ইরাক

- সাধারণ জ্ঞান - আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী | NCTB BOOK

ইরাকেই গড়ে উঠেছিলো মেসোপটেমিয়া নামক বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। ‘ইউফ্রেটিস ও ‘টাইগ্রিস' এই দুই নদীর মধ্যবর্তী এলাকা 'মেসোপটেমিয়া' নামে পরিচিত। ইরাকে রয়েছে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান- আসুর ও সামারা। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের নাম মসুল। ১৯২০ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্য বিভক্তর কারনে ইরাকের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ব্রিটেনের হাতে। ১৯৩২ সালে ইরাক ব্রিটেন হতে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫৮ সালে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে, প্রতিষ্ঠা হয় ইরাকি প্রজাতন্ত্র। ইউফ্রেটিস, টাইগ্রিস, সাত-ইল-আরব, লিটর জ্যাব, ডিয়ালা ইত্যাদি ইরাকের উল্লেখযোগ্য নদী । হস্তশিল্প, কার্পেট ইত্যাদি উৎপাদনে ইরাকের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী।

  • রাষ্ট্রীয় নামঃ The Republic of Iraq
  • রাজধানীঃ বাগদাদ
  • ভাষাঃ আরবি
  • মুদ্রাঃ দিনার

জেনে নিই

  • ইরাকের পূর্ব নাম- মেসোপটেমিয়া।
  • ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর মিলনস্থল - বসরা।
  • ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান ইরাকে অবস্থিত
  • ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান নির্মান করেন সম্রাট নেবুচাদনেজার।
  • ইরাকের প্রথম বাদশাহ ছিলেন- বাদশা ফাইসাল (১৯৫৮)।
  • No fly zone অবস্থিত- মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকে ।
  • বাগদাদ নগরীর প্রতিষ্ঠাতা- খলিফা আল মনসুর।
  • হালাকু খান বাগদাদ নগরী আক্রমন করে- ১২৫৮ সালে
  • ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনীর হাতে বাগদাদের পতন ঘটে- ২০০৩ সালে।
  • ইরান-ইরাক যুদ্ধের (১৯৮০-১৯৮৮) প্রধান কারণ সাত ইল আরব জলধারা।
  • ইরাক কুয়েত দখল করে নিয়েছিল- ১৯৯০ সালে।
  • উপসাগরীয় যুদ্ধে বহুল আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রের বিধ্বংসী ক্ষেপেনাস্ত্র 'প্যাট্রিয়েট'।
  • উপসাগরীয় যুদ্ধে ব্যবহৃত 'স্কার্ড' ক্ষেপেনাস্ত্র ইরাকের।
  • আরব দেশ গুলো পশ্চাত্যের উপরে তেল অবরোধ করে- ১৯৭৩ সালে।
  • ইরাক ব্রিটেনের উপনিবেশে ছিল (স্বাধীনতা লাভ ১৯৩২)।
  • সাদ্দাম হোসেন ১৯৭৯ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
  • সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন এর ফাঁসি কার্যকর করা হয়- ২০০৬ সালে।
  • 'অপারেশন ডেজার্ট ফক্স' ১৯৯৮ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক অভিযান।
  • ‘অপারেশন ডেজার্ট স্ট্রম/শেইল্ড ১৯৯০ সালে বহুজাতিক বাহিনী কর্তৃক ইরাকের বিরুদ্ধে পরিচালিত হামলা।

Content added By
আবু নামের গরীব ব্যক্তি
একজন বিখ্যাত দার্র্শনিক
একটি বিখ্যাত যাদুঘর
একটি জেল খানা
একজন বিখ্যাত দার্শনিক
একটি জাদুঘর
একটি জেলখানা
একজন বৈজ্ঞানিক

বায়তুল হিকমাহ (লাইব্রেরী)

আব্বাসীয় আমলে ইরাকের বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত একটি গ্রন্থাগার ও অনুবাদ কেন্দ্র ছিল বাইতুল হিকমাহ । এটিকে ইসলামী স্বর্ণযুগের একটি প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র ও নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা হারুনুর রশিদ এবং তার পুত্র খলিফা আল মামুনের সময়কালে চুড়ান্ত সমৃদ্ধ লাভ করে ।

Content added By
Promotion