জীবদেহে লিপিড-এর ভূমিকাঃ
* লিপিড জীবদেহে খাদ্য হিসেবে সঞ্চিত থাকে। বীজের শস্যে কিংবা বীজপত্রের সঞ্চয়ী কোষে লিপিড জমা থাকে এবং অঙ্কুরোদগমের সময় প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
* প্রাণিদেহের ত্বকের নিচে সঞ্চিত চর্বি তাপ নিরোধক হিসেবে কাজ করে।
* ফসফোলিপিড ও গ্লাইকোলিপিড কোষঝিল্লি এবং কোষ অঙ্গাণুর ঝিল্লি গঠনকারী উপাদান।
* প্রাণীর স্নায়ুতন্তুর মায়েলিন আবরণীর লিপিড স্নায়ু উদ্দিপনা পরিবহনে সহায়তা করে।
* লিপিড ভিটামিন A, D, E ও K-এর দ্রাবক।
* ফসফোলিপিড জীবদেহের কতিপয় এনজাইমের প্রোস্থেটিক গ্রুপ হিসেবে কাজ করে । লিপিড থেকে কিছু প্রোটিন (লিপোপ্রোটিন), হরমোন এবং কোলেস্টেরল সংশ্লেষিত হয়।
* লিপোপ্রোটিন শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে ।
* গ্লাইকোলিপিড সালোকসংশ্লেষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
* ফসফোলিপিড আয়নের বাহক হিসেবেও কাজ করে।
* কিছু মোম জাতীয় লিপিড উদ্ভিদের কান্ড ও ত্বকে (কিউটিকল) বিদ্যমান থেকে প্রস্বেদনের হার হ্রাস করে ।
* টারপিন জাতীয় লিপিড উদ্ভিদে সুগন্ধি সৃষ্টি করে।
* মানবদেহে বিটা ক্যারোটিন ভেঙ্গে দুই অণু ভিটামিন -A তৈরি করে, যা থেকে পরে রডোপসিন (rhodopsin) তৈরি হয় যা দৃষ্টিশক্তি দান করে। মিষ্টি আলু, গাজর, টমেটো ও ডিমের কুসুমে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়।
* কোলেস্টেরল থেকে যৌনহরমোন ও ACH সংশ্লেষিত হয়। এটি কোষঝিল্লির প্রবেশ্যতা নিয়ন্ত্রণ করে।