or
or
গামা রশ্মি। গামা রশ্মি হল তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের ফলে নির্গত শক্তির একটি রূপ। এটি একটি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ যা খুব শক্তিশালী এবং উচ্চ ভেদন ক্ষমতা সম্পন্ন। গামা রশ্মি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের উত্তেজণার ফলে সৃষ্ট হয়। নিউক্লিয়াসের ভিতরে থাকা প্রোটন এবং নিউট্রনগুলির মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হলে নিউক্লিয়াস উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এই উত্তেজিত অবস্থা থেকে নিউক্লিয়াস শক্তি নির্গত করে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসে। এই শক্তি গামা রশ্মির আকারে নির্গত হয়।
দৃশ্যমান রশ্মি এবং অবলোহিত রশ্মি উভয়ই বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় বিকিরণ, তবে এগুলি তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট হয় না। দৃশ্যমান রশ্মি হল আলোর একটি রূপ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান। অবলোহিত রশ্মি হল তাপের একটি রূপ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান নয়।
জন ডাল্টনের পরমাণু মতবাদের পরপরই পরমাণুর গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মনে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৯৭-১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন বিজ্ঞানী পরমানুর উপর বিভিন্ন পরীক্ষা - নিরিক্ষার পর প্রাপ্ত তথ্য থেকে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে প্রত্যেকেই নিজ নিজ মতবাদ উপস্থাপন করেন যা পরমাণুর মডেল নামে পরিচিত। এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো -
(১) থমসন পামপুডিং পরমাণু মডেল : ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ।
(২) রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ।
(৩)বোর পরমাণু মডেল : ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত
(৪) বোর - সমারফিল্ড পরমাণু মডেল ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ।
(৫) তরঙ্গ বলবিদ্য পরমাণু মডেল : ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে লুইস দ্য ব্রগলি কর্তক প্রকাশিত
