Title | বাংলা সাহিত্য প্রাচীন ও মধ্যযুগ |
Category | Jobs |
Authority | Satt Academy |
Price | ৳ 99 |
Language | Bangla |
Short Description | For all job exam |
১. প্রাচীন যুগঃ (৬৫০/৯৫০ – ১২০০ খ্রী) শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী – ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ড:মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগে (৬৫০-১২০০ খ্রীঃ / সপ্তম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী) প্রায় ৫৫০ বছর ড: সুনীতিকুমার চট্রোপধ্যায়ের মতে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ (৯৫০-১২০০ খ্রীঃ / দশম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী) প্রায় ২৫০ বছর। প্রাচীন যুগের একমাত্র সাহিত্যের নিদর্শন – চর্যাপদ। অন্ধকার যুগঃ (১২০১-১৩৫০ খ্রী.) অন্ধকার যুগ এমন একটি যুগ যে যুগে বাংলা সাহিত্যের কোনও নিদর্শন পাওয়া যায়নি। অন্ধকার যুগ সৃষ্টি করার জন্য দায়ী করা হইছে তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন বিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজী।তিনি ১২০১ সালে মতান্তরে ১২০৪ সালে হিন্দু সর্বশেষ রাজা লক্ষণ সেন কে পরাজিত করে এ অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করে।অন্ধকার যুগে বাংলা সাহিত্যের কোনও নিদর্শন না মেললেও সংস্কৃত সাহিত্যের নিদর্শন মেলে। যেমনঃ ১/ রামাই পন্ডিতের “শূণ্যপুরাণ” ২/ হলায়ূধ মিশ্রের “সেক শুভোদয়া” মধ্যযুগের বেশ কিছু কাব্যঃ ১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য, ২. বৈষ্ণপদাবলী, ৩. মঙ্গলকাব্য, ৪. রোমান্টিক কাব্য ৫. আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য, ৬. পুঁথি সাহিত্য, ৭. অনুবাদ সাহিত্য ৮. জীবনী সাহিত্য, ৯. লোকসাহিত্য, ১০. মর্সিয়া সাহিত্য, ১১. করিয়ালা ও শায়ের ১২. ডাক ও খনার বচন, ১৩. নথিসাহিত্য মধ্যযুগে অন্য সাহিত্যের কিছু নমুনা পাওয়া যায়ঃ ১. পত্র ২. দলিল দস্তাবেজ, ৩. আইন গ্রন্থের অনুবাদ। তবে এগুলো সাহিত্যের মানে উত্তীর্ণ হতে পারে নি। মধ্যযুগে মুসলিম কবিগণ রচনা করেন রোমান্টিক কাব্য পক্ষান্তরে হিন্দুধর্মাবলী কবিগণ রচনা করেন দেব দেবী নির্ভর আখ্যান / কাহিনী কাব্য। মধ্যযুগে সতের শতকে বাংলার বাইরে আরাকান রাজসভায় বাংলাভাষা ও সাহিত্যের চর্চা হয়।মধ্যযুগে দুটো বিরাম চিহ্ন ছিল, বিজোড় সংখ্যক লাইনের পর এক দাড়ি,জোড় সংখ্যক লাইনের পর দুই দাড়ি [১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্র মারা যাবার পর মধ্যযুগের সমাপ্তি হয় … প্রশ্ন উঠতে পারে ভারত চন্দ্র মারা যাবার সাথে সাথে মধ্যযুগের পতনের কি সম্পর্ক? ভারতচন্দ্র মারা যাবার পর মধ্যযুগের সমাপ্তি হয় কারণ মঙ্গলকাব্যের চারশ বছরের কাব্যধারার সমাপ্তি … কিন্তু এই কারনের সাথে আরও একটা কারণ জড়িত … রাজনৈতিক ভাবেও এই এলাকার পটভূমি পরিবর্তন হতে থাকে। ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রান্তরে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হওয়ার মধ্যদিয়ে ইংরেজ তথা বৃটিশদের শাসন হয় তখন সাহিত্যের আবির্ভাব হয় যা আধুনিক সাহিত্য ধারার প্রবর্তন করার অন্যতম কারণ] যুগসন্ধিক্ষণঃ (১৭৬১-১৮৬০ খ্রী.) যুগসন্ধিক্ষণ মানে দুই যুগের মিলন। যুগ সন্ধিক্ষণ এমন একটি যুগ যে যুগে মধ্য যুগ এবং আধুনিক যুগের মিশ্র বৈশিষ্ট পাওয়া যায়। যুগসন্ধিক্ষণের কবি ইশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ইশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে স্ববিরোধী কবি ও বলা হয়েছে। [স্ববিরোধী বলার কারণঃ প্রথমদিকে তিনি ইংরেজদের শাসনের বিরুদ্ধে লেখলেও শেষের দিকে তার কাব্যে ইংরেজদের শাসনের প্রশংসা করেছেন] আধুনিক যুগঃ (১৮০১-বর্তমান) আধুনিক যুগকে দু ভাগে ভাগ করা যায় ১. উন্মেষ পর্ব (১৮০১-১৮৬০ খ্রী.) ২. বিকাশ পর্ব (১৮৬১ - বর্তমান) গদ্য সাহিত্য হচ্ছে আধুনিক যুগের সৃষ্টি ১. গল্প ২. উপন্যাস ৩. নাটক ৪. প্রহসন ৫. প্রবন্ধ প্রাচীন যুগের সাহিত্যের একমাত্র বৈশিষ্ট্য ছিল – ব্যাক্তি মধ্য যুগের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল – ধর্ম আধুনিক যুগে সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল – মানবিকতা / মানবতাবাদ / মানুষ সবচেয়ে বেশী সমৃদ্ধ / সমাদৃত – ১. কাব্য (গীতিকাব্য), ২. উপন্যাস, ৩. ছোটগল্প বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ (৬৫০ – ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ) বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম রূপ / খাখা হচ্ছে - কাব্য
Authority : Satt Academy
Author Info : N/A
Publisher : N/A
Publisher Info : N/A
Publish At : N/A