বানানো বাক্য: আধা কেজি আদা কিনলাম।
কাঁচা ও কাচা, কাঁদা ও কাদা, দিন ও দীন, দীপ ও দ্বীপ, বিত্ত ও বৃত্ত, নভ ও নব, শব ও সব, শয্যা ও সজ্জা, শোনা ও সোনা, হার ও হাড়।